ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

হাজারীবাগের সব অবৈধ ফিড কারখানা বন্ধের তাগিদ

প্রকাশিত: ০৩:০২, ২১ ডিসেম্বর ২০১৪

হাজারীবাগের সব অবৈধ ফিড কারখানা বন্ধের তাগিদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ একটি বা দুটি নয় বরং হাজারীবাগ ও তদসংলগ্ন এলাকার অবৈধ ও বিষাক্ত ফিড উৎপন্নকারী সব কারখানা বন্ধে বিশেষ অভিযানের দাবি জানিয়েছে পোল্ট্রি শিল্প সংশ্লিষ্ট ৭টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘পোল্ট্রি শিল্প সমন্বয় কমিটি’ (বিপিআইসিসি)। শনিবার গুলশানস্থ ‘ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ এ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ’ (ফিআব) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিপিআইসিসির এক সভায় বলা হয়- পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষা করা এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার স্বার্থে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে হাজারীবাগে অবস্থিত বিষাক্ত ফিড তৈরির কারখানা ‘হাইপো ফিড’ এর বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং র‌্যাব-২ কে সাধুবাদ জানান পোল্ট্রি নেতারা। বিপিআইসিসির আহ্বায়ক মসিউর রহমান বলেন, হাজারীবাগের বিষাক্ত ফিড তৈরির কারখানা নিয়ে গণমাধ্যমে বারবার রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও খুব জোরালো অভিযান চোখে পড়ছে না। তিনি বলেন, হাজারীবাগ এলাকায় যত্রতত্র ট্যানারির বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর ভাষায় ‘ট্যানারির বর্জ্য ট্যানারিতেই ধ্বংস করতে হবে, কোনভাবেই তা এখানে সেখানে ফেলা যাবে না কিংবা অন্যের কাছে বিক্রি করা যাবে না। তাঁর মতে, বিচ্ছিন্ন অভিযানে সাময়িক উপকার পাওয়া গেলেও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান আসছে না। শুধু হাজারীবাগ নয় বরং হাজারীবাগ থেকে শুরু করে গাবতলী বেড়িবাঁধ ও আশপাশের এলাকায় গড়ে ওঠা এ ধরনের সব কারখানা অবিলম্বে বন্ধের জন্য কঠোর সাঁড়াশি অভিযানের দাবি জানান তিনি। ব্রিডার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) সভাপতি ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার বলেন, দেশে উৎপাদিত মোট পোল্ট্রি ফিডের মাত্র শূন্য দশমিক দুই শতাংশেরও কম ফিডে ক্ষতিকারক উপাদান ব্যবহৃত হচ্ছে বলে আমাদের ধারণা। অর্থাৎ বলা যায় দেশের প্রায় ৯৯ দশমিক ৮ ভাগ পোল্ট্রি ফিডেই ট্যানারির বর্জ্য কিংবা ক্ষতিকর উপাদান থাকে না।
×