ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪

সম্পাদক সমীপে

ইদানীং কেউ কেউ বলছেন, ‘সরকার জনগণের ওপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে তা সর্বকালের সীমা অতিক্রম করেছে।’ আমরা তো বলব, যারা এই কথা বলছেন তারা তো ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে যা কিছু হয়েছিল তা বেমালুম ভুলে গেছেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নবেম্বর হত্যা করা হয়েছিল শত শত সৈনিক ও সাধারণ মানুষকে। ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুঁলিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল কর্নেল তাহেরকে। সেই দিনগুলোতে দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে দেশ শাসন চালিয়েছিল তৎকালীন এক জেনারেল শাসক। জনগণ তখন ছিল ক্ষমতাসীনদের নির্যাতনের শিকার আর তাদের বুটের তলায়। কথায় কথায় তারা গুলি চালিয়েছিল জনগণের ওপর। কিন্তু আজতো এমনটি নেই। কারফিউ দেখি না, দেখি না ১৪৪ ধারা। বরং জনগণ প্রকাশ্যে সরকারের কত না বিরূপ সমালোচনা করে চলছেন, যা কিনা স্বাধীনতা বিরোধীদের উৎসাহিত করার মতোই। এক বৃদ্ধ বললেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে-মুক্তি বাহিনী, কাদেরিয়া বাহিনী, মুজিব বাহিনী, মোকাররম বাহিনীসহ কতনা বাহিনী জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে পাকিস্তানী হানাদারদের থেকে মুক্ত করেছিল বাংলাদেশ। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছিলাম স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী মুজিব বাহিনীর বিরুদ্ধে ইদানীং এক নেতা বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তা শুনে মনে হচ্ছেÑ ওই নেতা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের মুখপাত্র হিসেবেই কাজ করে যাচ্ছেন। বৃদ্ধ আরও জানালেন, বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে স্বাধীনতা পক্ষের দল। আল্লাহ না করুক এই দল ক্ষমতা থেকে চলে গেলে বিএনপি আবার রাজাকারদের নিয়ে কোনভাবে ক্ষমতায় বসে গেলে আবার শুরু“করবে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি। সুতরাং জনগণকে এখনই সচেতন হতে হবেÑ এই বাংলাদেশকে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের সোনার বাংলায় গড়ে তোলায় এগিয়ে যেতে হবে প্রতিটি নাগরিককে। এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে গড়তে হবে। আমাদের এও প্রত্যাশা চিরকাল বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকুক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা। এ ব্যাপারে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। লিয়াকত হোসেন খোকন ঢাকা। অবাধে চলছে কোচিং বাণিজ্য শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত। দুটি চিরন্তন সত্য প্রবাদ বাক্য। তাই প্রত্যেক সচেতন অভিভাবক তার সন্তানকে যুগপোযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নীতিমালার বাইরে আরও কতগুলো নীতিমালা প্রণয়ন করে। তা হলোÑ কোন শিক্ষক তাঁর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট বা কোচিং করাতে পারবেন না। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধানের পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে দৈনিক অন্য যে কোন প্রতিষ্ঠানের ১০ শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের তালিকা (শ্রেণী ও রোল নংসহ) প্রতিষ্ঠান প্রধানকে লিখিত আকারে জানাতে হবে। কোন শিক্ষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে উঠা কোন কোচিং সেন্টারে যুক্ত হতে পারবেন না। নিজেও কোন কোচিং সেন্টার গড়ে তুলতে পারবেন না। কোন শিক্ষক কোন শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে উৎসাহিত বা বাধ্য করতে পারবেন না। এমনকি কোন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর নাম ব্যবহার করে প্রচারণা চালাতে পারবেন না। কোচিং সেন্টারের নামে বাসা ভাড়া নিয়ে কোচিং বাণিজ্যি পরিচালনা করা যাবে না। যারা বা যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোচিং বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উপোরোক্ত নীতিমালা ভঙ্গ করবে তাদের জন্য কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালায় শাস্তির সুপারিশ এবং শাস্তির ধরন প্রকাশ করা হয়েছে। যা হলোÑ কোচিং বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সরকার প্রণীত নীতিমালা অত্যন্ত সময় উপযোগী। যা প্রণয়নের পর শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ২০১২ সালের ২০ জুন তৎকলীন শিক্ষা সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী স্বাক্ষরিত কোচিং বাণিজ্য নীতিমালা দীর্ঘ ২ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে আজও বাস্তবায়ন হয়নি। বরং কোচিংয়ের উৎপাতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অতীতের তুলনায় আরও অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিনের পর দিন ব্যাঙের ছাতার মতো কোচিং সেন্টারে গজিয়ে উঠেছে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এদিকে কোচিং সেন্টার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে। যদি শিক্ষকদের এ কোচিং বাণজ্যে লাগামহীনভাবে চলতে থাকে, তবে অদূর ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণভাবে কোচিংয়ের দিকে ধাবিত হবে। এমতাবস্থায় কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকারের সচেতনার সঙ্গে সঙ্গে আইন প্রয়োগ করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। মোঃ আলাউদ্দিন মজুমদার ঢ়ৎড়ফরঢ়হবংি@মসধরষ.পড়স বাইপাস রেলপথ নির্মাণ রেলপথের মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার যোগাযোগ ব্রিটিশ আমলের। কিন্তু দুঃখের বিষয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকা বা রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ট্রেনটি কিছু দূরে এসে পুরোনো আমলের রেলপথের সিস্টেম থাকায় আমনুরা স্টেশনে ইঞ্জিন পাল্টাতে হয়। ফলে ট্রেনের বিলম্ব হয় এক থেকে দেড় ঘন্টা। ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রেলপথে রাজশাহীতে যাতায়াতের সময় লেগে যায় তিন ঘণ্টা। আমনুরা স্টেশনে বাইপাস রেলপথের মাধ্যমে সিকি মাইল রেলপথ লুপ লাইন করে দিলে আর ইঞ্জিন পাল্টানোর প্রয়োজন হবে না এবং সরাসরি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। লুপ লাইন তৈরি হয়ে গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী রেলপথে যাতায়াত করা সম্ভব হবে আর ঢাকায় ট্রেনে যেতে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। এই অসুবিধার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বাংলাদেশের কোন স্থানে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষিনির্ভর অঞ্চল, আমসহ নানা প্রকার কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয়ে থাকে এই এলাকায়। ট্রেন চলাচলের এই বিঘœতার কারণে কৃষির উৎপাদিত পণ্য সড়ক পথে রাজধানীসহ দেশের অন্য এলাকায় সরবরাহ করা হয়। সড়ক পথে পণ্য পরিবহন ব্যয় বহুল। যা প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের জন্য সম্ভব হয়ে উঠে না। ফলে এই অঞ্চলের প্রান্তিক কৃষকেরা উৎপাদিত পণ্য পাইকারের কাছে বিক্রি করে আর এভাবেই কৃষকের উৎপাদিত ফসলে মধ্যস্বত্বভোগীরা ভাগ বসায়। এতে কৃষক তার পণ্যের নায্য দাম পায় না। ট্রেনে পণ্যসহ যাত্রী পরিবহন অনেক সুলভ এবং নিরাপদ। তাছাড়া সরাসরি ট্রেন চলাচল না থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিল্প গড়ে উঠছে না। তাই রেল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি আমনুরায় বাইপাস রেলপথ স্থাপন করে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করার। হাসান মিয়াপাড়া সাধারণ গ্রন্থাগার, রাজশাহী।
×