ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

থার্টিফার্স্ট নাইটে রাজধানীজুড়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

থার্টিফার্স্ট নাইটে রাজধানীজুড়ে নজিরবিহীন নিরাপত্তা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ থার্টি ফার্স্ট ও নববর্ষ উদযাপন এবং জামায়াতের ডাকা হরতাল উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে থাকছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা। অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে ঢাকায় খোলা জায়গায় সব ধরনের অনুষ্ঠানের উপর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে পুলিশ। ঢাকায় পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও বডিওন ক্যামেরা নিয়ে মাঠে নামছে গোয়েন্দারা। এসব ক্যামেরা গোয়েন্দারা গায়ে লাগিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে থাকবেন। আর তাতেই পাওয়া যাবে সেখানকার পুরো চিত্র। আজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ঢাকার বাণিজ্যিক বার ও মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ্যালকোহল ডিটেক্টর নিয়ে মাঠে থাকছে পুলিশ। মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ এসব তথ্য জানান। তিনি আরও জানান, বুধবার রাত আটটার থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের জন্য তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নম্বর রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, আমতলী ক্রসিং, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, গ্রুপ-ফোর, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং এলাকাসমূহ ব্যবহার করা যাবে। তবে এসব ক্রসিং বের হওয়ার জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা, কর্মচারী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি বা যানবাহন কেবলমাত্র পুরানো হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার-জগন্নাথ হলের দক্ষিণ গেট-পলাশী মোড় রুটটি ব্যবহার করতে পারবে। এসব এলাকায় প্রবেশের জন্য অন্যান্য সকল ক্রসিং বন্ধ থাকবে। একই সময়ে ঢাকার আবাসিক হোটেল, রেস্তরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সকল প্রকার লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডিএমপির অনুমতি ছাড়া ঢাকার হোটেল, মোটেল, ক্লাব কিংবা ঢাকার অভ্যন্তরীণ কোথাও অনুষ্ঠানের আয়োজন না করতে অনুরোধ করা হয়েছে। গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ কূটনৈতিক এলাকা, গীর্জা, চার্চ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রাস্তায় এলকোহল ডিটেক্টর নিয়ে মাঠে নামছে পুলিশ। সব ধরনের আতশবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার পর সকল বাণিজ্যিক বার ও মদের দোকান বন্ধ থাকবে। যে কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ, স্ট্রাইকিং রিজার্ভ, বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট টিম মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়াও এপিসি (আর্মাড় পার্সোনেল কেরিয়ার), জলকামান, মোবাইল ওয়াচ টাওয়ার, মোবাইল কমান্ড সেন্টার, স্টীল ও ভিডিও ক্যামেরা, সিসি টিভি, ভেহিকল স্ক্যানার, এ্যালকোহল ডিটেক্টর, মেটাল ডিটেক্টর ও বাংলাদেশ পুলিশে প্রথমবারের মতো যুক্ত অত্যাধুনিক বডিওন ক্যামেরা মোতায়েন থাকছে। তিনি বলেন, উন্মুক্ত স্থানে, রাস্তার মোড়ে কিংবা রাস্তার কোথাও গান-বাজনা করার ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কোন ফ্লাইওভারে জমায়েত হওয়া যাবে না। মোবাইল পেট্রোল, ফুট পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোল, পুলিশ চেকপোস্টসহ নানা ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের পাশাপাশি মাঠে থাকছে র‌্যাব। রাজধানীতে ৩ হাজার এবং দেশের অন্যান্য জায়গার নিরাপত্তায় ২ হাজারসহ মোট ৫ হাজার র‌্যাব সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছে। পাশাপাশি ৩১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। থাকছে সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যরা।
×