ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হকি ‍॥ শিরোপা জয়ের অনুভূতি কোচ-শিষ্যদের

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৮ ডিসেম্বর ২০১৪

হকি ‍॥ শিরোপা জয়ের অনুভূতি কোচ-শিষ্যদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জুনিয়র হকিতে অপরাজিত শিরোপা জেতার পর বাংলাদেশের অধিনায়ক সারোয়ার হোসেনের অনুভূতি কেমন ছিল? ‘এত বড় একটা টুর্নামেন্টে দলের যে কম্বিনেশন এবং পারফর্মেন্স ছিল, তাতে আমি পুরোপুরি খুশি।’ কোচ মামুনুর রশীদ বলেন, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভারতে গিয়ে ৭টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা অনেক কাজে লেগেছে এই টুর্নামেন্টে সাফল্য পাওয়ার পেছনে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান ফোকাস ছিল সবসময় পজিটিভ থাকা। আপনারা এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলোর দিকে তাকালেই দেখতে পারবেন। আমাদের ছেলেরা কিন্তু কখনই তাদের খেলার ধারা থেকে নেমে আসেনি।’ এশিয়ান মানে বাংলাদেশের হকি যেতে কত সময় লাগবে? ‘যদি খেলোয়াড়দের ঠিকমতো সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশের যে কোন খেলোয়াড়কে দিয়ে অনেক কিছু সম্ভব। আমাদের পক্ষে এশিয়া লেভেলে ৫-৬ নম্বরে থাকা সম্ভব।’ এই টুর্নামেন্ট শেষে সব থেকে বড় প্রাপ্তি কি? কোচের উত্তর, ‘আমাদের জাতীয় দলের যে কজন খেলোয়াড় ছিল, তার বাইরেও ১২/১৩ খেলোয়াড় বের হয়ে এসেছেন। যারা জাতীয় দলের ওই খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগ হবেন। পাইপলাইনে নতুন খেলোয়াড় এসেছে। যারা জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নক করতে পারেন। এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’ দায়িত্ব পাওয়ার পরই কি আশা করেছিলেন যে প্রাপ্তিটা এত বড় হবে? ‘আমার প্রথমেই স্বপ্ন ছিল চ্যাম্পিয়ন হব। প্রথম থেকেই সে অনুযায়ীই প্রস্ততি নিয়েছি। তবে ওমান এবং শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে কিছুটা শঙ্কা ছিল। আমাদের এই টিমটা নিয়ে আমি খুবই খুশি। এই টিমটাকে যদি এখন থেকেই ভবিষ্যতের জন্য লালন করা হয়। এই টিমের ভবিষ্যত অনেক ভাল। আমি স্বপ্ন দেখি জুনিয়র বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করার। আমার বিশ্বাস এই টিমকে দিয়ে সম্ভব।’ ওমানের কোচও স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে অসাধারণ খেলেছে। তবে ফাইনাল ম্যাচে ব্যবধানটা সম্মানজনক আশা করেছিলেন তিনি। আম্পায়ারিং নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা (১০টি) বাংলাদেশের খোরশেদুর রহমান। ফাইনালে ওমানের বিপক্ষে দুই গোল করেছেন। গোলগুলো নিজের মা-বাবাকে উৎসর্গ করেন তিনি। জুনিয়র এবং জাতীয় দলেও খোরশেদের ভূমিকা ডিফেন্ডারের। তবে পেনাল্টি কর্নার থেকে নিখুঁত হিটে গোল করতে পারঙ্গম তিনি। এএইচএফ কাপে ভাল করায় জাতীয় দলের হয়ে আগামীতে পেনাল্টি কর্নারে হিট করার চ্যালেঞ্জ নিতে চান তিনি, ‘এ আসরের জন্য অনেক অনুশীলন করেছিলাম। এবার সেরা গোলদাতা হওয়ায় আত্মবিশ্বাসও অনেক বেড়েছে। জাতীয় দলে যদি চয়ন ভাইয়ের জায়গায় পেনাল্টি কর্নার নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়, আশা করি হতাশ করব না।’
×