ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি

৬ ডিসেম্বর ভারতের স্বীকৃতি বিজয় ত্বরান্বিত করে

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

৬ ডিসেম্বর ভারতের স্বীকৃতি বিজয় ত্বরান্বিত করে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বৈধতা দেয়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করেছে ভারতের স্বীকৃতি। ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ ভারতের স্বীকৃতির পর ভারতীয় যৌথ কমান্ডের অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনী এগিয়ে এসেছে, অর্জিত হয়েছে ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়। ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধরত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত। আর তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ৬ ডিসেম্বর এক অবিস্মরণীয় দিন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর ১৭ হাজার সদস্য শহীদ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, আশ্রয় দানসহ সার্বিক সহযোগিতা করেছে ভারত। একই সঙ্গে বাংলাদেশের ১ কোটি সহায়সম্বলহীন শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্যে আন্তর্জাতিক জনমত সংগ্রহ করেছে ভারত। বিশ্বের ইতিহাসে অন্য কোন দেশের স্বাধীনতার জন্য এমন আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত বিরল। ভারতের এই স্বীকতি পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মরণপণ যুদ্ধরত রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ সরকার এবং বাঙালী জাতিকে ব্যাপক উদ্দীপনায় উজ্জীবিত করেছিল। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে বাংলাদেশকে ভারতের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় একাত্তরের বিজয়ের ইতিহাস তুলে ধরে একথা বললেন বক্তারা। কাজী মুকুলের পরিচালনায় এই আলোচনা সভায় ভারতীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার সন্দ্বীপ চক্রবর্তী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মাঝে যে সন্দেহ এবং অবিশ্বাস দানা বেঁধেছে, সেটা নিশ্চয়ই কেটে যাবে। দুই দেশের বন্ধুত্ব বরাবরের মতোই থাকবে। সঙ্কট মোকাবেলায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করলে যে কোন সঙ্কট থেকে উত্তরণ সম্ভব।এই আলোচনা সভায় আরও আলোচনা করেন মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ মামুন রশীদ, মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী, মমতাজ লতিফ এবং শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী।
×