ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় তীব্র গ্যাস সঙ্কট, দুর্ভোগে গ্রাহক

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ১১ ডিসেম্বর ২০১৪

কুমিল্লায় তীব্র গ্যাস সঙ্কট, দুর্ভোগে গ্রাহক

মীর শাহ আলম, কুমিল্লা ॥ কুমিল্লায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (বিজিডিসিএল)-এর গ্যাসের তীব্র সংকটের কারণে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন গ্রাহকরা। সকাল ৮টার দিকে বাসাবাড়ি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবহৃত গ্যাসের চুলা ক্রমেই বন্ধ হয়ে যায়। কুমিল্লা মহানগরীতে এ দুর্ভোগ এখন চরম আকার ধারণ করেছে। গ্যাস সংকট চলছে খোদ বিজিডিসিএল প্রধান কার্যালয়ের ক্যান্টিনসহ এর আবাসিক এলাকায়ও। বিজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ নগরীতে ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের কথা বললেও মূলত এ দুর্ভোগের জন্য সিএনজি ফিলিং স্টেশন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ আবাসিক এলাকায় যোগসাজশে অবৈধ-চোরাই সংযোগকে দায়ী করেছেন অনেক ভুক্তভোগী। জানা গেছে, কুমিল্লার আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ উপজেলা ও মহানগরীতে গত ৫/৬ মাস ধরে বাসাবাড়িতে গ্যাস সংকট সৃষ্টি হয়। সকাল ১০টা-১১টা থেকে বিকাল ২টা-৩টা পর্যন্ত গ্যাসের প্রয়োজনীয় সরবরাহ না থাকায় চুলার আগুন মিটিমিটি করে জ্বলে একেবারে ক্ষীণ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা-৪টা পর্যন্ত সরবরাহ না থাকায় গ্যাসের চুলায় রান্নাবান্নার কাজ চলে না। এতে নগরীর কান্দিরপাড়, রাণীর দীঘিরপাড়, দক্ষিণ চর্থা, কালিয়াজুরী, ছোটরা, ভাটপাড়া, কাপ্তান বাজার, পুরাতন চৌধুরীপাড়া, চাঁনপুর, বিষ্ণুপুর, নতুন চৌধুরীপাড়া, উত্তর বাগিচাগাঁও, ঝাউতলা, বাদুরতলা, শাকতলা, ঠাকুরপাড়া, চকবাজার ও নগরীর দক্ষিণাংশের দিশাবন্দ, লক্ষ্মীনগর, আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ উপজেলা এলাকার কয়েক হাজার গ্রাহক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এদিকে বিজিডিসিএল’র প্রধান কার্যালয়ের ক্যান্টিন ও আবাসিক এলাকাসহ আশপাশের এলাকায়ও তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। ভুক্তভোগিরা জানান, প্রতিদিন সকাল ৮টার দিকে গ্যাস চলে যায়, আর বিকাল সাড়ে ৩টা-৪টার দিকে আসে। এতে স্কুল-কলেজে পড়–য়া ছেলে-মেয়েদের খেয়ে না খেয়ে স্কুল-কলেজে যেতে হচ্ছে। এমনকি সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও খাবার না খেয়ে অফিস-আদালতে যেতে হচ্ছে। গ্যাসের অভাবে রান্না-বান্নার কাজে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। সহসা এ দুর্ভোগ নিরসনের দাবি জানান ভুক্তভোগীরা। বিজিডিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুর রহমান বুধবার জানান, সরবরাহের তুলনায় কানেকশন বেশি। এছাড়া শীতের কারণে প্রেসার কম থাকায় সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে কিছু অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা অব্যাহত থাকবে। গ্যাস সংকট সমাধানের চেষ্টা চলছে।
×