ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দরবনে আশ্রয়ণ কেন্দ্র নির্মাণ ও পুকুর খনন করা হবে

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ৯ নভেম্বর ২০১৪

সুন্দরবনে আশ্রয়ণ কেন্দ্র নির্মাণ ও পুকুর খনন করা হবে

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ সুন্দরবন সুরক্ষা করে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ করতে হবে। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে নিয়োজিত জেলে বহরদারদের জীবনের নিরপত্তা ও সুপীয় পানির সমস্যা দূর করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের ১৯টি চরে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়ণ কেন্দ্র ও পুকুর খনন করবে। এজন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে জায়গা বরাদ্দ পেলেই দ্রুত এসবের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা জেলেদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেছেন। ভারত ও মিয়ানমারের কাছ থেকে সমুদ্র বিজয়ের পর সরকার বিস্তৃত সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ সুন্দরবনের শুঁটকি পল্লীর আলোরকোলে যায়। সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নেতৃত্বে সদস্যরা সুন্দরবনের আলোরকোলে সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের কাজে নিয়োজিত প্রায় ৩০ হাজার জেলের অবস্থা দেখতে বুধবার থেকে তিন দিনের সফরে সেখানে যান। এ সময় জেলেরা তাদের ওপর বনদস্যু বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন, বাংলাদেশ জলসীমায় ভিনদেশী জেলেদের অবাধ বিচরণ, সুন্দরবন উপকূলে পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও মিঠাপানির জন্য পর্যাপ্ত পুকুর না থাকায় দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানান। এ সময়ে তারা আরও বলেন মিঠাপানির অভাবে সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও হরিণসহ প্রাণীকুল জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া জেলেরা সংসদীয় কমিটির কাছে দুবলায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণের দাবি জানান।
×