ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের ১০ গোল থাইল্যান্ডের জালে

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ৩ ডিসেম্বর ২০১৪

বাংলাদেশের ১০ গোল থাইল্যান্ডের জালে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গুনে গুনে নামতার মতো দশ গোল। প্রতিপক্ষ দলের ‘ছেড়ে দে বাপ, কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা। এ যেন ‘ত্রাহি ত্রাহি মধূসুদন!’ প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড অনুর্ধ-২১ দলের এমনই দুরবস্থা করে ছেড়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ অনুর্ধ-২১ দল। ‘পুরুষ জুনিয়র এএইচএফ জুনিয়র হকি’ বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের ধারা অক্ষুণœ রেখেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ১০-০ গোলে থাইল্যান্ডকে শোচনীয় ও তিক্ত হারের স্বাদ উপহার দেয় বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে ৫-০ গোলে এগিয়ে ছিল বিজয়ী দল। খোরশেদ ও মিলন ৩টি করে গোল করলেও কৌশিক জোড়া গোল করেন, সারোয়ার ও রোমান করেন ১টি করে গোল। কেউই হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে চাইনিজ তাইপের অনুর্ধ-২১ দলকে ৭-০ গোলে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ-২১ হকি দল। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই ছন্দে খেলে বাংলাদেশ। আক্রমণে-আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত-বিপর্যস্ত করে তোলে থাইবাহিনীকে। ম্যাচের ৩ মিনিটেই গোলের ‘হালখাতা’ উদ্বোধন করে স্বাগতিকরা। ম্যাচের তখন মাত্র ৩ মিনিট। অধিনায়ক সারোয়ার হোসেন সরাসরি হিটে প্রথম গোল করেন (১-০)। ৭ মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম পিসি। মিলন-সারোয়ার-খোরশেদ কম্বিনেশন। থাই গোলরক্ষক সুরিফংয়ের ডানপ্রান্ত দিয়ে ফ্লিক করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন খোরশেদের রহমান (২-০)। ১১ মিনিটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় পিসি। আবারও মিলন-সারোয়ার-খোরশেদ কম্বিনেশন। খোরশেদের তীব্র হিট থাই প্লেয়ার ওয়ারোত স্টিক দিয়ে ফেরাতে গিয়েও শেষরক্ষা করতে পারেননি (৩-০)। ২১ মিনিটে থাই ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে একক প্রচেষ্টায় গোল করেন মিলন হোসেন গোল করেন (৪-০)। ২৩ মিনিটে বাংলাদেশের তৃতীয় পিসি। জটলা থেকে খোরশেদ দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় গোল করেন (৫-০)। বিরতির পরও সমানতালে খেলতে থাকে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ৩৯ মিনিটে মিলনের পাসে কৌশিকের হিটে বাংলাদেশ একাউন্টে জমা হয় ষষ্ঠ গোল (৬-০)। ৪১ মিনিটে শিটুলের পাওয়ার হিটে মিলনের পুশ থাই গোলকিপার রুখে দিলেও তা থেকে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ঠিকই গোল আদায় করে নেন মিলন (৭-০)। ৪৪ মিনিটে রোমান সুযোগ সন্ধানী গোল করেন (৮-০)। ৪৮ মিনিটে সারোয়ারের পাস থেকে কৌশিক আবারও খুঁজে নেন থাই-জাল (৯-০)। ৫৭ মিনিটে সারোয়ার-রোমান ও মিলনের কম্বিনেশনে বাংলাদেশ করে তাদের দশম গোল (১০-০)। এছাড়াও কটি গোলের সুযোগ নষ্ট করে বাংলাদেশ। আজ একই ভেন্যুতে দুপুর সাড়ে ১২টায় মুখোমুখি হবে চায়নিজ তাইপে বনাম থাইল্যান্ড এবং বিকেল ৩টায় শ্রীলঙ্কা বনাম ওমান। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ দলের কোচ মামুনুর রশিদ বলেন, ‘প্রতিপক্ষ যত দুর্বলই হোক না কেন, প্রতিপক্ষ সব সময়ই শক্তিধর আমাদের কাছে। আমাদের যে পরিকল্পনা ছিল সে অনুযায়ী আমরা ভাল খেলেছি। আমাদের গত ম্যাচে প্রথমার্ধে একটু বোঝাপড়ার অভাব ছিল। আগের ম্যাচে রেজাল্টটা প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। সেটিই আজ আমরা কভার করতে চেয়েছি এবং পেরেছি। যদিও আজ অনেক গোল করতে পারতাম।’ আগামী ম্যাচে বাংলাদেশের কঠিন প্রতিপক্ষ ওমান। এ ম্যাচের আগে বাংলাদেশের এই বড় জয়টাকে কি ওয়ার্মআপ হিসেবে দেখছেন কি না? ‘ওমান অনেক কঠিন প্রতিপক্ষ। আমরা ওমানকে শক্তভাবেই দেখছি। আমাদের গেম পলিসি বা গেম প্ল্যান সেভাবেই আমাদের আছে। ওমানকে আমরা সেভাবেই মোকাবেলা করে ইনশাল্লাহ আমরাই জিতব।’
×