ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

যমুনা সেতুর পরেই ॥ উত্তরবঙ্গ

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১১ নভেম্বর ২০১৪

যমুনা সেতুর পরেই ॥ উত্তরবঙ্গ

উত্তরবঙ্গের বহু উত্তরে উত্তরবঙ্গের শেষ প্রান্ত। দুটি বিভাগ উত্তরবঙ্গকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে রেখেছে। মূল উত্তরবঙ্গের বিভাগীয় শহর তথা জেলা রংপুর। পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নবাবগঞ্জ জেলা নিয়ে মূল উত্তরবঙ্গ বিভাগ যা উত্তরবঙ্গে অবস্থিত। বয়স্ক বিভাগ রাজশাহী। যাকে উত্তরবঙ্গের বিভাগ বলা হয়। মূলত রাজশাহী বিভাগ উত্তর-পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছে। পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নওয়াবগঞ্জ ও রাজশাহী এর অন্তর্ভুক্ত। যমুনায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর মাথা হতে উত্তরবঙ্গের যাত্রা শুরু। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার ওপরে ডান পাশে পদ্মা নদের পূর্ব তীরে রাজশাহী বিভাগীয় শহরের কিছুটা পূর্ব দিকে ঐতিহ্যবাহী জেলা শহর নাটোর। উভয় বিভাগে সড়ক পথে যাওয়ার একমাত্র বাহন বঙ্গবন্ধু সেতু। এই নাটোরে অবস্থান করছে উত্তরা গণভবন। এই গণভবনে বছরে অন্তত একবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক হওয়ার কথা। উত্তরবঙ্গের গণভবন ধুলাবালিতে ময়লা হয়ে আছে। নির্জন ভবন গণতান্ত্রিক সরকারকে আহ্বান করছে সেখানে যাওয়ার জন্য। দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ হিসেবে খ্যাত উত্তরবঙ্গের গণভবন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, চুনকাম করে সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আগামী শীতকালীন প্রথম মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক বসতে পারে। এতে উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। আশার আলো জ্বলে উঠবে। আশা-আকাক্সক্ষা পূরণ হবে। হতাশা-বেদনা দূর হবে। উত্তরবঙ্গের ঐতিহাসিক নাটোর শহরে স্থাপিত উত্তরা গণভবনে মন্ত্রিপরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হলে গণতন্ত্রের মানস কন্যার মনেপ্রাণে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমবঙ্গের হতভাগাদের কথা বেশি বেশি করে মনে পড়বে। সেই সঙ্গে জরুরী ভিত্তিতে সমস্যাগুলো সমাধানকল্পে ব্যবস্থা নিতে সহজ হবে। নদী ভাঙ্গন, তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়ন, তিস্তা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র নদী খনন, চরাঞ্চলে বসবাসকারী অতি দরিদ্র বঞ্চিত হতভাগাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন। করিডর ও তিন বিঘা সমস্যা সমাধান চুক্ত বাস্তবায়নসহ উত্তরবঙ্গবাসীর প্রতি মানসকন্যার দরদ ও ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে নিঃসন্দেহে। গাইবান্ধার বালাসীতে যমুনায় রেল সেতু ও সড়ক সেতু নির্মাণ অত্যন্ত জরুরী। অনুরূপভাবে কক্সবাজার ও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে গণভবন নির্মাণ করে মন্ত্রিপরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হতে পারে। মেছের আলী শ্রীনগর
×