ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০২:৫৮, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

॥ তিন ॥ রূপকল্প ২০২১ : আমরা সবাই জানি ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করে যার মাঝে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে। প্রথমেই যে বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে সেটি হলো আওয়ামী লীগ তার নিজের ভাবনায় ডিজিটাল বাংলাদেশকে কিভাবে স্পষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণেতারাও বার বার উল্লেখ করেছেন, তাঁদের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়নি। একটি কথা শুরুতেই বলে রাখা ভালো, আমরা আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যেভাবে আকস্মিকতার মাঝে ডিজিটাল বাংলাদেশ শব্দটিকে আসতে দেখেছি তাতে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে তেমন কিছু নেই, যা অন্য সকল ক্ষেত্রে রয়েছে এটি সত্য। আমি এই ইশতেহারের প্রণেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি যে, তারা এই বিষয়টি নিয়ে তেমনভাবে ভাবেননি বা তেমন গভীরে যাবার সময় পাননি। ইশতেহারের অংশবিশেষ, তথ্যপ্রযুক্তি প্রণয়ন করার সঙ্গে জড়িত থাকার সুবাদে আমি নিজেও এই কথাটি বলতে পারি যে, সেই ভাবনার লিপিবদ্ধকরণ তখন সম্ভব ছিল না। যে সময়ে এই বিষয়টি ইশতেহারে এসেছিল সেই সময়ে ইশতেহারে পরিবর্তন আনা সম্ভব ছিল না। কিন্তু তার পরেও বিচ্ছিন্নভাবে হলেও ইশতেহারের নানা অংশে ডিজিটাল বাংলাদেশের অনুষঙ্গ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয় হিসেবে প্রাকাশিত হয়েছে। যেহেতু একটি সরকার তার নিজের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকে সেহেতু আমি শুরুতেই প্রকাশিত নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভাবনার কতটা প্রতিফলন হয়েছে সেটি আগে উল্লেখ করতে চাই। এটি বাস্তবতা যে, নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ নামক কোন অনুচ্ছেদ নেই। আওয়ামী লীগ বা সরকারের নেতৃবৃন্দ নিজেরাও এ বিষয়ে স্পষ্ট কথা বলেন না। কিন্তু যদি আমরা একটু গভীরভাবে নির্বাচনী ইশতেহারটি পাঠ করি তবে এতে ডিজিটাল বাংলাদেশের অনেক অনুষঙ্গ পাব। প্রথমেই রূপকল্পের কথা বলা যায়। আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বর্ণিত রূপকল্প ২০২১-এ যেসব বিষয় রয়েছে তা হলো ক) ২০২১ সালে প্রাথমিক স্তরে শতকরা এক শ’ ভাগ ভর্তি এবং সকলের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, খ) ২০১৩ সালের মধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, প্রতি বাড়িতে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা প্রদান, বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার শতকরা ৮ শতাংশ করা এবং বিদ্যুতের সরবরাহ সাত হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা, গ) ২০১৫ সালে বিদ্যুতের সরবরাহ ৮ হাজার মেগাওয়াট করা, ঘ) ২০১৭ সালে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার শতকরা ১০ ভাগ করা। রূপকল্পের ২০১১, ১৩, ১৫ ও ১৭ সালের সময়সীমার পর ২০২১ সালই হচ্ছে সবচেয়ে বড় মাইলফলক। এতে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে ১) জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার শতকরা ১৫ ভাগ থেকে শতকরা ১ ভাগে নামিয়ে আনা, ২) জাতীয় আয়ের হিস্যা কৃষিতে ২২ থেকে ১৫, শিল্পে ১৮ থেকে ৪০ ও সেবাতে ৫০-এর বদলে ৪৫ শতাংশ করা, ৩) বেকারত্বের বর্তমান হার শতকরা ৪০ থেকে ১৫ ভাগে নামিয়ে আনা, ৪) কৃষিতে শ্রমশক্তি ৪৮ ভাগ থেকে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা, ৫) শিল্পে শ্রমশক্তি ১৬ থেকে ২৫ ভাগে উন্নীত করা ও সেবাখাতে বর্তমান ৩৬ শতাংশ থেকে ৪৫ শতাংশে উন্নীত করা, ৬) দারিদ্র্যের হার ৪৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, ৭) ৮৫ শতাংশ নাগরিকের জন্য পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ন্যূনতম ২১২২ কিলো ক্যালোরি খাদ্যের যোগান দেয়া, ৮) সকল প্রকার সংক্রামক ব্যাধি নির্মূল করা, ৯) গড় আয়ুষ্কাল ৯০- এ উন্নীত করা, ১০) শিশু মৃত্যুর হার শতকরা ৫৪ থেকে কমিয়ে শতকরা ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, ১১) মাতৃমৃত্যুর হার শতকরা ৩.৮ থেকে শতকরা ১.৫-এ নামিয়ে আনা এবং প্রজনন নিয়ন্ত্রণ শতকরা ৮০ ভাগে উন্নীত করা। লক্ষ্য করা যায় যে, একটিই রূপকল্প জীবনমান উন্নয়নের অঙ্গীকার। বেকারত্ব দূর করা, দারিদ্র্য দূর করা, খাদ্য উৎপাদন ও যোগান দেয়া, স্বাস্থ্য সেবা প্রদান এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিই হচ্ছে রূপকল্পের মূলকথা। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য প্রয়োজনটি এখানেই। তাদের স্বপ্নটাও এখানেই। এর সঙ্গে ন্যূনতম প্রাথমিক শিক্ষার অঙ্গীকার রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকে আমরা এসব অঙ্গীকারের বাইরে নিতে পারি না। যদি রূপকল্পে ন্যূনতম আবাসনের কথা থাকত, যদি ন্যূনতম বস্ত্রের চাহিদা পূরণের কথা থাকত তবে আমরা বলতে পারতাম, এটি মানুষের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা পূরণের অঙ্গীকার। যদি রূপকল্পে বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ে স্পষ্ট করে অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হতো তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্নের আরও অনেক কিছু এর ভেতরে যেতে পারত। রূপকল্পে বিদ্যুতের চাহিদার কথা বলা হয়েছে। আমরা সবাই জানি বিদ্যুত জাতীয় সমস্যা। সুতরাং এর কথা বলতেই হবে। তবে সংজ্ঞাহীনভাবেই ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে। যাহোক, এটি বিস্ময়কর মনে হতে পারে যে, রূপকল্পে বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত করার কথা বলা হয়েছে, একেবারে সরাসরি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়নি। সরকার ব্যবস্থা, গণতন্ত্র, সুশাসন, রাজনৈতিক সংস্কৃতি, দুর্নীতি, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, জ¦ালানি নিরাপত্তা, ভৌত অবকাঠামো, আবাসন, পরিবেশ, পানিসম্পদ, পররাষ্ট্র, সংস্কৃতি ইত্যাদির কথা রূপকল্প ২০২১-এর আওতায় রয়েছে। শুধু বুলেট আকার কিছু বিষয়ের মাঝে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” নামের একটি বাক্য রয়েছে। একই প্রসঙ্গে আমি ইশতেহারে অন্যতম প্রণেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নূহ উল আলম লেনিনের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তিনি এটি বলেছেন যে, সরাসরি ডিজিটাল বাংলাদেশ শব্দটিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিত করার পরিবর্তনটি তিনি করেন। তাঁর ধারণা ছিল, এর ফলে বাক্যটিকে একটু নরম করা হলো। তবে এখন বোধহয় পরিচিত করার বিষয়টি আর নেই। সবাই ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ইশতেহারের অঙ্গীকার এবং কর্মসূচীতে ৫টি অগ্রাধিকারের কথা বলা হয়েছে। এসব অঙ্গীকার জনগণের জন্য ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি মৌলিক ইস্যু নিয়ে। তন্মধ্যে অনুচ্ছেদ ২.৮ এবং ৫.২৫-এ কম্পিউটার বা ই-গভর্নেন্সের কথা বলা হয়েছে। এ ভাড়া ৯.৪ অনুচ্ছেদটি তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য উল্লেখিত রয়েছে। ই-গভর্নেন্স ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি বিরাট স্তম্ভ। যদিও ই-গভর্নেন্স নামে অতীতে বেগম খালেদা জিয়ার সরকার কেবলমাত্র লুটপাটই করেছে এবং আমরা এখন ডিজিটাল সরকারের কথা বলছি তথাপি এই বাক্যে প্রচ্ছন্নভাবে ডিজিটাল সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টিকেই মুখ্য হিসেবে ধরা হয়েছে। আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য যে তিনটি খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করি ডিজিটাল সরকার বা ই-গভর্নমেন্ট তার মাঝে সবার ওপরে রয়েছে। একই সঙ্গে ঢালাওভাবে বলা হলেও এটি স্বীকার করতে হবে যে, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন ব্যতীত ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তবে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা বিষয়ে প্ররোক্ষভাবে দুটি অধ্যায় রয়েছে। বলা যেতে পারে, এই রূপরেখার বিষয়টির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ১০.১২ ও ১০.১৫ অনুচ্ছেদ দু’টি। এছাড়াও আছে ভূমি সংক্রান্ত অনুচ্ছেদ ৭.৯। এ দুু’টি অনুচ্ছেদ বস্তুত তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে করণীয় এমনসব বিষয়ের কথা বলা হয়েছে যাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর রূপরেখা হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। আমরা যদি এই দুটি অনুচ্ছেদ ব্যাখ্যা করি তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মূল অঙ্গীকারটি বা সেই অঙ্গীকারের রূপরেখাটি এই দুটি অনুচ্ছেদেই পাব। আমি ধারণা করি এবং নিশ্চিতভাবেই মনে করি, অনেকেই আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ঘোষণাপত্র না পড়েই এমন মন্তব্য করেন যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণাটি ইশতেহারে মোটেই নেই। এজন্য প্রথমেই তথ্যপ্রযুক্তি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এমন দুটি অনুচ্ছেদ আমি এখানে তুলে ধরছি। দুটি অনুচ্ছেদকে একসাথে মিলিয়ে দেখা হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচীতে আমি যেসব অগ্রাধিকারের কথা বলেছি তার প্রতিফলন অত্যন্ত স্পষ্পভাবে লক্ষ্য করা যাবে। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশের কোন কোন বিষয়ে আমার প্রণীত কর্মসূচীর চাইতেও স্পষ্ট করে দিন তারিখ সময় উল্লেখ করা হয়েছে। একটি দৃষ্টান্ত দিতে পারি, আমি কম্পিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছি, কিন্তু আওয়ামী লীগের ইশতেহারে সময় উল্লেখ করে কোন পর্যায়ে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক হরা হবে তা বলা হয়েছে। ২০২১ সালের মাঝে শিক্ষার সকল স্তরে কম্পিউটারকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে। নিচের অনুচ্ছেদটি পাঠ করা যেতে পারে। অনুচ্ছেদ ১০.১২ : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হবে। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্কুল পর্যায় থেকে উচ্চতর স্তর পর্যন্ত কম্পিউটার ও কারিগরি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৩ সালের মধ্যে বাধ্যতামূলক করা হবে। মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের জন্য নবায়িত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রাথমিক স্তরেও প্রযুক্তি শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বাধ্যতামূলক করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে কম্পিউটার শিক্ষা উপকরণ হিসেবে শিক্ষার সকল স্তরে ব্যবহার করা হবে। সরকারের প্রশাসনিক কার্যক্রমের বর্তমান ফাইলভিত্তিক ব্যবস্থাকে ই-গভর্নমেন্ট বা ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থায় রূপান্তর করা হবে ও জনগণকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবাদান নিশ্চিত করা হবে। কম্পিউটার সফটওয়্যার ও সেবা খাতের রফতানিসহ কম্পিউটার দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ পুরো দেশে ইন্টারনেটের প্রসার ঘটানো হবে ও ইন্টারনেট সেবার মূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা হবে। আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ নামক যে ভাবনাটির পেছনে লেগে আছি তারই অনেকটা প্রতিফলন হয়েছে ওপরের অনুচ্ছেদে। আমার নিজের চয়ন করা শব্দ বলে নয়, এখানে স্পষ্ট করে ডিজিটাল বাংলাদেশের মানব সম্পদ তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, কম্পিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার কথা। ২০১৩ সালে মাধ্যমিক ও ২০২১ সালে প্রাথমিক স্তরে কম্পিউটার শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি কম্পিউটারকে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের কথা এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই অনুচ্ছেদে অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ডিজিটাল সরকার ব্যবস্থা প্রচলনের কথা বলা হয়েছে। এতে ফাইল ব্যবস্থার উচ্ছেদের পাশাপাশি ইন্টারনেটের প্রসার এবং একে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মাঝে আনার কথাও বলা হয়েছে। আমরা ইশতেহারের আরও কিছু বিষয় নিয়ে পরে আলোচনা করব। ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪ ॥ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ ই-মেইল : [email protected], ওয়েবপেজ:ww w.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×