ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বকাপে খেলতে চান না শোয়েব মালিক!

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১১ ডিসেম্বর ২০১৪

বিশ্বকাপে খেলতে চান না শোয়েব মালিক!

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বকাপে খেলা যে কোন খেলোয়াড়ের আজীবনের লালিত স্বপ্ন। এ জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত তারা। অথচ শোয়েব মালিক এ কী বলছেন? ত্রিশ সদস্যের প্রাথমিক দলে থাকলেও পাকিস্তানী অলরাউন্ডার নাকি বিশ্বকাপে খেলতে আগ্রহী নন! নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে শক্তিশালী সংবাদ মাধ্যম পিটিআই এটি জানিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, দুটি কারণে অনীহা তৈরি হয়েছে অভিজ্ঞ এই তারকার। প্রথমত অভিমান, সাম্প্রতিককালে নির্বাচকরা তাকে মোটেই মূল্যায়ন করেনি। দ্বিতীয় কারণটি ভয়াবহÑ শোয়েব নিজেই মনে করেন তাঁর বোলিং এ্যাকশন ত্রুটিপূর্ণ এবং বিশ্বকাপে সেটি উঠে আসলে ক্যারিয়ার নিয়েই হুমকিতে পড়বেন সাবেক অধিনায়ক! জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও সাম্প্রতিক ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করে বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে জায়গা করে নেন মালিক। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি এই মুূহূর্তে বোলিং এ্যাকশন নিয়ে বেশ কড়াকড়ি করছে। কয়েক মাসের মধ্যে একাধিক আন্তর্জাতিক বোলার নিষিদ্ধ হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে আছেন সতীর্থ দুই তারকা স্পিনার সাঈদ আজমল ও মোহাম্মদ হাফিজও। ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি২০তে লোভনীয় অর্থে খেলার প্রস্তাব রয়েছে ৩২ বছর বয়সী মালিকের। বোলিং এ্যাকশন নিয়ে আইসিসি যেভাবে কঠোর, তাতেই বেশি শঙ্কিত এই অফস্পিনার। এই অবস্থায় মালিক কিছুটা ভয়ের মধ্যে আছেন বলে সূত্রটি জানিয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয় ‘মালিক সম্প্রতি নিজের বোলিং এ্যাকশন নিয়ে বেশ কাজ করেছে। কিন্তু তবু সে উদ্বিগ্ন। কারণ সামনের মাসগুলোতে কিছু বিদেশী টি২০ লীগে খেলতে লোভনীয় প্রস্তাব রয়েছে তারা। এ অবস্থায় যতটা সম্ভব ঝামেলা এড়াতে মরিয়া তিনি।’ গত কয়েক মৌসুমে পাকিস্তানে বোলিং আক্রমণের পুরোধা হয়ে ছিলেন তুখোড় আজমল। অবিশ্বাস্য সাফল্যে দলের হয়ে অবদান রেখেছেন তিনি। কিন্তু আইসিসির এ্যাকশন পরীক্ষায় উৎড়ে যেতে ব্যর্থ হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থেকে নিষিদ্ধ আজমল। মাত্রই ক’দিন আগে দলটির জন্য বড় আঘাত হয়ে আসে হাফিজের পরিণতি। অবৈধ এ্যাকশনের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার বোলিংকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। অথচ ফেব্রুয়ারি-মার্চে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বসছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর বিশ্বকাপ, যেখানে দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের জন্য লড়াই করবেন মিসবাহ-উল হক, শহীদ আফ্রিদিরা। আজমল-হাফিজের নিষেধাজ্ঞায় দলে সুযোগ পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থাকছে শোয়েব মালিকের। টিকে যেতে পারেন পনেরো সদস্যের চূড়ান্ত দলেও। আফ্রিদির সঙ্গে দলের স্পিন-ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হওয়ার কথা অথচ ভয়ে পালাতে চাইছেন তিনি! বোলিং নিয়ে মালিক ঝামেলায় পড়তে পারেন বলে মনে করেন দেশটির সাবেক দুই তারকা শোয়েব আখতার আরও রমিজ রাজাও। স্পিডস্টার বলেছেন, ‘নিজের বোলিং নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলে টি২০’র লোভনীয় সুযোগ নষ্ট করা উচিত নয়। অন্তত মালিকের মতো একজনের ক্ষেত্রে!’ এ কথা বলে আখতার মূলত বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করেন। কারণ জাতীয় দলে অনিয়মিত মালিকের আয়ের বড় উৎস ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (সিপিএল), অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশের মতো টি২০ টুর্নামেন্ট। ২০০১ থেকে এ পর্যন্ত পাকিস্তানের জার্সিতে ৩২ টেস্ট, ২১৫ ওয়ানডে ও ৫৯টি টি২০ ম্যাচ খেলেন মালিক।
×