ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতা অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২ নভেম্বর ২০১৪

বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতা অব্যাহত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে মুনাফা তোলার প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর হারানোর কারণে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস মূল্য সূচক কমেছে। তবে বাকি দুই কার্যদিবসে সূচক তুলনামূলক কিছুটা বেশি বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কিছুটা কমার কারণে সপ্তাহটিতে টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা কমেছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও লভ্যাংশ ঘোষণাকে ঘিরে সতর্ক আচরণের কারণে লেনদেনের কিছুটা পতন ঘটেছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন। তবে নবেম্বর মাসের শুরুতে কোম্পানিগুলোর প্রতিবেদন প্রকাশ শেষ হতে চলায় আবার বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হচ্ছেন। যার কারণে সূচকে কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে সপ্তাহের লেনদেন শেষ হয়েছে। সপ্তাহ শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ০.৩৭ শতাংশ বা ১৯ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক কমেছিল ২.৪৯ শতাংশ বা ১৩১ পয়েন্ট। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস অর্থাৎ রবিবার ডিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ৪২ পয়েন্ট, সোমবার বেড়েছে ৪৫ পয়েন্ট, মঙ্গলবার কমেছে ২৮ পয়েন্ট, বুধবার কমেছে ১৯ পয়েন্ট ও বৃহস্পতিবার বেড়েছে ৬৩ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে লেনদেন কমেছিল ৩১.৯৫ শতাংশ বা ১ হাজার ৫৩৬ কোটি ৭৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৬ টাকা। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৬৭ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ৯৭৯ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ২৭৩ কোটি ৫৫ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৬ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় শেয়ার লেনদেন কমেছে ১৫.৪৫ শতাংশ বা ১০১ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬১ টাকা। আগের সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবস ডিএসইতে দৈনিক গড় শেয়ার লেনদেন কমেছিল ৩১.৯৫ শতাংশ বা ৩০৭ কোটি ৩৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৭৯ টাকা। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৭৮ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৩টি। আগের সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৭১ কোটি ৩২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৮টি। অর্থাৎ শেয়ারের হিসেবে লেনদেন কমেছে ১১.৯৮ শতাংশ বা ৮ কোটি ৫৪ লাখ ৫৩ হাজার ৫৯৫টি। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার লেনদেন হয়েছে ৫২৯ কোটি ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট, সোমবার ৫০৫ কোটি ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা, মঙ্গলবার ৪৬২ কোটি ৫৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, বুধবার ৫৪৫ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা ও বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৫৪৫ কোটি ৬৮ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। পুরো সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩১৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৬টির, কমেছে ১৫০টির, দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির এবং লেনদেন হয়নি ১টি কোম্পানির শেয়ার। গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ০.৪১ শতাংশ বা ১ হাজার ৩৮৩ কোটি ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ৪১৯ টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছিল ২.৩৮ শতাংশ বা ৮ হাজার ২৭০ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৫ টাকা। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৪৯২ কোটি ৮২ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৯ টাকা এবং শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৮৭৬ কোটি ৮২ লাখ ১৮ হাজার ২৬৮ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮৪.৫৩ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ২.১০ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ১০.০৩ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৩.৩৫ শতাংশ। আগের গত সপ্তাহে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৮২.৭৮ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ১.৯২ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ১২.৩৫ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ২.৯৪ শতাংশ। সপ্তাহশেষে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক কমেছে ০.২৪ শতাংশ বা ২৩ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহ শেষে সিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক কমেছিল ২.৩৬ শতাংশ বা ২৩৪ পয়েন্ট। সপ্তাহশেষে সিএসইর সাধারণ মূল্য সূচক অবস্থান করছে ৯৭০১ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচক অবস্থান করে ৯৬৭৭ পয়েন্টে। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৫৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ১৩০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টি কোম্পানির শেয়ার দর।
×