ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটিতে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ

ব্যাংক ঋণের সুদ হার বিনিয়োগবান্ধব নয়

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৭ নভেম্বর ২০১৪

ব্যাংক ঋণের সুদ হার বিনিয়োগবান্ধব নয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংক ঋণের উচ্চসুদের হার নিয়ে ব্যবসায়ীরা উদ্বেগ প্রকাশ করলেন বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটিতে। তাঁরা অভিযোগ করেন, ব্যাংক ঋণের সুদের হারও বিনিয়োগবন্ধব নয়। এ সময় অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীরা গ্যাস, বিদু্যুত, জমি, সরকারের বিভিন্ন স্তরে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ওয়ানস্টপ সার্ভিস না থাকার কারণে ভোগান্তিসহ নানা সমস্যা তুলে ধরেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, ব্যাংক ঋণের সুদের হারও বিনিয়োগবান্ধব নয়। এ কারণে ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে অলস পড়ে আছে এক লাখ কোটি টাকা। এই টাকা দেশেই বিনিয়োগের জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এর জন্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাঁরা বলেন, ব্যাংক ঋণের উর্ধমুখী সুদহারের কারণে বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ঋণের সুদহার বেশি হওয়ায় উদ্যোক্তারা ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়ছেন। ফলে দেশে নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না। সেই সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হচ্ছে না। এর ফলে ব্যাংকের মুনাফায়ও নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ সময় ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণের সুদ হার কমানোর দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে এফবিসিআইএ সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘ব্যাংক ঋণের সুদের হার বিনিয়োগবান্ধব নয়। আমরা ব্যাংকের সুদ কমাতে চাই। কারণ ১৫-১৬ শতাংশ সুদ দেখলে আমিই চমকে উঠি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যাংকাররা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। তবে, সরকারী সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে সুদ না কমালে আমাদের পক্ষে এ সুদহার কমানো সম্ভব হচ্ছে না।’ সভায় বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম ব্যবসা ক্ষেত্রের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ওপর চাপ কমানোর জন্য আমরা যখন ঢাকার বাইরে যেতে চাচ্ছি, ঠিক তখন আমাদের গ্যাসলাইন ট্রান্সফার করতে পারছি না। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গ্যাসের লাইন সরানো যাবে না। নতুন ফ্যাক্টরির অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলো যখন আমাদের থেকে প্রিমিয়াম নিচ্ছে তখন কোন সমস্যা নেই। যখনই কোন ক্লেম যাচ্ছে, তখনই বিভিন্ন ধরনের ‘ধারা’ তুলে ধরা হয় আমাদের সামনে, যাতে আর ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় না। কিন্তু এটা দেখার কেউ নেই। গত বুধবার বিকেলে কারওয়ান বাজারের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি মনোযোগসহকারে ব্যাবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। মন্ত্রী বলেন, ‘গ্যাস, জমি, পরিবেশ এসব বিষয়ে ছাড়পত্র পেতে নানা জটিলতা পোহাতে হয়, তা আমি জানি। প্রসেসটাও কঠিন। কিন্তু আপনাদের সমস্যাগুলো আমি জানলাম, এখন খুব দ্রুত এগুলো সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
×