ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুবর্ণজয়ন্তীতে বিটিভির হাল

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৪

সুবর্ণজয়ন্তীতে বিটিভির  হাল

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ সাদা-কালো পর্দায় সম্প্রচারের মাধ্যমে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পাকিস্তান টেলিভিশন। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন দেশে নাম পরিবর্তিত হয়ে পরিণত হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। ১৯৮০ সাল থেকে রঙিন পর্দায় সম্প্রচার শুরু করে সরকারী টেলিভিশন মাধ্যম বিটিভি। এক সময় আপামর মানুষের অন্যতম এই বিনোদন মাধ্যমটি হারিয়ে ফেলেছে তার জৌলুস। সময়ের পথপরিক্রমায় বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে পদার্পণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিন সাড়ম্বরে সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে এই আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে যেন সংযোগ নেই দেশের টিভি দর্শকদের। কারণ, একদিকে মানহীন অনুষ্ঠান ও অন্যদিকে উন্মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির কারণে বিটিভি হারিয়েছে তার আবেদন। অথচ এই সম্প্রচার মাধ্যমটিই এক সময় নাটক থেকে শুরু করে সঙ্গীতানুষ্ঠান কিংবা শিশুতোষ অনুষ্ঠান, শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনে মাতিয়ে রাখত দর্শককে। এমনকি একটা সময় বিটিভির সংবাদও ছিল দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য। সেই সোনালি যুগ কাটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির যেন এখন বেহাল দশা। বিনোদনের নামে নিম্নমানের অনুষ্ঠানের কারণে দর্শক চোখ সরিয়ে নিয়েছে সরকারী এই টিভি চ্যানেল থেকে। সে কথারই প্রমাণ মেলে সম্প্রতি কেবল টিভ দর্শক ফোরাম পরিচালিত একটি জরিপে। ইতোমধ্যে রাজধানীর একাংশ গুলশান ১ ও ২, উত্তর ও মধ্যবাড্ডা, শান্তিবাগ, রামপুরা, সেগুনবাগিচা, মালিবাগসহ কয়েকটি স্থানের ওপর জরিপ চালায় প্রতিষ্ঠানটি। ১ হাজার ২০ টিভি দর্শকের অংশ নেয়া এই জরিপে দেখা যায়, মাত্র ২২ দর্শক বিটিভি দেখে। বিটিভির সুবর্ণজয়ন্তীর সাংস্কৃতিক পরিবেশনাতেও ধরা পড়ে প্রতিষ্ঠানটির জীর্ণ দশা। সান্ধ্যকালীন অনুষ্ঠানে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে একঝাঁক শিল্পী গাইছিলেন আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে... গানটি। কিন্তু গানটি গাওয়ার সময় হঠাৎ থেমে যায় মাইক। কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ থাকে পরিবেশনা। প্রায় ১ মিনিটের কারিগরি ত্রুটি সারিয়ে আবার শুরু হয় গানের পরিবেশনা। বিটিভির এমন অবস্থার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে অতিমাত্রায় সরকারীকরণকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনরা। তাঁরা বলছেন, মূলত স্বৈরশাসক এরশাদের আমল থেকেই বিটিভি পুরো মাত্রায় সরকারী শাসিত হয়ে পড়ে। এরপর প্রতিটি সরকারের আমলেই প্রতিষ্ঠানটিকে ঘিরে চলেছে এক ধরনের দলবাজি। যোগ্যতা বা দক্ষতা নয় দলীয় পরিচয়ে অযোগ্য ব্যক্তিরা প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। ঠিক একইভাবে অদক্ষ ব্যক্তিরা সম্পৃক্ত হয়েছেন অনুষ্ঠান বা নাটক নির্মাণের সঙ্গে। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে আমলাতান্ত্রিক পরিচালনা ব্যবস্থা। সৃজনশীলতার সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই এমন আমলার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে মেধাবান মানুষের অভাবে ক্রমশই অবনতি ঘটেছে সরকারী এই টিভি চ্যানেলটির। অথচ সমস্যার উত্তরণে নেয়া হচ্ছে না কোন উদ্যোগ। এ প্রসঙ্গে খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পী ও নাট্য নির্দেশক মামুনুর রশীদ বলেন, বিটিভির অবস্থা এখন এমন হয়েছে যে মনে হয়, ওখানে মাথা খাটানোর মতো লোক নেই। একদিকে রয়েছে সরকার শাসিত ব্যবস্থা অন্যদিকে যুক্ত হয়েছে আমলাতান্ত্রিকতা। টেলিভিশন বা অন্য কোন মাধ্যমের সৃজনশীল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই এমন ব্যক্তিরা পরিচালনা করছেন প্রতিষ্ঠানটি। অথচ বিটিভির সোনালি সময়ে বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, খ্যাতিমান নাট্য নির্দেশক ও অভিনয়শিল্পী আবদুল্লাহ আল মামুন, প্রখ্যাত নির্মাতা আতিকুল হক চৌধুরীর মতো সৃজনশীল ব্যক্তি অনুষ্ঠান বিভাগে কাজ করেছেন। তখন ভাল অনুষ্ঠান নির্মাণের জন্য সৃজনশীল মানুষকে খুঁজে এনে এখানে পদায়ন করা হতো। এখন ঘটছে তার উল্টোটা। সৃজনহীন ব্যক্তিরা জড়িত হয়েছেন সৃজনশীল কাজে। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। অনুষ্ঠান করতে হবে তাই অনুষ্ঠান হচ্ছে, কিন্তু মানগত বিষয় বলে কিছু থাকছে না। এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে প্রয়োজন বিটিভির স্বায়ত্তশাসন। সরকারের বাঁধাধরা নিয়ম অনুযায়ী গড্ডলিকা প্রবাহে বিটিভির অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, ১৯৬৮ সাল থেকে আমি এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কাজ করছি। মানহীনতার এ অবস্থায় এক সময় কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম যেন খ্যাতিমান লেখকসহ সৃজনশীল ব্যক্তিদের যুক্ত করা হয় প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে। পরবর্তীতে ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে নিজেই সরে এসেছি। এ প্রসঙ্গে খ্যাতিমান অভিনেতা ও প্রযোজক তারিক আনাম খান বলেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য প্রয়োজন সৃষ্টিশীল মানুষ। বিটিভির সুসময়ে তেমন ব্যক্তিরাই সম্পৃক্ত ছিলেন আপামর মানুষের কাছের এই গণমাধ্যমটির পরিচালনার সঙ্গে। এখন আর সেই অবস্থা নেই। দীর্ঘদিন ধরে আমলা দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। ফলে মেধাসম্পন্ন মানুষ যুক্ত হচ্ছেন না প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে। আর মেধাহীন মানুষ দিয়ে ভাল কিছু করা সম্ভব নয়। আরেকদিকে যে সরকার যখন ক্ষমতায় এসেছে তারাই যেন দখল নিয়েছে বিটিভি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতির মান। তাহলে উন্মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির যুগে দর্শক কেন এই টেলিভিশনের মানহীন অনুষ্ঠান দেখবে? সংস্কৃতিবান্ধব মানুষের পরিবর্তে স্বার্থান্বেষী লোকজন দিয়ে চলছে চ্যানেলটি। এঁদের দিয়ে কখনই পুনরায় বিটিভিকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব নয়। ভিন্ন মতাবলম্বী হওয়া সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানের কল্যাণে জামিল চৌধুরীর মতো গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব একসময় বিটিভির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কলিম শরাফী ও নাট্যকার আবদুল্লাহ আল মামুনের মতো মেধাবী মানুষ এই বিভাগে কাজ করেছেন। কবি শহীদ কাদরি, শিল্পী এমদাদ হোসেনরাও কাজ করেছেন এই প্রতিষ্ঠানে। অবস্থার উত্তরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কাজটি কঠিন হলেও সবার আগে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত করতে হবে মেধাবী মানুষকে। উন্মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হলে পুরো প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। আধুনিকতাকে ধারণ করে সাজাতে হবে অনুষ্ঠান বা নাটক। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, এখন আর আমাদের মতো শিল্পীকে বিটিভিতে কোন কাজের জন্য ডাকা হয় না। গুণী শিল্পীদের নাটক বা অনুষ্ঠান করানো হয় না। এমনকি আজ (বৃহস্পতিবার) সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে দায়সারাভাবে। তাই এখানে অনেক গুণী শিল্পীকেই অনুপস্থিত দেখছি। অথচ সকালে বেসরকারী টিভি চ্যানেল আই বিটিভির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও অনেক খ্যাতিমান শিল্পীর উপস্থিতি লক্ষ্য করেছি। আইটিআই সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বিটিভির গ্রহণযোগ্যতা হারানোর পেছনে দায়ী করেছেন সংবাদ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই টেলিভিশনের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি দুটোই আছে। দেশে এখন যেমন অনেক চ্যানেল তেমনি রয়েছে প্রচুর শিল্পী। আর এসব শিল্পী তৈরিতে বিটিভির ভূমিকাই বেশি বলে আমি মনে করি। এমন কোন অনুষ্ঠান নেই, যা বিটিভি প্রচার করছে না। তবে শুধু সংবাদের জন্যই দর্শকের গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে বিটিভি। সংবাদ প্রচারে বস্তুনিষ্ঠতা ও গ্রহণযোগ্যতার অভাব রয়েছে। মানুষ যখন প্রাইভেট চ্যানেলে খবর দেখে তখন তারা পার্থক্যটা বুঝতে পারে। বিটিভিতে যেভাবে খবর প্রচার করা হয় আমি তার ঘোরতর বিরোধী। প্রসঙ্গটি নিয়ে কথা হয় এক সময় নিয়মিত বিটিভি দেখতেন এমন এক দর্শক পুরনো ঢাকার সূত্রাপুরের বাসিন্দা শওকত হোসেনের সঙ্গে। অবসর জীবন কাটানো এই দর্শক বলেন, নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত বিটিভি দেখে অনেক বিনোদন পেয়েছি। তখন দারুণ বৈচিত্র্যময় ছিল বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠানমালা। আজও মনে দাগ কেটে আছে ফজলে লোহানী উপস্থাপিত যদি কিছু মনে না করেন অনুষ্ঠানটি। এদেশে এত চমৎকার অনুষ্ঠান আমি খুব কম দেখেছি। শহীদুল্লা কায়সার রচিত ও আবদুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত সংশপ্তক নাটকটি এখন কালজয়ী মনে হয়। ইডিয়টস, দূরবিন, মাটির কোলে, সকাল সন্ধ্যা কিংবা গ্রন্থিকগণ কহের মতো নাটক আজও বিষয়বৈচিত্র্যে উজ্জ্বল। অথচ এখন আর বিটিভিতে ইত্যাদি ছাড়া তেমন কোন ভাল ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান বা বিষয়বস্তুনির্ভর নাটক খুঁজে পাই না। অন্যদিকে উন্মুক্ত আকাশ সংস্কৃতির কারণে বেসরকারী চ্যানেলসহ বিদেশী চ্যানেলগুলোয় সময় কাটানোর মতো ভাল নাটক, সঙ্গীতানুষ্ঠানসহ রকমারি আয়োজন থাকে। তাই এখন আর বিটিভি দেখা হয় না। অনুষ্ঠান বা নাটক দেখলে মনে হয় যেন মানহীনতা ছাড়া আর কিছুই নেই। এসব বিষয়ে মন্তব্যের জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিটিভির মহাপরিচালক আবদুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর তাঁর সহকারী সুভাষ মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মহাপরিচালক এই মুহূর্তে ব্যস্ত আছেন, কথা বলা সম্ভব নয়। অনুষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা সৈয়দ জামানকে কয়েকবার ফোন করা হলে তিনিও ফোনটি ধরেননি। প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার পর পাঁচ দশক ধরে নিয়মিত সংবাদ প্রচার করছে বিটিভি। রাষ্ট্রীয় এ গণমাধ্যমে প্রতিদিনই নানা বিষয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। অথচ প্রতিবেদনগুলো তৈরির পেছনে মূল ভূমিকা রাখেন যেসব প্রতিবেদক আজও তাঁদের স্বীকৃতি মেলেনি। জানা গেছে, বছরের পর বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক অতিথি প্রযোজক পদে সংবাদ প্রতিবেদক নিয়োগ দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বিটিভি। ফলে এই প্রতিবেদকরা কর্মক্ষেত্রে নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিটিভি সূত্র জানায়, বর্তমানে অস্থায়ী পদে নিযুক্ত বিটিভির ৪৯ প্রতিবেদক নামমাত্র বেতনে কাজ করছেন। এদের বেতন দেয়া হয় শিল্পী সম্মানী খাত থেকে। এই সম্মানীর টাকা মাসের কোন্ তারিখে হাতে পাওয়া যাবে, এরও কোন ঠিক নেই। পদ স্থায়ী না হওয়ায় তুচ্ছ কারণে চাকরিচ্যুত হতে হয় প্রতিবেদকদের। এমন নানা কারণেই অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সংবাদ পরিবেশনার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিটিভির সুবর্ণজন্তির অনুষ্ঠান ॥ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় রামপুর বিটিভি ভবনে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচারের গৌরবময় ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ। উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতা শেষে ছিল বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। আসাদুজ্জামান নূর ও আলী যাকের পরিবেশন করেন কাব্যনাট্য নুরলদীনের সারা জীবনের খণ্ডিত অংশ। সঙ্গীত পরিবেশনায় অংশ নেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ থেকে পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী হাসান আরিফ। এছাড়া সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কাল শনিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে বিটিভি। সকাল থেকে শুরু হবে কবি, শিল্পী, লেখক মেলা শীর্ষ অনুষ্ঠানমালা। এ আয়োজনে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হবে। আমন্ত্রিত চিত্রশিল্পীরা ছবি আঁকার পাশাপাশি থাকবে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ। বেলা ৩টায় দ্বিতীয় পর্বের সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক ও কথাশিল্পী রাবেয়া খাতুনকে জন্মদিন উপলক্ষে প্রদান করা হবে সংবর্ধনা। এছাড়া থাকবে আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
×