ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তামাশা, পাগলি আখ্যা অতঃপর শেকলে বাঁধা মর্জিনা

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

তামাশা, পাগলি আখ্যা অতঃপর শেকলে বাঁধা মর্জিনা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ‘পাগলি’ আখ্যা দিয়ে এলাকাবাসীর চাপে মর্জিনা বেগম নামের ৫০ বছর বয়সী এক নারীকে প্রায় এক মাস ধরে শেকলে বেঁধে রেখেছে তার পরিবার। মানসিক ভারসাম্যহীন বলেই গ্রামের কতিপয় লোকের চাপে পরিবারের লোকজন তাকে আটকিয়ে রেখেছে। শেকল বাঁধা অবস্থায় এখন চলছে তার খাওয়া-দাওয়া, গোসল থেকে সব কাজ। এ ঘটনা রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের। মর্জিনার মা মরিয়ম বেগম জানান, দুই বছর আগে মর্জিনার স্বামী রুস্তম আলী মারা যায়। এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন তিনি। মর্জিনা গ্রামের মানুষের সঙ্গে সব সময় খারাপ ব্যবহার করে থাকে। অনেককেই মারপিট করার জন্য তেড়ে আসে। তাই গ্রামের মানুষ মর্জিনাকে বেঁধে রাখার জন্য তাদের চাপ দিয়ে আসে। গ্রামের মানুষের চাপে বাধ্য হয়েই এক মাস আগে মর্জিনাকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। এরপর থেকেই শেকলে বাঁধা মর্জিনার জীবন কাটছে চরম অবহেলায়। মর্জিনার মা আরও জানান, অনেক সময় সে ভাল থাকে। তবে গ্রামের মানুষ অকারণে তাকে খেপিয়ে তোলে। তখন সে মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। কাউকে কাউকে মারতে উদ্যত হয়। তাই তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজন জানান, মর্জিনার স্বামীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে। তার দুই মেয়ে এক ছেলে। দুই বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে মর্জিনা এখানেই (মায়ের বাড়ি) থাকেন। মেহেরপুর কলেজ ছাত্রকে অপহরণ নিজস্ব সংবাদদাতা, মেহেরপুর, ১৮ ডিসেম্বর ॥ গাংনী উপজেলার ষোলোটাকা মাটিলের মাঠ থেকে রাব্বি হোসেন (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করেছে অপহরণকারীরা। অপহৃত কলেজ ছাত্র কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। সে উপজেলার ষোলোটাকা গ্রামের মৎস্য চাষী জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে। বুধবার রাত ১টার দিকে তার বাবার মৎস্যঘের থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তবে এখন পর্যন্ত কে কারা তাকে নিয়ে গেছে এ বিষয়ে তার পরিবার বা পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি। অপহরণকারীরা কোন ফোন বা মুক্তিপণ ও চায়নি বলে জানান অপহৃতের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। ফরিদপুরে অপহৃত কর্মচারীকে উদ্ধার সংবাদদাতা, ভাঙ্গা, ফরিদপুর থেকে জানান, জেলার ভাঙ্গা উপজেলার খাড়াকান্দি টাওয়ার সংলগ্ন স্থান থেকে বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে অপহরণকৃত জুটমিল কর্মচারীকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় ওবায়দুর রহমান শরীফ জুট মিলের স্টোরকিপার। ফরিদপুর স্ট্যান্ড থেকে ৬টার দিকে নিজ বাসা মিলের কোয়ার্টারে আসার জন্য পুরাতন স্ট্যান্ডে এসে দাঁড়ালে একটি মাইক্রো এসে ৪/৫ জন লোক তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোতে উঠায়। অতঃপর তার চোখ বেঁধে ফেলে। ওবায়দুরের নিকট থাকা সব টাকা ছিনিয়ে নেয়। অপহরণকারীরা ওবায়দুরের স্ত্রীর নিকট ফোন দিয়ে বলে তোর স্বামী আমাদের নিকট আটকা আছে তাকে বাঁচাতে চাইলে আমাদের পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। স্ত্রী লাবলী বেগম অনেক কাকুতি মিনতি করে প্রথমে তাদের দশ হাজার টাকা বিকাশ করে দেয়। এদিকে অপহরণকারীরা ওবায়দুরকে দিয়ে আবার তার স্ত্রীর নিকট টাকা চেয়ে ফোন করায়। স্বামীর ফোন পেয়ে দিশেহারা স্ত্রী পাশের বাসা থেকে ধার করে আরো পনেরো হাজার টাকা পাঠায় এবং বলে আমি আর টাকা দিতে পারব না। এদিকে অপহরণকারীরা ওবায়দুরকে মেরে হাত পা জখম করে খাড়াকান্দির নিকট ফেলে রেখে চলে যায়। অসুস্থ ওবায়দুর টাওয়ারের লোকজন ডেকে উঠানোর চেষ্টা করে।
×