ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রহরী আটক ॥ গাজীপুর জনতা ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে ৬২ লাখ টাকা লুট

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

প্রহরী আটক  ॥ গাজীপুর জনতা ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে  ৬২ লাখ টাকা লুট

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ১৪ ডিসেম্বর ॥ জনতা ব্যাংক গাজীপুর কর্পোরেট শাখার ভল্ট থেকে ৬১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ ওই ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী নূরুল ইসলামকে (৫০) আটক করেছে। ব্যাংকের এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সোলাইমান জানান, গাজীপুর শহরে জয়দেবপুর বাজারস্থিত তানভীর প্লাজার দ্বিতীয় তলায় জনতা ব্যাংক গাজীপুর কর্পোরেট শাখাটি অবস্থিত। ব্যাংকের পার্শ্ববর্তী ঝুট কাপড় ব্যবসায়ী জনৈক জাকিরের সঙ্গে সম্প্রতি ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী নুরুল ইসলামের সখ্য গড়ে ওঠে। শনিবার রাত ১০টার দিকে জাকির কিছু ফল ও পানীয় নিয়ে ব্যাংকে প্রবেশ করে। পরে ফল ও পানীয়ের সঙ্গে কৌশলে নেশা জাতীয় দ্রব্য নিরাপত্তাকর্মী নূরুল ইসলামকে খাওয়ায়। এতে নূরুল ইসলাম অচেতন হয়ে পড়ে। এ সুযোগে ওই দোকানদার ব্যাংকের ভল্ট খুলে ৬১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা নিয়ে ব্যাংকের পেছনের দিকে জানালার গ্রিল খুলে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসে ভেতর থেকে ব্যাংকের গেট বন্ধ দেখতে পায়। পরে ব্যাংকের গেট খুলে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভেতরে প্রবেশ করে নিরাপত্তাকর্মী নূরুল ইসলামকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় ব্যাংকের ভেতরে ফলমূলের খোসা, নেশা জাতীয় ওষুধের আলামত এবং বিয়ারের ক্যান পড়েছিল। ব্যাংকের ভিতরে এক পাশে কাপড়চোপড় ও কাগজপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। বিষয়টি ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে তারা ব্যাংকের ভল্ট চেক করে মোট ৬১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা লুটের বিষয়টি নিশ্চিত হন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিরাপত্তাকর্মী নূরুল ইসলামকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে পুলিশকে জানায়, শনিবার রাতে টয়লেটে যাবার কথা বলে জাকির ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরী নূরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার মূল নায়ক জাকির হোসেন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি জানান, ব্যাংকের শাখাটিতে কোন সিসি টিভি ক্যামেরা ছিল না। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
×