ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিটিআরসির নতুন নীতিমালা

থ্রী জি ও ফোর জি সুবিধা সংবলিত মোবাইলই কেবল আমদানি করা যাবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪

থ্রী জি ও ফোর জি সুবিধা সংবলিত মোবাইলই কেবল আমদানি করা যাবে

ফিরোজ মান্না ॥ তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য এবার আধুনিক প্রযুক্তির মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসি। বিটিআরসির এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে থ্রি জি (তৃতীয় প্রজন্মের) ও ফোর জি (চতুর্থ প্রজন্মের) প্রযুক্তি সুবিধা আছে এমন মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি করতে হবে। মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির বিষয়ে বিটিআরসি নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে। এই নীতিমালার বাইরে কোন মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিকারক মোবাইল হ্যান্ডসেট আনতে পারবেন না। থ্রি জি ও ফোর জি সুবিধা থাকলে গ্রাহকরা ইন্টারনেট, ডাটা, ভিডিও, অডিওসহ বিভিন্ন সুবিধা পাবেন। বিটিআরসি সূত্র জানিয়েছে, মোবাইল সেট আমদানিকারকদের বিদেশ থেকে মোবাইল সেট আনতে বিটিআরসির নীতিমালা অনুসরণ করে আনতে হবে। মোবাইল আমদানির আগে বিটিআরসির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এরপর বিদেশ থেকে মোবাইল হ্যান্ডসেট দেশে আনার পর আবার বিটিআরসির অনুমোদন নিয়ে বাজারে তুলতে হবে। আমদানির নতুন নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিটিআরসি (বাংলাদেশে টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন)। থ্রি জি ও ফোর জি সুবিধা সম্বলিত মোবাইল হ্যান্ডসেট সহজলভ্য ও সেটের মান নিশ্চিত করতে বিটিআরসি একটি তদারকি কমিটি গঠন করেছে। কোন আমদানিকারক যাতে নীতিমালার বাইরে মোবাইল হ্যান্ডসেট না আনতে পারেন। মোবাইল আমদানির ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত চালানভিত্তিক পদ্ধতির পরিবর্তে নমুনাভিত্তিক পদ্ধতি প্রচলন করা হয়েছে। এই পদ্ধতি অনুসারে সব ধরনের হ্যান্ডসেট আমদানির জন্য বিটিআরসির অনুমতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আমদানির অনুমতি পাওয়ার জন্য হ্যান্ডসেটের সম্পর্কে বিটিআরসিতে প্রয়োজনীয় তথ্যসহ আবেদন করতে হবে। মোবাইল সেটের মান সম্পর্কিতও তথ্য দিতে হবে। বিটিআরসি যাচাই-বাছাইয়ের পর আমদানির অনুমতি প্রদান করবে। মোবাইল হ্যান্ডসেটের জন্য একটি নম্বার সরবরাহ করা হবে। অনুমোদন পাওয়া গেলে পরবর্তীতে আর কোন অনুমোদন নিতে হবে না। তখন মোবাইল আমদানিকারকরা যত খুশি তত মোবাইল সেট আমদানি করতে পারবেন। বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, হ্যান্ডসেটের গুণগতমান নিয়ন্ত্রণ এবং আমদানি জটিলতা নিরসনের উদ্দেশ্যে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। মোবাইল আমদানিকারকরা এক ধরনের মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানির অনুমোদন নিয়ে পরে নিজেরা ইচ্ছামতো মোবাইল সেট নিয়ে আসেন। এতে বেশিরভাগই নকল মোবাইল সেট ঢুকে যাচ্ছে দেশে। আর এই নকল সেট কিনে গ্রাহকরা প্রতারিত হচ্ছেন। গ্রাহক ঠকানো বন্ধ করার চালান পদ্ধতি তুলে দিয়ে নমুনা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। যাতে করে কোন মোবাইল আমদানিকারক নিম্নমানের মোবাইল সেট আনতে না পারে। বিটিআরসি বিষয়টি নিশ্চিত করার পর মোবাইল সেট বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। নকল মোবাইল হ্যান্ড সেট দেশের নিরাপত্তার জন্যও চরম হুমকি। এই সেটগুলোর আইএমই নম্বর ভুয়া। অপরাধীরা এসব সেট ব্যবহার করে সমাজে নানা রকম অপরাধ করে যাচ্ছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, আমদানিকারকদের বিরুদ্ধে যত ধরনের আইনী পদক্ষেপ আছে সেগুলো প্রয়োগ করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল আমদানির নীতিমালাতেই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানি অনেক ক্ষেত্রে বন্ধ হবে।
×