ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন সফটওয়ারে লেনদেন মন্দা

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১২ ডিসেম্বর ২০১৪

নতুন সফটওয়ারে লেনদেন মন্দা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা (অটোমেটেড ট্রেডিং সিস্টেম) চালুর প্রথম দিনের মারাত্মকভাবে লেনদেনে খরা দেখা দিয়েছে। নতুন সফটওয়ারটির সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের কম পরিচিত বা সিস্টেমটি বুঝতে না পারার কারণেই লেনদেনের এই নেতিবাচক প্রবণতা। এছাড়া অনুমোদিত প্রতিনিধি যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবের প্রভাবও দেখা গেছে বাজারে। বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, আলোচিত এই সফটওয়ারটি চালুর আগে অনুমোদিত প্রতিনিধিদের আরও প্রশিক্ষণের দরকার ছিল। কারণ তারাই এই লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। নতুন এই সফটওয়ারটির চালুর দিনে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের প্রায় ২০টির বেশি ব্রোকার হাউস ঘুরে বিনিয়োগকারীদের নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। তাঁদের অনেকেই নতুন সফটওয়ারটি বুঝতে পারছেন না। আবারও সফটওয়ারে সূচকের ওঠানামা দেখা গেলেও সার্বিক লেনদেন দেখা যায়নি। তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা ছিল শেয়ার বিক্রি করে সেটেলমেন্ট হচ্ছিল না। অর্থাৎ শেয়ার বিক্রি করে সেই টাকায় দিয়ে নতুন করে শেয়ার কেনা যায়নি। যার কারণে ম্যাচিরউড ফান্ড দিয়ে বিনিয়োগকারীদের লেনদেন করতে হয়েছে। ফলে নেতিবাচক প্রভাব সহজেই পরিলক্ষিত হয়েছে। শুরুতে বিনিয়োগকারীদের মাঝে সফটওয়ার নিয়ে উচ্ছ্বাস থাকলেও লেনদেন শুরুর পর তা মিলিয়ে গেছে। বেশিরভাগই আগের সফটওয়ারে ফিরে যাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, আগের সফটওয়্যারটিতে শেয়ার লেনদেনের চিত্র স্ক্রল বা ট্রিগারের মাধ্যমে দেখা যেত। বর্তমানে সফটওয়্যারে স্ক্রল নেই। নতুন এ সফটওয়্যারে নেটিং সুবিধা নেই। লেনদেনে হাওলা চার্জ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়ে ফিনিক্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কাদির চৌধুরী বলেন, নতুন এ সফটওয়্যারের সংযোজনে কারণে ট্রেড ভলিউম কমে গেছে। কারণ বিনিয়োগকারীদের দামের ওঠানামা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। সপ্তাহ খানেক এ রকম থাকতে পারে। তারপর সব ঠিক হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি। কমার্স ব্যাংক সিকিউরিটিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এম এ মোতালেব চৌধুরী বলেন, অনেক বিনিয়োগকারী নতুন এ স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা সম্পর্কে এখনও বুঝে উঠতে পারেনি। মূলত এ কারণে অর্ডার দিচ্ছে না। কাস্টমাররা আসছেন এবং ট্রেড কিভাবে হচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করছেন। আমাদের ট্রেডারদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু কাস্টমাররা বুঝে উঠতে না পারায় ট্রেড ভলিউম অনেক কমে গেছে। অন্যদিকে নতুন সফটওয়ারে কিছুটা স্বস্তিও মিলেছে। বিশেষ করে লট প্রথা না থাকার কারণে দীর্ঘদিন ধরে অডলটে আটকে থাকা শেয়ারগুলোর বিনিয়োগকারীদের মাঝে কিছুটা খুশি হতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবারে সাধারণত বড় হাওলায় লেনদেন কম হলেও বিনিয়োগকারীদের অডলটের শেয়ার বিক্রি করতে দেখা গেছে।
×