ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নান্দনিক উপস্থাপনায় শুরু কত্থক নৃত্য উৎসব

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৪

নান্দনিক উপস্থাপনায় শুরু কত্থক নৃত্য উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুরু হলো কত্থক নৃত্য উৎসব ১৪২১। শুদ্ধ-নির্মল সংস্কৃতির অন্যতম এ নৃত্যের সৌন্দর্য এবং মাধুর্য ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করেছে কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়। বুধবার সন্ধ্যায় ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৃত্য ব্যক্তিত্ব লায়লা হাসান, সাধনার শৈল্পিক নির্দেশক লুবনা মরিয়ম ও নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী পর্ব। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কত্থক নৃত্য বিশেষ এক বৈশিষ্ট্য নিয়ে নিজ মহিমায় বিকশিত হয়ে আছে। কোন এক সময়ে প্রাচীন এই নৃত্যশৈলীর ভাটা পড়ে আসে। পরে রাজা-বাদশার দরবারে শুরু হয় এই নৃত্যের পুনঃপ্রচলন। এই নৃত্য এখন শিল্পীদের প্রচেষ্টায় পৃথিবীতে জনপ্রিয়তার এক বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে, বাংলাদেশে তো বটেই। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় যে নৃত্য প্রাচীন দেব-দেবীর গল্প অবলম্বনে পরিবেশিত হতো, পরিবর্তিত এ সমাজে এখন তার রূপেরও পরিবর্তন হওয়া উচিত, কিন্তু এর বৈশিষ্ট্যকে পাশ কাটিয়ে নয়। এখন সময় এসেছে সমসাময়িক প্রেক্ষাপটকে সামনে নিয়ে এই নৃত্যশৈলীকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা বাংলাদেশে নৃত্যোপযোগী মঞ্চেরও দাবি করেন। এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়ের পরিচালক সাজু আহমেদ। অনুষ্ঠানে নৃত্যে বিশেষ অবদানের জন্য শিল্পী সুলতানা হায়দারকে ‘জীনাৎ জাহান স্মৃতি সম্মাননা পদক’ প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে শুরু হয় নৃত্যানুষ্ঠান। শুরুতে ছিল ‘বন্দনা’ শীর্ষক সংগঠনের শিল্পীদের সম্মেলক কত্থক নৃত্য পরিবেশনা। এরপর একে একে পরিবেশিত হয়-ছন্দমালিকা, রাফজায়া, প্রথম ছন্দ, মেঘমালিকা, অবন্তিকা, নৃত্যনির্মিতি, টুকরামালিকা ও গৎমালিকা। তারানা পরিবেশনার মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। আজ বৃহস্পতিবার একই সময়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন নৃত্যশিল্পী বেলায়েত হোসেন খান ও নীলুফার ওয়াহিদ পাপড়ী। উদীচীর জাতীয় সম্মেলন শুরু হচ্ছে কাল ॥ ‘নিত্য বাজুক বজ্রবীণা, মানুষ জাগুক জয়ে’ সেøাগানে আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দুই দিনব্যাপী ঊনবিংশ জাতীয় সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে সংগঠনটির তিন শতাধিক শাখা থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষক যোগ দেবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পাদদেশে সকাল ১০ টায় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন ২০০৫ সালে নেত্রকোনায় মৌলবাদী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর নৃশংস বোমা হামলায় নিহত উদীচীর নেতা খাজা হায়দার হোসেন ও সুদীপ্তা পাল শেলীর পরিবারের সদস্য এবং ওই ঘটনায় আহত সহযোদ্ধারা। এ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কামাল লোহানী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, মাহমুদ সেলিম, সহ-সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর সরদার। তিনি বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেয়া হবে শ্রমিক আন্দোলনের প্রবাদ প্রতিম পুরুষ, জসিম উদ্দিন ম-লকে। এরপর একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে শেষ হবে। সেখানে শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত উদ্বোধনী আলোচনা সভায় উপস্থিত থাকবেন উদীচীর উপদেষ্টা মঞ্জুরুল আহসান খান, নাট্যজন মামুনুর রশিদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গীতিকার ও সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল এবং সাহিত্যিক জাকির তালুকদার। এরপর অনুষ্ঠিত হবে সাংগঠনিক নানা অধিবেশন। এছাড়া, প্রতিদিন সন্ধ্যায় আবহমান বাংলার সংস্কৃতির ধারক-বাহক নানা লোক আঙ্গিকের পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে হাজির হবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত উদীচীর শিল্পী-কর্মীরা। মঞ্চস্থ হলো ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ও কঙ্কাল ॥ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় ভিন্নধারার গল্পের নাটক ‘মুখরা রমনী বশীকরণ’। উইলিয়াম শেকসপিয়ারের ‘টেমিং অব দ্য শরু’ অবলম্বনে মুনীর চৌধুরী অনুদিত এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন আল্ জাবির। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সঙ নাট্যের আদলে মঞ্চস্থ করা হয় নাটকটি।
×