ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রায়ে প্রসিকিউশনের সন্তোষ ॥ আপীল করবে আসামি পক্ষ

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

রায়ে প্রসিকিউশনের সন্তোষ ॥ আপীল করবে আসামি পক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদ-ের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন পক্ষ। এ রায়ের মাধ্যমে ‘সবচেয়ে বড়’ গণহত্যার হোতার যথাযথ শাস্তি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা। অন্যদিকে এ রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আসামি পক্ষের আইনজীবীরা। রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টে আপীল আবেদন দায়ের করবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে একাত্তরের ‘সবচেয়ে বড়’ গণহত্যার হোতার যথাযথ শাস্তি হয়েছে। তিনি বলেন, একাত্তরে আজহার ছিলেন রংপুর অঞ্চলের ত্রাস। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালের আরেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ বলেন, ট্রাইব্যুনালে যত বড় গণহত্যার ঘটনার বিচার হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে ঝাড়ুয়ার বিলের গণহত্যা। সংখ্যার দিক থেকে এত বড় গণহত্যার বিচার ট্রাইব্যুনালে হয়নি। তিনি বলেন, দীর্ঘ বিচার চলাকালে এটিএম আজহার তার কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হয়নি। এমনকি রায়ের দিনও না। সাজা দেয়ার ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল এই বিষয়টিও বিবেচনায় রেখেছে। এ রায়ের দেশবাসীর সঙ্গে প্রসিকিউশন পক্ষও আনন্দিত বলে মন্তব্য করেন এই আইনজীবী। আপীল করবে আসামি পক্ষ ॥ এদিকে এই কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দেয়ায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি আসামি পক্ষ। রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আজহারুলের আইনজীবী এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, যেসব সাক্ষ্য ও দালিলিক প্রমাণের ভিত্তিতে আজহারুল ইসলামকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে, সেসব সাক্ষ্য ও দালিলিক কাগজপত্র যদি ডাস্টবিনে ফেলা হতো তাতে সুবিচার হতো। এসব সাক্ষ্য-প্রমাণে মৃত্যুদ- হওয়া দূরের কথা, এসব অভিযোগ দাখিলের জন্য প্রসিকিউশনের জরিমানা হওয়ার দরকার ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাজুল আরও বলেন, আমরা আজহারুল ইসলামের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রীমকোর্টে যাব, আপীল করব। তিনি আপীলের সম্মতি দিয়েছেন। আমরা মনে করি, আপীল বিভাগে নিশ্চয়ই ন্যায়বিচার করা হবে।
×