ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এবার শ্যালকের দাবি- কামারুজ্জামানের দ্রুত ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

এবার শ্যালকের দাবি- কামারুজ্জামানের দ্রুত ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ১৪ ডিসেম্বর ॥ এবার যুদ্ধাপরাধের মামলায় উচ্চ আদালতে বহাল থাকা মৃত্যুদ-প্রাপ্ত বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের আলবদর প্রধান ও জামায়াতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের দাবি জানালেন তার (কামারুজ্জামানের) স্ত্রী মোছাঃ নুরুন্নাহারের বড় ভাই (সমন্ধী) আবু সালেহ মোঃ নুরুল ইসলাম হীরু। ১৪ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে শেরপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় ওই দাবি জানান তিনি। তবে তিনি ঘাতক কামারুজ্জামানের স্বগোত্রীয় বা আদর্শের অনুসারী নন, তিনি সম্পূর্ণ বিপরীত আদর্শেরÑ এক বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। কেবল তাই নয়, তিনি জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের নির্বাচিত কমান্ডার ও অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক এজিএম। জানা যায়, মহান বিজয়ের মাসকে কেন্দ্র করে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানাদিসহ স্পর্শকাতর স্থাপনা এবং ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টভক্তদের বড়দিন, ৩১ ডিসেম্বর থার্টি ফার্স্ট নাইট, ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আলবদরপ্রধান মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ সর্বোচ্চ আদালতে বহাল থাকা দ- দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়ে কমিটির কয়েক সদস্যের বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার নুরুল ইসলাম হীরু। এ সময় তিনি বলেন, ঘাতক কামারুজ্জামান আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় হলেও সকলের দাবির সঙ্গে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমিও একমত পোষণ করি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে তার ঘৃণ্য ভূমিকার নিন্দাসহ উচ্চ আদালতে বহাল থাকা মৃত্যুদ- দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, তাকে বয়কট করার কারণে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন থেকে আমি অনেকটাই একা হয়ে আছি। এর পরও তার ফাঁসি দ্রুত কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতির কলঙ্কমুক্তির স্বাদ আমিও পেতে চাই। কামারুজ্জামানের মামলার মূল ঘটনাস্থল নালিতাবাড়ীর সীমান্তবর্তী সোহাগপুর বিধবাপল্লীর নিরাপত্তাসহ অন্যান্য সাক্ষী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
×