ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কাল কমিশনের সুপারিশ পেশ

সরকারী চাকুরেদের বেতন দ্বিগুণ হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪

সরকারী চাকুরেদের বেতন দ্বিগুণ হচ্ছে

এম শাহজাহান ॥ সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতনভাতা দ্বিগুণ করার সুপারিশ করেছে ‘জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশন-২০১৩’। এতে সর্বোচ্চ বেতন (মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের) বর্তমানের ৪৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন মূল বেতন (চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের) বর্তমানের ৪১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮২০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আর বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে তা ১৬টিতে নামিয়ে এনে প্রতিটিতে প্রায় শতভাগ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কমিশন। আগামীকাল রবিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে বেতন কাঠামোর সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন জমা দেবেন পে-কমিশন চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। জানা গেছে, পে-কমিশনের রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে নতুন বেতন স্কেল কার্যকর করবে সরকার। আর ওই সময় থেকে সারাদেশের প্রায় ১৪ লাখ সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তারা বাড়তি বেতনভাতা পাবেন। কমিশনের রিপোর্ট পুরোপুরি বাস্তবায়নে সরকারী চাকরিজীবীদের জন্য সরকারের বছরে খরচ হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান বেতনভাতা বাবদ ৩৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এজন্য আগামী বাজেটে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা করা রয়েছে। সূত্র মতে, পে-কমিশন সিনিয়র সচিবদের জন্য বেতনের সুপারিশ করেছে ৯০ হাজার টাকা। আর সচিবদের জন্য করা হচ্ছে ৮০ হাজার টাকা। বর্তমানে সিনিয়র সচিবেরা নির্ধারিত ৪২ হাজার ও সচিবেরা ৪০ হাজার টাকা করে বেতন পান। দ্বিতীয় ধাপের বেতনের সুপারিশ করা হচ্ছে ৭০ হাজার টাকা। বর্তমানে এই ধাপের মূল বেতন ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা। আর তৃতীয় ধাপের জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে ৬০ হাজার টাকা। বর্তমানে এই ধাপের মূল বেতন ২৯ হাজার টাকা। বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তারা নবম ধাপে বেতন পেয়ে থাকেন। তাঁদের বর্তমান মূল বেতন ১১ হাজার টাকা। নতুন কাঠামোতে তাঁদের জন্য সুপারিশ করা হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা। পে-কমিশনের এই রিপোর্ট কার্যকর হলে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আসার পাশাপাশি সরকারী চাকরিজীবীদের দুর্নীতি কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গবর্নর ড. খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ জনকণ্ঠকে বলেন, বেতনভাতা বাড়ার সঙ্গে দুর্নীতির খ্বু একটা সম্পর্ক নেই। দুর্নীতি হচ্ছে এক ধরনের ছোঁয়াচে ব্যাধি। এই ব্যাধিতে যারা আক্রান্ত তারা বেতন বাড়লেও দুর্নীতি করবে। তবে বেতন বাড়ানোর পর সরকারের উচিত এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নেয়া। যারা দুর্নীতি করবে তাদের শাস্তি দ্রুত নিশ্চিত করতে পারলে বেতনভাতা বাড়ানোর সার্থকতা হবে। তিনি বলেন, জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে বেড়েছে তাতে কমিশন যে সুপারিশ করবে তা বাস্তবায়নে সরকারের মনোযোগ দেয়া উচিত। তবে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী এ ধরনের রিপোর্ট কাটছাঁট করে বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। এদিকে, বেতন বৃদ্ধির জন্য ইতোপূর্বে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত সুপারিশ থাকলেও এবারই সুপারিশ করা হচ্ছে দ্বিগুণের বেশি। আগের সববারই চারজন সদস্যের পরিবার ধরে বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করা হতো। নতুন বেতন কাঠামোর সুপারিশ তৈরির ক্ষেত্রে বাবা-মাসহ ছয়জনের একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয় এবং দুই সন্তানের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সরকারী, আধা-সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নতুন বেতন কাঠামোর আওতায় আসবেন। এছাড়া এবার বেতন কাঠামোর সুপারিশ তৈরিতে সরকারের আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় রেখেছে কমিশন। এদিকে বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বর্তমান বিদেশ সফরে রয়েছেন। আজ শনিবার রাতে তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তবে বিদেশ যাওয়ার আগে তিনি জানিয়েছেন, পে-কমিশনের রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামীকাল রবিবারের মধ্যে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর হাতে সেই রিপোর্ট তুলে দেয়া হবে। তিনি জানান, সময়ের আগেই বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করেছে। এতে বীমা সুবিধা ও অন্যান্য সুবিধার জন্য সুপারিশ থাকবে। অন্য সুবিধাগুলো বাস্তবতার সঙ্গে মিল রেখে যৌক্তিক করার সুপারিশ করা হয়েছে। আর নতুন বেতন স্কেলে গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬টি। গত বছরের ২৪ নবেম্বর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের অষ্টম জাতীয় চাকরি ও বেতন কমিশন গঠন করা হয়। যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নতুন বেতন কাঠামোতে বিদ্যমান বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত, আপ্যায়ন, উৎসব, বিনোদন, টেলিফোন, গাড়ি, মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা যুগোপযোগী করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কমিশনের সুপারিশে কোন ভাতাই বাতিল করা হচ্ছে না। তবে অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবতার সঙ্গে বিভিন্ন ভাতার পরিমাণের মিল নেই। এসব অসামঞ্জস্য দূর করতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করা হয়েছে বেতন কমিশনের প্রতিবেদনে। এছাড়া সরকারী চাকরিজীবীদের আবাসিক সঙ্কট মোকাবেলায় সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার সুপারিশ থাকছে। বর্তমানে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ নিতে পারেন। নতুন বেতন স্কেলে বাড়ি নির্মাণ বা কেনা বাবদ ঋণের পরিমাণ ৪০ মাসের মূল বেতনের সমান করার সুপারিশ করা হচ্ছে। এ ঋণ হবে সুদযুক্ত। সুদের হার হতে পারে ৫ শতাংশ পর্যন্ত। সংবিধানে নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার অধিকার এবং কল্যাণ রাষ্ট্রের ধারণাকে সামনে রেখে সরকারী চাকরিজীবীদের বীমা সুবিধার আওতায় আনার সুপারিশ করা হচ্ছে কমিশনের প্রতিবেদনে। তাদের পরিবারের সদস্যরা এ সুবিধা পাবেন। কমিশনের নতুন সুপারিশে বেতন বা স্বাস্থ্যভাতা থেকে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট হারে টাকা কেটে রাখা হবে। এর বিনিময়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যয় সুবিধা দেয়ার সুপারিশ করবে কমিশন। তবে কেউ মারা গেলে অথবা দুর্ঘটনার কারণে শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়লে আলাদাভাবে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব করা হচ্ছে। জানা গেছে, বীমা সুবিধার জন্য প্রিমিয়াম বাবদ বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় হবে। এই অর্থ সংস্থানের উৎস নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব থাকছে বেতন কমিশনের সুপারিশে। এক্ষেত্রে পুরো বীমার অর্থ সরকারের কাছ থেকে নেয়া অথবা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন থেকে কেটে নেয়ার প্রস্তাব থাকছে। এছাড়া বিকল্প প্রস্তাব হিসেবে প্রিমিয়ামের টাকা সরকার ও চাকরিজীবী উভয়ের কাছ থেকে আদায় করা হবে। বিকল্প প্রস্তাবের মধ্যে আরও রয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসা ভাতা বাড়িয়ে সেখান থেকে প্রিমিয়ামের টাকা কেটে নেয়া। এছাড়া চাকরিজীবীদের নামে পাঁচ বছরের জন্য একটি স্বাস্থ্যকার্ড প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে বেতন কমিশনের প্রতিবেদনে। এ কার্ড প্রদর্শন করে সরকারী এবং মাঝারি মানের বেসরকারী হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ধরা হয়েছে মূল বেতনের ৫ শতাংশ। এখনকার মতোই নগদ টাকায় শিক্ষা ও চিকিৎসা ভাতা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে নতুন বেতন স্কেল ঘোষণা ও বাস্তবায়ন না করে প্রতিবছর মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দিষ্ট হারে মহার্ঘ ভাতা দেয়ার সুপারিশ করেছে কমিশন। কমিশনের প্রতিবেদনে বেতনভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রশাসনিক সংস্কারের ওপরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে মেধাবী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন নামে একটি কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশন। প্রস্তাব মতে, প্রশাসনিক সংস্কার কমিটির কাজ হবে মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত করা। জানা গেছে, দেশের ১৪ লাখ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা ৪ লাখেরও বেশি। বিদ্যমান বেতন কাঠামোতে তাঁদের গ্রেড ২০ নম্বর। কমিশনের সুপারিশে তাঁদের মূল বেতন দ্বিগুণ করার পাশাপাশি গ্রেড ১৬ নম্বরে নামিয়ে আনা হয়েছে। বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারী প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তাদের প্রারম্ভিক মূল বেতন বর্তমানে ১১ হাজার টাকা। বিদ্যমান কাঠামোর ৯ নম্বর গ্রেডের এ কর্মকর্তাদের প্রস্তাবিত কাঠামোতে ৮ নম্বর গ্রেডে এনে তাঁদের মূল বেতন দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রশাসনের উপ-সচিব বা সমমর্যাদার কর্মকর্তাদের এখন মূল বেতন ২২ হাজার ২৫০ টাকা। প্রস্তাবিত কাঠামোতে তাঁদের মূল বেতন ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। উপ-সচিবরা আগের মতো ৫ নম্বর গ্রেডেই থাকছেন। ৪ নম্বর গ্রেড অপরিবর্তিত রেখে যুগ্ম সচিব ও একই পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বর্তমানের মূল বেতন ২৫ হাজার ৭৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে। এ ছাড়া ১ নম্বর গ্রেডের অর্থাৎ প্রশাসনের শীর্ষ নির্বাহী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব বা সমমর্যাদাসম্পন্ন কর্মকর্তাদের মূল বেতন ৪০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সিনিয়র সচিবদের মূল বেতন ৪২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৯০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সুপারিশ আগামী অর্থবছর থেকে কার্যকর ॥ পে-কমিশনের সুপারিশ যতটুকু বাস্তবায়ন করা যায় তা কার্যকর করা হবে আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ইতোমধ্যে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পে-কমিশনের সুপারিশ আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী জানান, ডিসেম্বরে পে-কমিশনের রিপোর্ট পাব। রিপোর্ট যদি সাদামাটা হয় তাহলে বাস্তবায়নে বেশি দেরি হবে না, কিন্তু যদি সংস্কার করতে হয় তাহলে কিছুটা সময় লাগবে। তিনি বলেন, তবে পে-কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করতে দেরি হলেও সেটা আগামী অর্থবছর থেকেই কার্যকর করা হবে। এজন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দও রাখা হবে। ওই সময় অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, পে-স্কেল ঘোষিত হলে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। তবে এখন যেহেতু মূল্যস্ফীতি কম, তাই পে-কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে এটাই উপযুক্ত সময়। বেতন বাড়িয়ে দুর্নীতি ঠেকানোর পরিকল্পনা ॥ অবৈধ পথে অর্থ গ্রহণ ছাড়াই সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যাতে সচ্ছলভাবে জীবনযাপন করতে পারেন সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করবে পে এ্যান্ড সার্ভিসেস কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান ড. ফরাসউদ্দিন ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে বেতনভাতা ও সুযোগ-সুবিধা পান তা দিয়ে তাঁদের জীবনযাত্রার মানে ‘স্থিতিশীলতা’ থাকা দরকার। এবারের পে এ্যান্ড সার্ভিসেস কমিশনের একটা নতুন ধরনের পরিকল্পনা আছে-যদি বেতনভাতা বৃদ্ধি করা যায় তাহলে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে। কিছু কিছু সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হয় তো অসৎ পথে যেতে হয়, নতুন বেতনভাতা হলে সেখানে যাওয়া থেকে তাদের বিরত রাখা যাবে। আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হলো-সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন মনেপ্রাণে নিবেদিত হয়ে, দক্ষভাবে, সৎভাবে কাজ করতে পারেন, দেশের সমৃদ্ধির জোয়ারে যেন জোরদার হাওয়া লাগাতে পারেন। তবে জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, বেতন বাড়লে দুর্নীতি কমবে এ ধরনের একটি পরিকল্পনা থেকেই কিন্তু এবার সরকারী চাকরিজীবীদের বেতনভাতা বাড়ানো হচ্ছে। যদিও আয়-ব্যয় সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেও বেতনভাতা বাড়ানো জরুরী হয়ে পড়ছে।
×