অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বড় ধরনের সূচকের উর্ধগতি দিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। এই দিন দুই স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্য সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের বেশিরভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধির দিনে মোট সূচক বেড়েছে প্রায় ২ শতাংশের ওপর। বেশ কিছুদিন পরে সেখানে সার্বিক সূচকটি বেড়েছে প্রায় ১শ’ পয়েন্ট। তবে সেখানকার বাছাই সূচকটি সেই হারে বেশি বেড়েছে। চলতি বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের প্রথম কার্যদিবসে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো চাহিদার শীর্ষে উঠে আসে। দীর্ঘদিন পরে এই খাতের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ার কারণেই বাজারে সূচকের এই উল্লম্ফন। এছাড়া বহুজাতিক কোম্পানি গ্রামীণফোনসহ বড় মূলধনী কিছু কোম্পানির সঙ্গে সঙ্গে দর হারাতে থাকা কোম্পানিগুলোরও শেয়ারের ক্রয়াদেশ বাড়ছিল। ফলে দিনশেষে উভয় বাজারেই বিনিয়োগকারীদের স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার প্রবণতা দিয়ে ডিএসইর লেনদেন শুরু হয়। শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই লেনদেনের শীর্ষে চলে আসে ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলো। তবে ক্রেতার তুলনায় বিক্রেতার সংখ্যা কম থাকার কারণে বাজারে লেনদেন সেই হারে বাড়েনি। দিনশেষে সোমবার ডিএসইতে ৩৪১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় ১০৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা বা ৪৭ শতাংশ বেশি। রবিবার ডিএসইতে ২৩২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক বা ডিএসই এক্স ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১৩১ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৯৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৯৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৩টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ৩৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১২টির।
এছাড়া ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে এবি ব্যাংকের শেয়ার। এরপরে রয়েছে- গ্রামীণফোন, যমুনা অয়েল, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, কেয়া কসমেটিকস, সামিট পোর্ট, এ্যালায়েন্স, সিটি ব্যাংক এবং বেক্সিমকো ফার্মা।
ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, মবিল যমুনা বিডি, গ্রামীণফোন, লঙ্কা বাংলা ফাইন্যান্স, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, এসিআই ফর্মুলেশন, ইসলামিক ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স ও ট্রাস্ট ব্যাংক।
দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : নদার্ন জুটস, স্টান্ডার্ড সিরাসিক, আইসিবি ১ম এনআরবি, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, মুন্নু স্টাফলারস, সোনালী আঁশ, সোনারগাঁও, আফতাব অটোস, কেয়া কসমেটিকস ও খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
অপরদিকে ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকের উর্ধগতি দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও সেখানেও লেনদেনের আধিপত্য বিস্তার করেছে। যার কারণে সূচকের বড় ধরনের ইতিবাচক প্রবণতা দেখা দেয়। দিনটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক ৩৫৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ৭ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২১২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৯টির, কমেছে ৩৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির। (সিএসই) ২৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, আরএন স্পিনিং, গ্রামীণফোন, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, এবি ব্যাংক, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, ইউসিবিএল, বেক্সিমকো ও সিটি ব্যাংক।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: