ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদাবাজি চলছে সিসি ক্যামেরার বাইরে

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪

চাঁদাবাজি চলছে সিসি ক্যামেরার বাইরে

মাকসুদ আহমদ, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি চলছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতার বাইরে। নগরীতে দেড় শতাধিক ক্লোজ ক্যামেরা প্রতিস্থাপনের পর ট্রাফিক পুলিশ এবং থানা পুলিশ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অন্তরালে চালাচ্ছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। মঙ্গলবার বিকেলে এ ব্যাপারে সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও করার কিছু নেই বলে দায়িত্ব এড়ানোর পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) ডকুমেন্ট ছাড়াও নানা অজুহাতে ট্রাফিক বিভাগের অসাধু কর্মকর্তারা অবাধে চাঁদা বাণিজ্য চালিয়ে আসায় অতিষ্ঠ পরিবহন মালিক ও চালকরা। ট্রাফিক পুলিশ অবৈধ ডকুমেন্টধারী ও ডুকমেন্টহীন চালক ও মালিককে আইনের আওতায় না এনেই অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক। ফলে হয়রানি শিকার হচ্ছে ডকুমেন্টধারীরা। কারণ ডকুমেন্ট সঠিক থাকলেও রিক্যুইজিশনের স্লিপ ধরিয়ে অর্থ আদায়ের অপচেষ্টা চালাচ্ছে ট্রাফিক বিভাগ। অথচ হাইকোর্ট থেকে পুলিশের প্রয়োজনে পাবলিকের গাড়ি রিক্যুইজিশন নিষিদ্ধ হলেও তা মানছে না সিএমপি। প্রত্যক্ষভাবে দেখা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সিএমপি ট্রাফিক উত্তর বিভাগের আওতায় থাকা জাকির হোসেন সড়কে ট্রাফিক পুলিশের ব্যাপক চাঁদাবাজি চলছিল। পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে ভিআইপি সড়ক হিসেবে খ্যাত এ সড়কের ঝাউতলা রেলগেট (হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল সংলগ্ন) এলাকায় প্রায় ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে গাড়ির জ্যাম লেগে যায়। এক পর্যায়ে জ্যামের কারণ খতিয়ে দেখা হলে, দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির কারণে এ জ্যামের উৎস। রেলগেট সংলগ্ন একটি টং দোকানের সামনে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল দাঁড় করিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আল আমিন ও কনস্টেবল সবুর ঢালাওভাবে অর্থ আদায় করছিল। একটি ঢাকা মেট্রো মাইক্রো ও একটি পিকআপ ভ্যান (চট্টমেট্রো-অ-১১-০৪৪৩) মূল সড়কের ওপর দাঁড় করিয়ে কাগজপত্রের পরীক্ষার নামে দীর্ঘ সময় অপেক্ষমাণ রেখেছে। যাত্রী ভর্তি মাইক্রোর চালক এবং ব্যবহারকারীরা উভয়েই ডকুমেন্ট দেখানোর পরও নাছোড়বান্দা পুলিশ। অপরদিকে পিকআপ ভ্যানের চালক ও হেলপার উভয়ে পুলিশের হাত পা ধরে ফেলার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে রফা হলো অর্থের বিনিময়ে। এ ব্যাপারে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (প্রশাসন-উত্তর) জানিয়েছেন, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া না গেলে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেয়া যায় না। গাড়ি মালিক অথবা আপনি নিজে যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে এ কর্মকর্তা প্রতিবেদককে উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললেন, অর্থ আদায়ের কোন ছবি তুলেছেন কিনা। যদি থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেয়া যাবে। কনস্টেবল সবুর প্রতিবেদককে চা আপ্যায়নের আকুতি জানিয়েছিল কেন সে প্রসঙ্গে বলা হলো এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার বলেন, ‘তারা হয়তো আপনার পূর্ব পরিচিত’ না হয় কেন বলবে।
×