ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইয়ে সোনালী ব্যাংকে জনবল ও ভল্ট সঙ্কট ॥ জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ৮ ডিসেম্বর ২০১৪

চাঁপাইয়ে সোনালী ব্যাংকে  জনবল ও ভল্ট সঙ্কট ॥  জনদুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ সোনালী ব্যাংকের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রধান ও ট্রেজারী শাখাটি বর্তমানে জনবল সঙ্কটের কারণে জনসাধারণ সব ধরনের সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিত্বকারী ট্রেজারী শাখা হবার কারণে সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ ধরনের সেবা নিতে আসা জনসাধারণের চাপের মুখে বর্তমানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বেহাল দশার মধ্যে পড়ে কোন কোন সময় লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে মাসের প্রথম সপ্তাহে জেলা শহরের সব ধরনের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, পেনশনভুক্ত কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধাসহ বয়স্কভাতা ইত্যাদি একাধিক মহলের টাকা যোগান দিতে হয় এই শাখাটিকে। একইভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা একই সময় এসে টাকার জন্য ধরনা দিয়ে থাকেন। এছাড়াও রয়েছে আমাদানি-রফতানিকারকদের লেনদেন ও প্রায় ২৩টি সরকারী-বেসরকারী ব্যাংকের চাহিদা মাফিক টাকা যোগান দেয়া এবং দিন শেষে এসব ব্যাংকের পুরো আমানত জমা নেবার দায়িত্ব পালন করে থাকে সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারী শাখাটি। ফলে ব্যাংকের অফিসসহ পুরো স্টাফ হিমশিম খেয়ে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরেও গভীর রাত পর্যন্ত শ্রম দিয়ে থাকেন। তারপরেও জনদুর্ভোগ না কমে প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। আকাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না জনগণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এজিএম পদমর্যাদার জনৈক কর্মকর্তা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা অর্থাৎ এই শাখাটি স্টাফ সঙ্কটে থাকার পরেও নানামুখী সেবা দিয়ে চলেছে, যা এই মুহূর্তে ত্রুটিপূর্ণ বলে অকপটে স্বীকার করেন। এই শাখার শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় অর্ধশতাধিক। তার মধ্যে অফিসার পদে বিশজন ও বাকি কর্মচারী পদে প্রায় কয়েক বছর ধরে কোন লোক নেই। বার বার জরুরী তাগিদ দেবার পরও এসব শূন্যপদে লোক না দিয়ে বর্তমান স্টাফদের বেকায়দায় ফেলে রেখেছে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। তারপরেও সীমিত জনবল নিয়ে চেষ্টা করছে জনসাধারণের সেবা দেয়ার। ৪টি সরকারী ও প্রায় ১৯টি বেসরকারী ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের ৮টি শাখা থেকে টাকা আসা শুরু হয়। গড়পড়তা প্রতিদিন এ টাকার পরিমাণ ২০ কোটি ছাড়িয়ে যায়।
×