ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চার হাজার কৃষকের সর্বনাশ ঠেকাতে পারে একটি বাঁধ

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪

চার হাজার কৃষকের সর্বনাশ ঠেকাতে পারে একটি বাঁধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৬ ডিসেম্বর ॥ নীলগঞ্জ ইউনিয়নে বোরো ও সবজিচাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের মাস্টারবাড়ি, নাওভাঙ্গা পয়েন্টে কালভার্ট এবং পাখিমারা স্লুইসখাল দিয়ে লোনা পানির প্রবেশ ঠেকাতে না পারলে অন্তত চার হাজার কৃষকের এমন সর্বনাশ হয়ে যাবে। কৃষকরা এই তিনটি পয়েন্টে মাটির বাঁধ দিতে না পারলে সবজি চাষ ভেস্তে যাবে। পাখিমারার দীর্ঘ খালটির পানি ব্যবহার করে নীলগঞ্জের সকল চাষী ১২ মাস সবজির আবাদ করে আসছে। এখন চলছে বোরো চাষের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে বীজতলা করা হয়েছে। কিন্তু লোনা পানি প্রবেশের আশঙ্কায় তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষক বারোমাসি সবজির আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। পাখিমারার দীর্ঘ খালটির মিঠা পানি তাদের সবজিক্ষেতে সেচের একমাত্র উপায়। কিন্তু তিনটি স্পটে এ বছর এখন পর্যন্ত পুরো বাঁধ না দেয়ায় লোনা পানি প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। কৃষকরা উপজেলা কৃষি বিভাগ, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসে লিখিত আবেদন করেছেন। কিন্তু কোন প্রতিকার পায়নি। ফলে হাজার হাজার কৃষক তাদের বেঁচে থাকার অবলম্বন উপার্জনের একমাত্র পথ সবজিচাষ বন্ধের শঙ্কায় উদ্বিগ্ন রয়েছেন। কৃষকরা জানান, এই তিনটি বাঁধ দেয়ার জন্য মাত্র কুড়ি হাজার টাকার যোগান দেয়া প্রয়োজন। তারা চাঁদা তুলে এক দফা বাঁধ দিয়েছেন। এখন প্রয়োজন পুরো বাঁধটির কাজ শেষ করা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে- এসব কৃষকের ক্ষেতে এখন বেগুন, লালশাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, শসা, বরবটি, কাঁচা মরিচের ফলন রয়েছে। অনেকে বিক্রি করছেন এসব ফসল। আবার কেউ তৈরি করছেন নতুন ক্ষেত। কুমিরমারা গ্রামের সফল সবজি চাষী সুলতান গাজী জানান, তিনটি স্থানে বাঁধ না দিলে তাদের ব্যবহারের পাখিমারা খালে লোনা পানিতে ভরে যাবে। সবজি চাষ বন্ধ হয়ে যাবে। ভেস্তে যাবে বোরোর আবাদ। প্রত্যেক চাষীর লাখ টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে। পাখিমারা খালে লোনা পানি প্রবেশ করলে নীলগঞ্জের ইসলামপুর, মজিদপুর, নেয়ামতপুর, গামইরতলা, নাওভাঙ্গা, পাখিমারা, কুমিরমারা, মোস্তফাপুর ও পূর্ব সোনাতলা গ্রামের সকল চাষীর সবজি চাষ বৃথা যাবে।
×