ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গুরু-শিষ্যের পরিবেশনায় দুই বাংলার কালজয়ী গান

প্রকাশিত: ০৫:১২, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

গুরু-শিষ্যের পরিবেশনায় দুই বাংলার কালজয়ী গান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সম্পর্কে তাঁরা ছাত্র ও শিক্ষক। গানের সূত্রে এই সম্পর্কের সূত্রপাত। গুরু সঞ্জয় রায়ের কাছে সঙ্গীতের দীক্ষা নিচ্ছেন শিষ্য এরিক। সুরের ভুবনে একে অপরের নিত্যসঙ্গী। এবার তাঁরা এক মঞ্চে গান শোনালেন শ্রোতাদের। এই দুই শিল্পীর যুগলবন্দী সঙ্গীত পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হলো সোমবার। দুই বাংলার কালজয়ী গান নিয়ে সাজানো হয় এ সঙ্গীতাসর। কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিয়ের ডেইলি স্টার ভবনে এ সঙ্গীতসন্ধ্যার আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন আমরা সূর্যমুখী। শীতের সন্ধ্যায় আয়োজিত সঙ্গীতানুষ্ঠানটি ছিল দুই পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্বের সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে ছিল সঙ্গীত পরিবেশনা। সঙ্গীতসন্ধ্যার শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদের স্মরণে পালন করা হয় এক মিনিটের নীরবতা। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ‘বিজয় একাত্তর : প্রাপ্তির প্রত্যাশা নিরন্তর’ শীর্ষক সংক্ষিপ্ত আলোচনা। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, খ্যাতিমান নজরুল সঙ্গীত শিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরা ও ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারের আর্টস এ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট বিভাগের সম্পাদক সাদিয়া আফরিন মল্লিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আমরা সূর্যমুখীর সমন্বয় সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেলিম। সুরের মূর্ছনায় দ্বিতীয় পর্বের সূচনা হয়। গুরু ও শিষ্যের যুগলবন্দী পরিবেশনায় গীত হয় হৃদয় উচাটন করা দুই বাংলার কালজয়ী সব গান। পরিবেশিত হয় রবি ঠাকুর, শচীন দেব বর্মণ, মান্না দে, আবদুল আলীম, গোবিন্দ হালদার, বশীর আহমেদ, কে এল সায়গল ও মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের রচিত, সুরারোপিত কিংবা গাওয়া গান। দেশ বন্দনা করে শিষ্য এরিকের পরিবেশনা দিয়ে শুরু হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। কণ্ঠে সুরের সংযোগটা খুব ভাল না হলেও চেষ্টার কোন কমতি ছিল না। কিশোর কণ্ঠে উচ্চারিত হয় আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি/তুমি এই অপরূপ রূপে বাহির হলে জননী। এরপর এই শিল্পী একে একে পরিবেশন করেন রঙ্গিলা রঙ্গিলা রঙ্গিলারে আমারে ছাড়িয়ারে বন্ধু কই গেলা রে, হায় কি যে করি এ মন নিয়া, যদি কাগজে লিখো নাম, আজ মনে হয় এই নিরালায়। দ্বৈত কণ্ঠে সঞ্জয় রায় ও এরিক পরিবেশন করেন একাত্তরের প্রেরণাদায়ী গান মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি/মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি। সঞ্জয় রায়ের একক কণ্ঠে পরিবেশিত গানগুলোর শিরোনাম ছিল পৃথিবী আমারে চায় রেখো না বেঁধে আমায়, এই মহুয়া বনে প্রেম যমুনার পারে, এ গান তোমার শেষ করে দাও, ডেকো না আমারে তুমি, যে পারে তোর বসত বাড়িরে, বারে বারে কে যেন ডাকে আমারে। আবৃত্তি প্রযোজনা কথামানবীর মঞ্চায়ন বৃহস্পতিবার ॥ মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের নতুন আবৃত্তি প্রযোজনা কথামানবী। আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটম-লে প্রযোজনাটির দ্বিতীয় মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের নিবেদিত প্রযোজনাটি উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত বরেণ্য চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীকে। ওপার বাংলার প্রখ্যাত কবি মল্লিকা সেনগুপ্তর রচনা থেকে কথামানবী প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান পারভেজ। আবৃত্তি প্রযোজনাটির বিষয়বস্তু মহাভারত থেকে সমসাময়িক কাল পর্যন্ত বিজয়দীপ্ত আটটি নারী চরিত্রের আত্মকথন। এই চরিত্রগুলো হচ্ছে দ্রৌপদী, গঙ্গা, মেধা পাটেকর, শাহবানু, মালতী, মুদি, রাজিয়া সুলতানা, মাধবী ও খনা। বিজন সাহার ‘অতীতের ছোঁয়া’॥ উচ্চমাধ্যমিকের পর ১৯৮৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়তে যান বিজন সাহা। পড়াশোনা শেষ করে সেখানেই গড়েছেন পারিবারিক জীবন। চাকরি করছেন মস্কো থেকে ১০০ কিলোমিটার উত্তরের শহর দুবনায়। আর সেই ছাত্রজীবন থেকেই ছবি তোলার অদম্য আগ্রহ পেয়ে বসে তাঁকে। যখনই সময় পান, ছবি তোলেন। মূলত দুবনা শহরে বা তার আশপাশেই ছবি তোলেন। কাজান, মস্কো, ভøাদিমিরে গেলে ক্যামেরা তাঁর নিত্যসঙ্গী। বন-বাদাড় আর নদী-সাগরের কাছে যাওয়া হয়। ভোলগা নদী, মস্কো উপসাগর, ইয়ালচিক হ্রদ, বাইকাল হ্রদের কাছাকাছি হওয়ার সময়ও ক্যামেরাকে রেহাই দেন না। তেমন কিছু ছবি নিয়ে ধানম-ির রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রে চলছে এই আলোকচিত্রীর প্রদর্শনী। অতীতের ছোঁয়া শীর্ষক এ প্রদর্শনী চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
×