ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জের মানুষ রাজাকার কায়সারের ফাঁসি চায়

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

হবিগঞ্জের মানুষ রাজাকার কায়সারের ফাঁসি চায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ২২ ডিসেম্বর ॥ ’৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত জঘন্য রাজাকার কমান্ডারের নাম সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার। ওই সময় যিনি হবিগঞ্জ শহর, লাখাইয়ের কৃষ্ণপুর, শায়েস্তাগঞ্জ, মিরপুর, বাহুবল উপজেলার ফয়েজাবাদ, চুনারুঘাট, মাধবপুর উপজেলা ও বি-বাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলাধীন প্রত্যন্ত অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে পাক বাহিনীকে শুধু সহায়তা করেই ক্ষান্ত হননি বরং নির্বিচারে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, নারী ধর্ষণ আর বাড়ির পর বাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন। এমনকি জাতীয় পার্টির আমলে কৃষি প্রতিমন্ত্রী হয়ে গাড়িতে পতাকা লাগিয়ে বীর দর্পে ঘুরে শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিকে করেছিলেন কলঙ্কিত। যার ক্ষত চিহ্ন এখনও বয়ে বেড়াচ্ছে হবিগঞ্জ ও নাসিরনগরের মানুষ। সেই সময় ধর্ষণের শিকার বীরাঙ্গনা আর পঙ্গুত্ববরণ করা মুক্তিযোদ্ধারা পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায়ত্ব জীবন যাপন করলেও মৃত্যুর আগে কায়সারের বিচার দেখে যাওয়াই যেন তাদের চোখে মুখে বারবার ভেসে উঠছে। অথচ এই স্বাধীন রাষ্ট্রে গড়ে ওঠা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার রাজাকার কায়সারের ওই অপকর্মের বিচারের রায় প্রকাশ করার খবরে হবিগঞ্জের মানুষ এখন আনন্দে আত্মহারা। মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে নানা পেশার মানুষ এখন প্রত্যাশায় রয়েছেন রাজাকার কায়সারের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদ-। রায় প্রকাশের আগ মুহূর্তে জনকণ্ঠকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মামলার অন্যতম সাক্ষী ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ইউনিটের কমান্ডার এডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান বলেন, এই কায়সারের বিচারের রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি হলেই গোটা হবিগঞ্জের মানুষ খুশী হবে। এছাড়া হবিগঞ্জ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম মুখপাত্র আব্দুর রকিব রনি ও পিযুষ চক্রবর্তী বলেন, কুখ্যাত নরঘাতক রাজাকার কায়সারের ফাঁসি ছাড়া হবিগঞ্জের মানুষের প্রত্যাশা অপূর্ণই থেকে যাবে। ’৭১-এর ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় কমিটির মেম্বার ও জেলা শাখার সেক্রেটারী রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন বলেন, ওইসব অপকর্মে নরঘাতক রাজাকার কায়সারের বিচারের রায় ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তিনিই প্রথম হবিগঞ্জের এই রাজাকার কমান্ডারের অপকর্মের নানা তথ্য তুলে ধরেছিলেন জাতীয় দৈনিকে।
×