ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘কন্ডিশন নিয়ে ভাবছেন না মুশফিক’

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪

‘কন্ডিশন নিয়ে ভাবছেন না মুশফিক’

মোঃ মামুন রশীদ ॥ আর সপ্তাহখানেক পরেই ঘোষণা হয়ে যাবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের চূড়ান্ত দল। নির্বাচকরা পর্যালোচনা করছেন ৩০ সদস্যের প্রাথমিক দলে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়ে। এবার বিশ্বকাপ যৌথভাবে আয়োজন করবে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। আর সেখানে উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ পরিবেশ ও উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে ওঠা। সেদিক থেকে বাংলাদেশ দলও বেশ সমস্যায় পড়বে। তবে কন্ডিশন নিয়ে একটুও ভাবছেন না বাংলাদেশ দলের সদ্যই সাবেক হওয়া ওয়ানডে অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। এ বছরের শুরু থেকেই টানা পরাজয়ের বৃত্তে থাকা বাংলাদেশ দল একেবারে শেষদিকে এসে চরম প্রতিপক্ষ জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে শতভাগ জয় তুলে নিয়েছে। ওয়ানডের অধিনায়ক হিসেবে প্রত্যাবর্তনটা সুখকর হয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার। মুশফিকের বিশ্বাস বছর শেষের এ সাফল্য আগামী বছরের শুরু থেকেই ধরে রাখতে সক্ষম হবে বাংলাদেশ দল। সোমবার প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে অনুশীলন করার ফাঁকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসব কথা বলেন তিনি। উপমহাদেশে সাধারণ ধীরগতির উইকেটে স্পিনবান্ধব পরিবেশে খেলা হয়ে থাকে। আর সে কারণেই এশিয়ার বাইরে খেলতে গেলেই পরিবেশ ও উইকেটের ভিন্নতায় সমস্যার মুখে পড়ে উপমহাদেশের দলগুলো। এবার বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসন্ন বিশ্বকাপে ভাল করার। কারণ অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের গতিময় উইকেট ও পেসবান্ধব পরিবেশ। সেখানে খাপ খাইয়ে নিয়ে ভাল করাটা বেশ কঠিনই হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য। তবে এ বিষয়ে কণ্ঠে দৃঢ়তাই ঝরলো মুশফিকের। তিনি বলেন, ‘যদিও এটা ভিন্ন কন্ডিশন হবে। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে আমরা আগেই যাচ্ছি, আমরা যেন ওখানে আগে থেকেই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। আমাদের দুটি অতিরিক্ত প্রস্তুতি ম্যাচ থাকছে। আমাদের সময় অনেক কম; কিন্তু সময়গুলোকে পুরোপুরি ব্যবহার করা গেলে আমার মনে হয় সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’ আর সম্প্রতিই ঘরের মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী জিম্বাবুইয়েকে হারানোর অনুপ্রেরণা বাড়তি উজ্জীবনী শক্তি দিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। ক্রিকেটাররাও নিজেদের আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। এ বিষয়টিও স্বস্তি দিচ্ছে মুশফিককে। আর চলমান প্রিমিয়ার লীগে খেলে প্রস্তুতিটাও হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা একটা বড় টুর্নামেন্ট শেষ করেছি। যদিও এটা হোম সিরিজ ছিল। যেহেতু আন্তর্জাতিক কোন খেলা নেই। বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলা প্রিমিয়ার লীগ। এখানে কিছু প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে পারাটাও কম নয়। আমার মনে হয় যারা এখানে ভাল করছেন তাঁদেরও একটা আত্মবিশ্বাস থাকবে বিশ্বকাপের জন্য।’ শেষ পর্যন্ত জয় পাওয়াটাই দলের জন্য বিশ্বকাপের মূল শক্তি হিসেবে কাজ করবে বলেই মনে করছেন মুশফিক। কারণ টানা হারে ছন্দহীন হয়ে পড়া দলটি আবার নিজেদের ফিরে পেয়েছে। প্রতিটি ক্রিকেটারকেই তাঁদের নিজ নিজ নৈপুণ্য ধরে রাখাটা জরুরী বলে মনে করেন মুশফিক। সেইসঙ্গে নিজেকে নিয়েও ভাবছেন তিনি। মুশফিকের দাবি পুরো দলের প্রস্তুতি আছে বিশ্বকাপের জন্য। এ সম্পর্কে মুশফিক বলেন, ‘আমি নিজের ও দলের অন্য সবার পারফর্মেন্স নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। আশা করি বিশ্বকাপে আমরা নিজেদের সেরা দিয়ে খেলতে পারব। ব্যক্তিগতভাবে কিছু প্রস্তুতি তো অবশ্যই আছে। খেলাগুলো এখন প্রতিটি ক্রিকেটারকেই নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে। আর এটাই জরুরী।’ ধারাবাহিক পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরোনোর পর এখন আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। এ বছর টানা হারের মধ্যে পচা শামুকে পা কাটার অভিজ্ঞতাও আছে। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছেও হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। আর সেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ক্যানবেরায় ১৮ ফেব্রুয়ারি এবার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। কিন্তু বছর শেষের সাফল্য পাওয়ার পর আত্মবিশ্বাসী মুশফিক বলেন, ‘আমরা ২০১৪ সালের শেষদিকে যেভাবে দলীয় সাফল্য পেয়েছিলাম, আশাকরি এর ধারাবাহিকতা ২০১৫ সালেও ধরে রাখতে পারব।’
×