ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চারজন আটক

চকবাজারে ধর্ষণের পর বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৩ নভেম্বর ২০১৪

চকবাজারে ধর্ষণের পর বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পুরান ঢাকার চকবাজারে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণের পর বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম মনি আক্তার (১০)। এ হত্যাকা-ের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে মিরপুরে নির্মাণাধীন চারতলা ছাদ থেকে পড়ে এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার পুলিশ ও মেডিক্যাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে চকবাজার থানাধীন ইসলামবাগ এলাকায় মনি আক্তার নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। নিহতের বাবার নাম চান মিয়া মাঝি। সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে পশ্চিম ইসলামবাগের আলীর ঘাট সংলগ্ন ৩৮/২৪ নম্বর বিজন মিয়ার টিনশেড বাড়ির একটি ঘরে ভাড়া থাকত। ওইদিন গভীর রাতে পুলিশ তার বাড়ির পাশে বিজন মিয়ার বাড়ির গোডাউনের সামনে থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশু মনিকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সহদেব রাজবংশী জানান, শিশুটির গলায় কালো দাগ রয়েছে। যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন ছিল। তিনি জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে শিশু মনির লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পিন্টু কুমার চৌধুরী জানান, রাতে চকবাজারের জনৈক বিজন মিয়ার বাড়ির গোডাউনের পাশ থেকে শিশুটি রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। তিনি জানান, ধর্ষণের ফলে মেয়েটির যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। এতে মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়। তার বীভৎস অবস্থা দেখে পুলিশও আঁতকে উঠেছে। তিনি আরও জানান, শিশু বাক প্রতিবন্ধী ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, কোন পরিচিত লোক তাকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যা করে থাকতে পারে। তার গলায় সেরকম চিহ্ন পাওয়া গেছে। চকবাজার থানার ওসি আজিজুল হক জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দেলোয়ারসহ চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা চান মিয়া বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ২৫। এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে মিরপুর-১২ নম্বর সেকশনের ডিএস মাঠে নির্মাণাধীন চারতলা ভবন থেকে পড়ে নাজমুল হোসেন (২০) নামে এক রাজমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের বাবার নাম মোতালেব হোসেন। গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার পচাঘাটা এলাকায়। তিনি রামপুরা টিভি সেন্টারের পেছনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। নিহতের সহকর্মী সোলেমান জানান, মিরপুর-১২ নম্বর ডিএস মাঠে একটি ভবনে কাজ করছিলেন তাঁরা। সন্ধ্যার দিকে ভবন থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন নাজমুল। প্রথমে তাঁকে পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
×