ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে ৫ কেজি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ৪ ডিসেম্বর ২০১৪

রাজধানীতে ৫ কেজি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী থেকে প্রায় সোয়া ৫ কেজি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এক শিক্ষকসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজধানীতে নাশকতা চালাতে বিস্ফোরকগুলো মজুদ করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক দিয়ে বড় ধরনের নাশকতা চালাতে শক্তিশালী বোমা তৈরির পরিকল্পনা চলছিল। বিস্ফোরকগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় রাজধানীর খিলগাঁও সি ব্লক এলাকার বোস্টন স্কুল এ্যান্ড কলেজের সামনে অভিযান চালায় খিলগাঁও থানা পুলিশ। অভিযানে একটি সিমেন্টের বস্তার বাজারের ব্যাগে বিস্ফোরকসহ এইচ এম আতিকুর রহমান (২৪) ও মাহবুবুর রহমান (১৮) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ কেজি ২শ’ গ্রাম বিস্ফোরক। আতিকুর রহমানের পিতার নাম আব্দুল্লাহ হাওলাদার। বাড়ি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানাধীন সরাইল গ্রামে। আর মাহবুবুর রহমানের হানিফ মোল্লা। বাড়ি মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানাধীন সিংধা গ্রামে। এ ব্যাপারে খিলগাঁও থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক রবিউল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান,গ্রেফতারকৃত আতিকুর রহমান খিলগাঁও পলাশ এ্যাডুকেয়ার কোচিং একাডেমির শিক্ষক। তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পাস। অপরজন মাহবুবুর রহমান এসএসসি পাস। তিনি ওই কোচিং একাডেমির অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত। গ্রেফতারকৃতদের কাছে একজন বিস্ফোরক দিয়ে যায়। ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছেন গ্রেফতারকৃতরা। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের স্বার্থে বিস্ফোরক সরবরাহকারীর নাম প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি। গ্রেফতারকৃতদের বিস্ফোরকগুলো অন্য একজনের কাছে পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল। সে মোতাবেক তারা বিস্ফোরকগুলো একটি সাধারণ ব্যাগে করে হেটে নিয়ে যাচ্ছিল। যাওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা জব্দৃকত বিস্ফোরক পরীক্ষা করেছেন। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জব্দকৃত বিস্ফোরকগুলো উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক জানা গেছে। এসব বিস্ফোরক দিয়ে শক্তিশালী বোমা তৈরী করে বড় ধরনের নাশকতা চালানো সম্ভব ছিল। বিস্ফোরকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আদালতের অনুমতিসাপেক্ষে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানাধীন ডিস্ট্রিলারী রোডে অবস্থিত বিস্ফোরক পরীক্ষাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভূঁইয়া জনকণ্ঠকে জানান, গ্রেফতারকৃতরা কোন জঙ্গী সংগঠনের সদস্য কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি বিস্ফোরকগুলো কোথা থেকে কিভাবে কার মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের হাতে পৌঁছে সে বিষয়ে বিস্তর অনুসন্ধান চলছে। জব্দৃকত বিস্ফোরক দিয়ে শক্তিশালী বোমা তৈরি করে নাশকতা চালানোর জন্যই মজুদ করা হয়েছিল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে পুরো চক্রের সঙ্গে কে বা কারা জড়িত তা জানা যায়নি। তা জানার চেষ্টা চলছে।
×