ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্যামেরা পদ্ধতি ব্যবহার

সুন্দরবনে দ্বিতীয় দফা বাঘ গণনা শুরু

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১২ নভেম্বর ২০১৪

সুন্দরবনে দ্বিতীয় দফা বাঘ গণনা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ সুন্দরবনে মঙ্গলবার থেকে দ্বিতীয় দফায় ক্যামেরা পদ্ধতিতে বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়েছে। ৮৯টি ক্যামেরার মাধ্যমে এ গণনার কাজ চলবে আগামী জুন পর্যন্ত। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ প্রকল্পবিষয়ক আঞ্চলিক সহযোগিতায় এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আনুষ্ঠানিকভাবে বাঘ গণনার জন্য বিশেষ ধরনের ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ওয়াইল্ডলাইফ ম্যানেজমেন্ট ও ন্যাচার কনজারভেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাহিদুল কবির জানান, দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে প্রায় দুই কোটি ২৫ লাখ টাকা। বাঘ গণনায় ৩০ জন মাঠকর্মী অংশ নিচ্ছেন। সুন্দরবনের নীলকোমল অভয়ারণ্য থেকে দ্বিতীয় ধাপে এ বাঘ গণনার কাজ শুরু হয়েছে। এর আগে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপড বাঘ গণনার প্রথম ধাপ শেষ হয় গত এপ্রিলে। এ সময় বাঘের চলাচল ও ছবি ধারণের জন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ৮৯টি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। প্রতিটি ক্যামেরা টানা বিশ দিন ধরে প্রায় তিনশত বর্গকিলোমিটার এলাকার ছবি ধারণ করতে সক্ষম। তিনি জানান, প্রথম পর্যায়ের গণনার ফলাফল ঘোষণা করা হবে না। ধারণকৃত ছবি বিশ্লেষণের পর বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করা হবে। বাংলাদেশ টাইগার এ্যাকশন প্ল্যান-২০০৯-২০১৭, ন্যাশনাল টাইগার রিকভারি প্রোগ্রাম ও বন আইন-২০১২ সংশোধনসহ বাঘ সংরক্ষণের জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চলতি বাঘ গণনা শেষে হরিণ ও অন্যান্য বন্য প্রাণীও গণনা করা হবে বলে ডিএফও জাহিদুল কবির উল্লেখ করেন। ২০০৪ সালের একটি জরিপে দেখা গেছে, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৪০টি বাঘ রয়েছে। ভারত অংশে রয়েছে ২১৭টি বাঘ। ইউএনডিপি পদচিহ্ন ব্যবহার করে এই গণনা করে। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮২ সালে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪৫৩টি বাঘ ছিল। ১৯৮৫ সালে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫০টি। তবে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা পরিচালিত জরিপে বাংলাদেশে বাঘের সংখ্যা ৩৬৯টি বলে উল্লেখ করা হয়।
×