ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন বাড়ল

প্রকাশিত: ০৩:১৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন বাড়ল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কোনভাবেই ২শ’ কোটি টাকার লেনদেনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না পুঁজিবাজার। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে নতুন প্রজন্মের স্বয়ংক্রিয় লেনদেন ব্যবস্থা চালুর পর থেকেই যে সূচক ও লেনদেনের পতন দেখা গেছে তা কোনভাবেই থামছে না। মূলত বড় বিনিয়োগকারীরা সাইড লাইনে থাকার কারণেই বাজারে লেনদেনে গতি ফিরছে না। মাঝে মধ্যে ছোট মূলধনী কিছু কোম্পানির দর বৃদ্ধিতে সূচকের সামান্য বৃদ্ধি ঘটলেও তা স্থায়ী হচ্ছে না। বৃহস্পতিবারে আগের ধারাবাহিকতা থেকে বের হয়ে এসে কিছু বড় মূলধনী কোম্পানির দর বাড়তে দেখা দেয়। ফলে দিনশেষেও সূচক কিছুটা বেড়েছে। একইভাবে বড় মূলধনী কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীরা ফিরে আসায় ডিএসইর সার্বিক লেনদেন আগের তুলনায় ১২ দশমিক ২০ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকই বেড়েছে। সেখানেও লেনদেনে কিছুটা ধীরগতি ছিল। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে সূচকের উর্ধগতি দিয়ে লেনদেন শুরুর পরে দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ১৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৮৬৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩০৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টির, কমেছে ১১৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টি কোম্পানির শেয়ার দর। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২৬৬ কোটি ৯৬ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সোমবার ডিএসইর টপ-২০ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মোট ১১৭ কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪৩.৯৫ শতাংশ। এ দিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্টের। দিনভর এ কোম্পানির ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৭৬৭টি শেয়ার ১৫ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫.৭২ শতাংশ। এ ছাড়া ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ৭ কোটি ৭১ লাখ, স্কয়ার ফার্মার ৭ কোটি ৩১ লাখ, আইডিএলসির ৭ কোটি ১২ লাখ, আরএকে সিরামিকের ৬ কোটি ৮১ লাখ, কেয়া কসমেটিকসের ৬ কোটি ৫৯ লাখ, অগ্নি সিস্টেমসের ৬ কোটি ৪৭ লাখ, বেক্সিমকো ফার্মার ৬ কোটি ১৩ লাখ, এমজেএল বিডির ৫ কোটি ৮৫ লাখ এবং তুং হাই নিটিংয়ের ৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, বিআইএফসি, পপুলার লাইফ মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এইমস ১ম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ইউএলসি, ন্যাশনাল টি কর্পোরেশন, ডেসকো, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড ও গ্রামীণ স্কিম ২। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কেয়া কসমেটিকস, ঝিল বাংলা, জিএসইপি ফাইনান্স, জুট স্পিনার্স, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, আরকে সিরামিক, বিকন ফার্মা, সোনালি আঁশ, আমরা টেক ও মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ। দিনশেষে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৯০৯৯ পয়েন্টে। সেখানে লেনদেন হওয়া ২৫১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ৯৮টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টি কোম্পানির। সেখানে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন এ সময়ে লেনদেন হয়েছিল ২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসেবে সোমবার সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৫৪ লাখ টাকা। সিএসইতে লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : কেয়া কসমেটিকস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, আরকে সিরামিক, বেক্সিমকো, সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, আরএন স্পিনিং, গ্রামীণফোন, তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ও মবিল যমুনা বিডি।
×