ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

পুঁজিবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে নতুন লেনদেন ব্যবস্থার সফটওয়ার চালুর দ্বিতীয় সপ্তাহেও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কিছুটা কম ছিল। চলতি বছরের শেষ সপ্তাহে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা কোম্পানিগুলোর ক্লোজিং শেষ হওয়ার প্রভাবে বাজারে কিছুটা বিক্রির চাপ বেড়েছে। তবে সেই হারে বাজারে ক্রেতা বাড়েনি। ফলে সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে। গত সপ্তাহে বড় দিন উপলক্ষে এক কার্যদিবস পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি কমেছে ০.৬৮ শতাংশ বা ৩২ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক কমেছিল ১.৫৫ শতাংশ বা ৭৬ পয়েন্ট। চার কার্র্যদিবসের মধ্যে রবিবার ডিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট, সোমবার বেড়েছে ১৮ পয়েন্ট, মঙ্গলবার কমেছে ২৯ পয়েন্ট এবং বুধবার কমেছে ১৫ পয়েন্ট। গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে লেনদেন কমেছে ৫.৮৫ শতাংশ বা ৫৫ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার ৮৮ টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অংকে লেনদেন কমেছিল ৪৭.০১ শতাংশ বা ৮৪৭ কোটি ২০ লাখ ৬৩ হাজার ৬০৪ টাকা। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৯৯ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ১২ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৩৮ কোটি ৭৫ লাখ ৭৩ হাজার ২৭৫ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। গত সপ্তাহের প্রতিটি কার্যদিবস ডিএসইতে দৈনিক গড় শেয়ার লেনদেন কমেছে ৫.৮৫ শতাংশ বা ১৩ কোটি ৯৭ লাখ ৫২ হাজার ৫২২ টাকা। আগের সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবস ডিএসইতে দৈনিক গড় শেয়ার লেনদেন কমেছিল ৩৩.৭৬ শতাংশ বা ১২১ কোটি ৬৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৬ টাকা। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ২৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯২২টি। আগের সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ২৫ কোটি ২৭ লাখ ৬২ হাজার ৩২০টি। অর্থাৎ শেয়ারের হিসাবে লেনদেন কমেছে ৮.০৩ শতাংশ বা ২ কোটি ২ লাখ ৯৭ হাজার ৩৯৮টি। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৩১৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১৯৮টির, দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির এবং লেনদেন হয়নি ৪টি কোম্পানির শেয়ার। গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩২৯ কোটি ৬৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৮ টাকা বা ০.১০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছিল ২ হাজার ১১৩ কোটি ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫০৬ টাকা বা ০.৬৫ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮২.৭৯ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৩.২৫ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ৭.৩৬ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৬.৬৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৭৮.৫৮ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৩.৬৬ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ১১.৮০ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৫.৯৭ শতাংশ। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো- লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণফোন, অগ্নি সিস্টেম, ব্র্যাক ব্যাংক, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, ডেসকো, আরকে সিরামিক ও ফুণ্ডওয়াং ফুড। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো- এক্সিম ব্যাংক ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, স্টাইল ক্রাফট, এ্যামারেল্ড ওয়েল, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ১ম বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, এইম ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, ফু-ওয়াং সিরামিক ও এমবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো- জুটস স্পিনার্স, হামিদ ফেব্রিক্স, শ্যামপুর সুগার মিলস, কেয়া কসমেটিকস, ঝিল বাংলা সুগার মিলস, সাফকো স্পিনিং, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, মিরাকল ইন্ড্রাস্টিজ, আরএন স্পিনিং ও জিএসপি ফাইনান্স লিমিটেড।
×