ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চলে গেলেন কবি অরুণাভ সরকার

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

চলে গেলেন কবি অরুণাভ সরকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যাওয়া বলে কিচ্ছু নেই, সবই ঘুরে-ফিরে আসা...। এভাবে কবিতার চরণে চিরবিদায়কে আসলে ফিরে আসা হিসেবে অভিহিত করেছিলেন কবি অরুণাভ সরকার। ষাটের এই বরেণ্য কবি তাঁর কবিতাকে ছাপিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানম-ির বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। বিদায়বেলায় তিনি স্ত্রী আজিজা সরকার, ছেলে শুগত সরকার ও মেয়ে মিথিলা সরকারসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলা একাডেমি। অরুণাভ সরকারের শ্যালক দর্পণ লোহানী জনকণ্ঠকে বলেন, সন্ধ্যায় সবার সঙ্গে চা খাচ্ছিলেন। বেশ জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এর মধ্যে হঠাৎ করেই বুকে সামান্য ব্যথা অনুভব করেন। তারপর চেতনা হারিয়ে ফেলেন। এ সময় চিকিৎসক নিয়ে আসা হলে তিনি তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কবির শেষকৃত্য প্রসঙ্গে দর্পণ লোহানী বলেন, তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্বার্থের নিজের দেহ দান করে গেছেন। তিনি আরও জানান, রাত আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কবির মরদেহ বাসাতেই রাখা হয়েছে। এখনও অন্য কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ষাটের দশকের বিশিষ্ট কবি অরুণ সরকার কবিতা লেখার পাশাপাশি সম্পৃক্ত ছিলেন সাংবাদিকতার সঙ্গে। ছিলেন বাংলা একাডেমির সম্মানিত ফেলো। তিনি ১৯৪১ সালের ২৯ মে টাঙ্গাইলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর কয়েকটি কবিতাগ্রন্থ হলো নগরে বাউল (১৯৭৬), কেউ কিছু জানে না (১৯৮০), নারীরা ফেরে না (২০০৬), শিশুসাহিত্য : খোকনের অভিযান, ইলশেগুঁড়ি, ভালুকার মৌমাছি, ভালুকার দুই বন্ধু, গল্প থেকে গল্প। স্বল্পপ্রজ এই কবির ছন্দদক্ষতা ও বাক্প্রতিমা নির্মাণে অনন্যতা তাঁকে ‘লিরিকের রাজা’ হিসেবে খ্যাত করেছে। এ ছাড়া সাংবাদিকতা ও সম্পাদনা বিষয়ক লেখালেখিতেও তিনি বিশিষ্টতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
×