ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আবারও পতনের ধারায় পুঁজিবাজার

প্রকাশিত: ০৩:১৮, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪

আবারও পতনের ধারায়  পুঁজিবাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এক কার্র্যদিবসের সামান্য সূচকের উর্ধগতি শেষে আবারও দরপতনের ধারায় ফিরে এসেছে দেশের পুঁজিবাজার। নতুন প্রজন্মের সফটওয়ার চালুর পর কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও মূলত বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমার কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করছে। মূলত নতুন লেনদেন ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পারার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমার কারণে বেশিরভাগ লেনদেনের সঙ্গে সূচকের পতন ঘটেছে। গত কয়েকদিন ধরে অপেক্ষাকৃত ছোট মূলধনী কোম্পানিগুলোর দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। রবিবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এর বিপরীতে বড় মূলধনী কোম্পানিগুলো কিছুটা দর হারিয়েছে। মূলত প্রাতিষ্ঠানিকসহ বড় বিনিয়োগকারীদের বাজার পর্যবেক্ষণের নীতির কারণেই ডিএসইতে কিছুটা স্থিতিবস্থা দেখা গেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সকালে বেশিরভাগ কোম্পানির দরবৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর অব্যাহত থাকেনি। লেনদেন শুরুর মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই ডিএসইর সার্বিক সূচকটির পতন ঘটতে থাকে। দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটির অবস্থান আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮৪৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২৬টির, কমেছে ১৪৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ার দর। লেনদেন হয়েছে ২৩৭ কোটি ৮৮ লাখ ৯ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবারে ডিএসইর টপ-২০ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মোট ৯৮ কোটি ৬৪ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪১.৪৬ শতাংশ। এদিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে সামিট এলায়েন্স পোর্টের। দিনভর এ কোম্পানির ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৮২টি শেয়ার ৮ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.৫০ শতাংশ। এছাড়া অগ্নি সিস্টেমসের ৭ কোটি ৮৭ লাখ, বেক্সিমকো ফার্মার ৭ কোটি ৭৩ লাখ, ফু-ওয়াং ফুডের ৭ কোটি ৭ লাখ, আরএকে সিরামিকের ৫ কোটি ৯৭ লাখ, লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের ৫ কোটি ৩৩ লাখ, তুং হাই নিটিংয়ের ৪ কোটি ৯০ লাখ, দেশবন্ধু পলিমারের ৪ কোটি ৭৮ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ৪ কোটি ৬৫ লাখ এবং গ্রামীণফোনের ৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো- ফু-ওয়াং সিরামিক, সালভো কেমিক্যাল, আরডি ফুড, বিচ হ্যাচারী, ন্যাশনাল পলিমার, স্টাইল ক্রাফট, ডাচ বাংলা ব্যাংক, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম লাইফ ও ফার ইস্ট লাইফ। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো- মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, লিব্রা ইনফিউশন, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, শাহজিবাজার পাওয়ার, ইমাম বাটন, বিআইএফসি, সাফকো স্পিনিং, কাসেম ড্রাইসেল, মাইডাস ফাইনান্স ও মেঘনা পেট। এদিকে ঢাকার মতো দেশের অপর পুঁজিবাজারের সব ধরনের সূচক কমেছে। সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও দিনশেষে সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৯০৯৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ১২৮টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টি কোম্পানির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন এ সময়ে লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সেই হিসাবে বুধবার সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৪ লাখ টাকা। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো- সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, হামিদ ফেব্রিক্স, লাফার্জ সুরমা, অগ্নি সিস্টেম, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, বেক্সিমকো, আরকে সিরামিক, স্কয়ার ফার্মা ও তুং হাই নিটিং।
×