ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুরে ক্লিনিকে সন্তানসহ প্রসূতির মৃত্যু ॥ বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৩:২৮, ১ জানুয়ারি ২০১৫

মাদারীপুরে ক্লিনিকে সন্তানসহ প্রসূতির মৃত্যু ॥ বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ৩১ ডিসেম্বর ॥ মঙ্গলবার রাতে রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের নিউ জমজম হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় পেটের সন্তানসহ নন্দিতা ম-ল (২৪) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। নন্দিতা রাজৈরের বৌলগ্রামের তৈলক্ষ্য বালার মেয়ে। স্বামী সুধাংশু ম-ল জানান, গর্ভবতী নন্দিতকে মঙ্গলবার সকালে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় এবং মালিক পক্ষের মধ্যস্থতায় ১১ হাজার টাকা চুক্তিতে তাকে নিউ জমজম হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নন্দিতাকে সিজারের জন্য ওটিতে নেয়া হয়। সেখানে ডাঃ মনিরুজ্জামান ও তার স্ত্রী ডাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস এবং সিস্টার মিতালী উপস্থিত ছিলেন। নন্দিতার মা সুবালা জানান, এক মহিলা কয়েকটি ইনজেকশন দিলে আমার মেয়ে বমি করে এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় মালিকপক্ষ, ডাক্তার এবং হাসপাতালে কর্মরত মহিলারা ছোটাছুটি করতে থাকে। পরবর্তীতে তারা কাউকে কিছু না জানিয়ে রোগীকে জোর করে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। এ সময় স্বামী সুধাংশু ম-ল বাধা দিলে তার সঙ্গে ক্লিনিকের লোকজনের ধস্তাধস্তি হয়। তারপরেও ফরিদপুরের উদ্দেশে পাঠিয়ে দেয়। রোগীর স্বজনরা এ ঘটনা টের পেয়ে রোগী মারা গেছে জেনে তাকে নিয়ে ফের জমজম হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফিরে আসেন। কান্নাকাটির শব্দ শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে মালিক, ডাক্তার ও সিস্টাররা পালিয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও হাসপাতালে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দিলীপ কুমার দাস ও পুলিশ এসআই কামাল ও আলমগীর উপস্থিত হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে প্রেরণ করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসপাতাল সিলগালাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু সিলগালা করার নির্দেশ উপেক্ষিত হয়। আর এ ঘটনাকে পুঁজি করে একটি সুবিধাবাদী মহল অর্থের বিনিময়ে আপোস মীমাংসার নামে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে ডাঃ দিলীপ কুমার দাস জানান, নিউ জমজম হাসপাতাল এ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোন লাইসেন্স নেই। এরা অবৈধভাবে এসব কাজ করছে।
×