ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কিশোরগঞ্জে ‘লেকসিটি’ বাস্তবায়ন

নরসুন্দা নদীর দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

প্রকাশিত: ০৩:২৮, ১ জানুয়ারি ২০১৫

নরসুন্দা নদীর দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ৩১ ডিসেম্বর ॥ কিশোরগঞ্জ শহরের বুক চিরে দৃষ্টিনন্দন ‘লেকসিটি’ বাস্তবায়নে এক সময়ের প্রমত্তা নরসুন্দা নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে চলা অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা কালেক্টরেটের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মোঃ সাঈদ। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি শহরের বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। ইতোমধ্যে শহরের আখড়াবাজার, কালীবাড়ি সেতুসংলগ্ন, জেলা হাসপাতালের পেছনে বটতলা, পুরনো স্টেডিয়াম সংলগ্ন, ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ এলাকা, বড়বাজার, পুরানথানা টিনপট্টি, একরামপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীরপাড়ে গড়ে ওঠা অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কারিগরি সহায়তায় বুলডোজার দিয়ে শহরে ব্যাপকভাবে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পর বিভিন্ন এলাকায় দোকান মালিকরা নিজেরাই তাদের মালামাল ও স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, প্রায় একশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে নরসুন্দা নদীকেন্দ্রিক লেকসিটি নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে কিশোরগঞ্জ পৌরসভাধীন নরসুন্দা নদীর ওপর ৬টি দৃষ্টিনন্দন পাকা সেতু নির্মাণ, ৩২ কিলোমিটার নদী খনন, নদীর দুই তীরে ৬ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ২৬ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণ, ৮টি ঘাট নির্মাণ এবং নদীর মাঝখানে মুক্তমঞ্চসহ পার্ক নির্মাণ। এরই মধ্যে ৫টি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। চলছে নদী খননের কাজ। কিন্তু নদীর দুই পাড়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে না পারায় প্রকল্প কাজ ব্যাহত হচ্ছিল। পার্বতীপুরের দেউল প্রতœসম্পদের রতœভা-ার মাটি খুঁড়লেই আলামত শ.আ.ম হায়দার,পার্বতীপুর থেকে ॥ পার্বতীপুর শহর থেকে প্রায় ১৫ কিমি উত্তরে মনম্মথপুর ইউনিয়নের দেউল একটি বিচিত্র জায়গা। ৩ বর্গকিলোমিটারজুড়ে প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনে ভরপুর। দেউল ও তাজনগর মৌজার চারপাশে অসংখ্য ছোটবড় ঢিবিটিলা ও পুরাতন ইটের স্তূপ। এখন অবশ্য অধিকাংশই কেটে সমান করে আবাদি জমিতে পরিণত করা হয়েছে। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার, এখানে সামান্য মাটি খুঁড়লে বেরিয়ে পড়ে বিভিন্ন ধরনের প্রতœসামগ্রী। কালক্রমে মানুষের অত্যাচারে বিলীন হয়ে যাচ্ছে দেউলের প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন। এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে দেউলকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করা দরকার বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন দেশের স্বনামধন্য প্রতœতত্ত্ববিদগণ। এ এলাকা পরিদর্শনে এসে চোখে পড়েছে সংখ্যাহীন প্রতœনিদর্শন । তার মধ্যে কালো পাথরের কৃষ্ণমূর্তি স্থানীয় মৃত গগনশার বাড়িতে রক্ষিত আছে। পাশেই মুশাহারপাড়ায় মুশাহার সম্প্রদায়ের জরাজীর্ণ মন্দির প্রাঙ্গণে পড়ে আছে ৩টি শিবলিঙ্গসহ পাথর বা স্যান্ডস্টোনের পিলার যাতীয় জিনিসপত্র। এখানে পাওয়া গেছে বড় বড় সঞ্চয়পাত্র। স্থানীয়ভাবে যাকে হিড়া বলা হয়ে থাকে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন,কৃর্ষিকাজ ও মাটি খুঁড়তে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র এখনও পাওয়া যায়।
×