ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নক্সা শেষ না হওয়ায় মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারে ধীর গতি

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ২৭ অক্টোবর ২০১৪

নক্সা শেষ না হওয়ায় মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারে ধীর গতি

রাজন ভট্টাচার্য ॥ রাজধানীর যানজট নিরসনে সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পগুলোর মধ্যে মৌচাক-মালিবাগ ফ্লাইওভার অন্যতম। ২০১২ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়, যা ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় এক বছর হতে চললেও এখনও অর্ধেক অংশে কাজই শুরু হয়নি। নানা জটিলতায় অর্ধেক অংশের নতুন করে নকশাও চূড়ান্ত হচ্ছে না। সব মিলিয়ে কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩৫ ভাগ। এমন বাস্তবতায় প্রশ্ন উঠেছে, কবে শেষ হবে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের কাজ? এ প্রশ্নের সদুত্তর নেই কারও কাছেই। মাঝখানে দিনের পর দিন প্রকল্পের কাজ ঝুলিয়ে রেখে সরকারের কাছ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাজার কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ পুরো অর্থই গচ্ছা যাবে। রাজধানীর ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ সোয়া আট কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে চলছে ফ্লাইওভার নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞ। ফলে রাস্তাজুড়ে যানজটের দুর্ভোগ প্রতিদিনের। রাস্তা ভাঙাচোরার কারণে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলতে পারে না। বৃষ্টি হলে কাদা-পানিতে দুর্ভোগ চরমে ওঠে। সরু রাস্তায় বিশেষ কোন পরিকল্পনা ছাড়াই ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগকেও ভালভাবে দেখেন না অনেকে। একটি প্রভাবশালী মহল নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকায় কেউ তাদের কিছুই বলে না। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, প্রকল্পের মেয়াদ শেষে অর্ধেক অংশের নকশা নতুন করে করা হচ্ছে। সার্বিক বিষয়ে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্প পরিচালক নাজমুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পে কাজের গতি নেই এমন অভিযোগ সত্য নয়। কাজ চলছে। এর চেয়ে দ্রুত কাজ কিভাবে হয়? ইতোমধ্যে ৩৫ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করা। জনদুর্ভোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মগবাজার ও সাতরাস্তা পয়েন্টে গাড়ির চাপ অনেক বেশি। তাছাড়া কাজ চলার কারণে রাস্তা সংকুচিত হয়েছে। যেখানেই আমাদের কাজ শেষ হচ্ছে সেখান থেকে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে জনদুর্ভোগ কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মালিবাগ প্যাকেজের কাজ বন্ধের ব্যাপারে তিনি বলেন, ওখানের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ বন্ধ থাকার বিষয়টি সত্য নয়। প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি বাড়ে ভবিষ্যতে বাড়তে পারে। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। প্রকল্প পরিচালকের কথা যদি সত্যি হয় তাহলে মাঠের বাস্তবতাই এর প্রমাণ দেবে। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ফ্লাইওভারের কারণে তিনমাস আগে ভেঙ্গে ফেলা হয় মগবাজার ওভারব্রিজটি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলে নেয়া হয় ব্রিজের সব কিছুই। এরপর থেকেই ব্রিজটির মাঝখানের পিলারটি ভাঙ্গার কাজ চলে, যা এখনও চলমান। ছালা দিয়ে ঘেরাও করে প্রতিদিনই পিলারটি ভাঙ্গা হয়। তবুও শেষ হয় না। হায়রে পিলার...। ভাঙ্গার কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লাইওভারের একটি লুপ সাতরাস্তা থেকে এসে রমনার দিকে গিয়ে নামার কথা রয়েছে। মূলত এ কারণেই ওভারব্রিজটি ভাঙ্গা হয়েছে। তার কাছে প্রশ্ন ছিল? একটি পিলার ভাঙতে এত বিলম্ব কেন? সরল জবাব দেন নির্মাণ শ্রমিক দিদার। তিনি বলেন, তাড়া নেই। আস্তে আস্তে কাজ হলেই হলো। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সেবা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ভুল তথ্য সরবরাহ করায় সোয়া আট কিলোমিটার প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক অংশেই এখনও কাজ শুরু সম্ভব হয়নি! নতুন করে নকশা তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বাকি অংশে পিলার স্থাপনের জন্য প্রাথমিক পাইলিং শুরু হয়েছে। তবে নকশা চূড়ান্ত হবে কবে-এরও নিশ্চয়তা নেই। ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ফোরমেন মিজানুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, শান্তিনগর ও মালিবাগসহ মৌচাক এলাকায় নতুন ডিজাইন না হওয়া পর্যন্ত কাজ শুরু সম্ভব হচ্ছে না। বিভিন্ন সেবা সংস্থার লাইন থাকায় মাটির নিচে কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তাছাড়া মালিবাগ এলাকায় কাজ করতে গিয়ে দেখা গেছে রাস্তার একপাশ বন্ধ করতে হচ্ছে। নতুন নকশা অনুমোদনের পর অল্প অল্প জায়গা নিয়ে কাজ করতে হবে বলে জানান তিনি। সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পে ২৬৫টি পিলার রয়েছে। আছে আটটি লুপ। এরমধ্যে সোয়া পাঁচ কিলোমিটার প্রকল্পের মধ্যে মাত্র ৩৫টিরও বেশি পিলার স্থাপনের কাজ শেষ করেছে তমা কনস্ট্রাকশন। বাকি তিন কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ করছে সিমপ্লেক্স। তারা দুই বছরে প্রায় ২৫টি পিলার স্থাপন করতে পেরেছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ডিজাইনে ১৪৭টি পাইলের মধ্যে ১২২টির অবস্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে ঢালাই সম্পন্ন হওয়া ৩৫টি পাইলের মধ্যে ১২টি পরিত্যক্ত করা হবে। কয়েকটি পিলারের অবস্থান ও দূরত্বের পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এসব এলাকায় কাজ শুরুর পর মাটির নিচে ডিপিডিসি, তিতাস গ্যাস, বিটিসিএল, স্যুয়ারেজ লাইনসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার লাইন পাওয়া গেছে। যা প্রকল্পের নকশার মধ্যে ছিল না। প্রকৃত নকশায় পিলার করা পয়েন্টে সেবা সংস্থার লাইন না থাকার কথা বলা হয়েছে। অথচ সবকটি সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবেই বলা হয়েছে, ভূগর্ভস্থ লাইন থাকার কথা। সেবা সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, কাজ শেষ করতে না পেরে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে তমা কর্তৃপক্ষ। মৌচাক থেকে মগবাজার-বাংলামোটরসহ সাত রাস্তার চিত্র আরও ভিন্ন। সাতরাস্তা এলাকায় কাজের ধীরগতি। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, জনবল সঙ্কটের কথা। কারও বক্তব্য, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির যোগানের অভাবেই কাজের গতি আগের মতো নেই। তাগিদও নেই দ্রুত কাজ করার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানিয়েছেন, নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের আন্তরিকতার অভাব ও নির্দেশেই কাজের বেহাল অবস্থা দাঁড়িয়েছে। এদিকে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ-এর পক্ষ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত প্রকল্পের সময় বৃদ্ধিসহ নির্মাণ ব্যয় ৭৭২ কোটির পরিবর্তে প্রায় এক হাজার চার শ’ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের পরিধি বাড়ায় দ্বিগুণের বেশি নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। মূলত অর্থনৈতিক বিষয় ও নতুন নকশা প্রণয়নের বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি অনেকটাই অনিশ্চিত। তমা কনস্ট্রাকশনের প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম শিমুল জনকণ্ঠকে বলেন, জনবল ও যন্ত্রপাতির কোন অভাব না থাকলেও প্রকল্পের আন্ডারগ্রাউন্ড ইউনিটের নকশা পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এর মূল কারণ হলো, মাটির নিচে বিভিন্ন সেবা সংস্থার লাইন থাকায় পাইলিংয়ের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে প্রকল্পের কাজে ধীরগতি। বুয়েটের পক্ষ থেকে কবে নাগাদ ডিজাইন দেয়া হবে তা অনিশ্চিত একথা জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়ার্কিং ড্রয়িং-এ সময় লাগছে। নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাড়তি অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি। তবে সময় বৃদ্ধি ও নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণে মোট প্রকল্পের প্রায় ৭০ কোটি টাকা খরচ বাড়তে পারে বলে তিনি জানান। প্রকল্পের আর্থিক বিষয় ॥ ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারী ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এ প্রকল্পের পরিধি বাড়ানোসহ ১০টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘কনস্ট্রাকশন অব ফ্লাইওভার ব্রিজ ইন ঢাকা (মগবাজার-মৌচাক)’ প্রকল্পের আওতায় চার লেন বিশিষ্ট তিন দশমিক ৯৩৭ কিলোমিটার দৈর্ঘের চার লেন ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ২০১১ থেকে ডিসেম্বর ২০১৩। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেসার্স তমা কনস্ট্রাকশনের দরপ্রস্তাব প্রথমে নির্বাচিত হয়। পরবর্তীতে একনেকের বৈঠকে ফ্লাইওভার পরিধি নির্ধারণ করা হয় আট দশমিক ২৫ কিলোমিটার। নির্মাণে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩৭৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) ও ১৯৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওএফআইডি) কাছ থেকে ঋণ হিসেবে পাওয়া যাবে। অবশিষ্ট ২০০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ব্যয় করা হবে। প্রকল্পটি ২০১১ সালের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন হয়। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) তড়িঘড়ি কাজ শুরু করার বিরোধিতা করেছিল বুয়েট। কিন্তু বুয়েটের কথা তখন সংশ্লিষ্টরা কর্ণপাত করেনি। ফলে সমস্যা যা হওয়ার হয়েছে। নির্মাণ কাজ শুরুর পরপরই প্রকল্প এলাকা ও আশপাশের ভূগর্ভস্থ বিভিন্ন সেবা সংস্থার সংযোগ লাইনের কারণে ফ্লাইওভারের পাইলিংয়ের কাজ বাধগ্রস্ত হচ্ছে। নির্মাণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলমান কোন সড়কে ফ্লাইওভার নির্মাণ কোনভাবেই সম্ভব নয়। অর্থাৎ নির্মাণ নীতিমালা অনুযায়ী উন্নত দেশগুলোতে তা মানা হয়ে থাকে। একমাত্র ভারত ও বাংলাদেশে চলমান রাস্তায় ফ্লাইওভার হয়ে থাকে। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হলো, আমাদের বেশিরভাগ ৬ মিটারের রাস্তায় ফ্লাইওভার নির্মাণ করতে হচ্ছে। ফলে যানজটসহ নানা রকম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দিনের পর দিন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডির তত্ত্বাবধানে যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে দেশী-বিদেশী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের (ডব্লিউ-৫ ও ডব্লিউ-৬) কাজ করছে চীনের মেটারোলজিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি ও দেশী তমা কনস্ট্রাকশন। অন্য প্যাকেজের (ডব্লিউ-৪) কাজ করছে ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও দেশী নাভানা কনস্ট্রাকশন। বর্তমানে ডব্লিউ-৪ ও ডব্লিউ-৫ নম্বর প্যাকেজের কাজ হয়েছে ২০ শতাংশের কিছু বেশি। ৬ নম্বর প্যাকেজের কাজ শুরুই হয়নি। ফলে নকশা সংশোধন করে ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ ২০১৬ সালের আগে শেষ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। ফ্লাইওভারটি প্রথম পর্যায়ে তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে শুরু হয়ে এফডিসি ঘুরে মগবাজার রেলক্রসিং পার হবে। এর একটি ‘লুপ’ হলিফ্যামিলি হাসপাতালের কাছে গিয়ে শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বাংলামোটর থেকে মগবাজার, মৌচাক, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে গিয়ে শেষ হবে। আরেকটি ধাপে রামপুরা রোড থেকে মৌচাক হয়ে শান্তিনগর গিয়ে শেষ হবে। মগবাজার ও মালিবাগ রেলক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে ফ্লাইওভারটি চলে যাবে। ফলে দুটি রেলক্রসিং যানবাহন পারাপারে যে সময় নষ্ট হয়, ফ্লাইওভারটি নির্মিত হওয়ার পর এই সমস্যা থাকবে না। তাছাড়া ফ্লাইওভারের উপরে দুটি অংশ থাকছে। এরমধ্যে সাতরাস্তা থেকে আসা অংশটি নিচ দিয়ে ও বাংলামোটর থেকে মালিবাগের দিকে যাওয়া অংশটি উপর দিয়ে যাবে। এদিকে প্রকৌশলীরা বলছেন, চুক্তি ভঙ্গের দায়ে তমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ না হলে আর্থিক জরিমানাসহ কারাদ-ের বিধান আছে। এমনকি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা যায়। রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের কারণে তমা কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা উল্টো টাকা বাড়ানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে তমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক জনকণ্ঠকে বলেন, নানা কারণে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হচ্ছে না। ফলে নির্মাণ ব্যয় বাড়বে। কাজ শেষে আমরা সরকারের কাছে বাড়তি টাকা চাইব। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের কাছে বাড়তি কোন টাকা চাইনি। আগের বরাদ্দ অর্থ দিয়ে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
×