ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেনাপোলে আ’লীগ নেতা আটকের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, পরে প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

বেনাপোলে আ’লীগ নেতা আটকের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, পরে প্রত্যাহার

আবুল হোসেন, বেনাপোল থেকে ॥ যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুলকে (৪৫) আটক করার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে যশোর-বেনাপোল ও নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কসহ সমগ্র উপজেলার রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ করে রাখে স্থানীয় জনতা। ফলে বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে গোটা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কেও যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে করে সাধারণ মানুষসহ পার্সপোটধারী যাত্রীরা মঙ্গলবার চরম দুর্ভোগের স্বীকার হয়। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারির কাজ বিঘিœত হয়। পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। জানা গেছে, সোমবার রাত ১২টার সময় যশোরের এএসপি মিলু মিয়া বাগআঁচড়া বাজার এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুলকে (৪৫) আটক করে শার্শা থানা হাজতে নিয়ে যায়। এরই প্রতিবাদে চেয়ারম্যানের নিশর্ত মুক্তি ও এএসপি মিলু মিয়া বিশ্বাস অপসারণের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যশোর-বেনাপোল ও নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখে। এর ফলে বেনাপোল স্থল বন্দরের সঙ্গে গোটা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। একই সঙ্গে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষসহ পার্সপোটধারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে এবং বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। অবরোধকারীদের দাবি চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুলকে নিঃশর্তে মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত এই অবরোধ কর্মসূচী চলতে থাকবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মঞ্জু বলেছেন, শার্শা উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করার লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল পুলিশকে ব্যবহার করছে। সে কারণেই কোন অভিযোগ ছাড়ায় জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুলকে আটক করা হয়েছে। কুমিল্লায় পুলিশ শিবির সংঘর্ষ, তিন পুলিশসহ আহত ১৫ নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৩০ ডিসেম্বর ॥ কুমিল্লা মহানগরীতে মঙ্গলবার পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের এসআই শাহজাহান, কনস্টেবল আল আমিনসহ ৩ পুলিশ ও জামায়াত-শিবিরের কমপক্ষে ১২ জনসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-শিবিরের ২ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ছাতিপট্টি-চকবাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির রায় ঘোষণার প্রতিবাদে দুপুর ২টার দিকে কুমিল্লা মহানগরীর চকবাজার এলাকায় জামায়াত-শিবির ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়ে। এসময় উভয়পক্ষে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে ইট-পাটকেলের আঘাতে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই শাহজাহান, কনস্টেবল আল-আমিনসহ ৩ পুলিশ আহত হন। এছাড়া জামায়াত-শিবিরের আরও ১২ নেতাকর্মী আহত হয়। এসময় পুলিশ মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান ও শিবির কর্মী খোরশেদ আলমকে আটক করে।
×