ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল

বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১ জানুয়ারি ২০১৫

বাংলাদেশ জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালের পর আগামী ১৬-২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর তৃতীয় আসর। এক সময় বাংলাদেশে আগাখান গোল্ডকাপ হতো। এখন আর সেটা হয় না। তেমনি হয় না প্রেসিডেন্ট কাপও। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ সর্বশেষ আয়োজিত হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। এরপর গেল ১৫ বছরে বাংলাদেশে কোন আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন হয়নি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতিশ্রুতি রাখতে বদ্ধপরিকর। চেষ্টা করছেন নানা আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। এর মধ্যেই টুর্নামেন্টটির ফরমেট চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিন্তু এখনও সংশয় কাটেনি এ আসরের ষষ্ঠ দল নিয়ে। বাফুফের আমন্ত্রণপত্র পাকিস্তান হয়ে চলে যায় মালদ্বীপ পর্যন্ত, কিন্তু তাদের কেউ বাংলাদেশে খেলতে আসতে রাজি হয়নি। সর্বশেষ মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ার কটি দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাফুফের পক্ষ থেকে। বঙ্গবন্ধু কাপের জন্য চারটি দল নিশ্চিত হয়েছে আগেই। দলগুলো হলো- সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, বাহরাইন, মালয়েশিয়া। আর বাংলাদেশ হচ্ছে স্বাগতিক দল। বঙ্গবন্ধু কাপের জন্য এখনও প্রস্তুত নয় ঢাকা ও সিলেটের ভেন্যু। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে নেই ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট থাকলেও পর্যাপ্ত আলোর অভাব। এ বিষয়ে অবশ্য দ্রুত কাজ করে যাচ্ছে বাফুফে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ সামনে রেখে ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ দলের প্রাথমিক স্কোয়াড। এতে ডাক পেয়েছেন ২৬ ফুটবলার। এতে সর্বাধিক ১৪ খেলোয়াড় শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের। এছাড়া মোহামেডানের ৬, আবাহনীর ২, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, টিম বিজেএমসি ও চট্টগ্রাম আবাহনীর ১ জন করে ঠাঁই পেয়েছেন। তাদের অনুশীলন ক্যাম্প হবে সাভার বিকেএসপিতে। এ জন্য আজ বৃহস্পতিবার মতিঝিলের বাফুফে ভবনে দুপুর ১টায় প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সরঞ্জামাদিসহ দলের কোচ একেএম সাইফুল বারী টিটুর কাছে তাদের রিপোর্ট করতে হবে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে আছেন শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেডেরÑ মাজহারুল ইসলাম, রায়হান হাসান, মোহাম্মদ লিংকন, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ইয়াসিন খান, ইয়ামিন আহমেদ চৌধুরী মুন্না, মোনায়েম খান রাজু, মামুনুল ইসলাম, সোহেল রানা, তকলিস আহমেদ, শাখাওয়াত হোসেন রনি, জামাল ভূইয়া, শহিদুল আলম ও রুবেল মিয়া; আবাহনী লিমিটেডেরÑ আতিকুর রহমান মিশু, নাসিরুল ইসলাম; মোহামেডানের- জাহিদ হোসেন, তপু বর্মণ, ওয়াহেদ আহমেদ, আরিফুল ইসলাম, জাহিদ হাসান এমিলি ও হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস; মুক্তিযোদ্ধা সংসদেরÑ রাসেল মাহমুদ লিটন; শেখ রাসেলের- মিঠুন চৌধুরী; চট্টগ্রাম আবাহনীর আতিকুর রহমান ফাহাদ ও টিম বিজেএমসির আমিনুল ইসলাম সজীব। এক সময় ঢাকা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ফুটবল পূর্ব নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল নিয়মিতভাবে (১৯৫৮ সাল থেকে শুরু) অনুষ্ঠিত আগাখান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য। দেশ ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শক্তিশালী ক্লাবগুলো এ টুর্নামেন্টে নিয়মিত অংশ নিয়েছে। দেশের ফুটবলপ্রেমীরা প্রতিবছরই এ জমজমাট টুর্নামেন্টকে ঘিরে মেতে উঠতেন। বিদেশী দলের ভাল ফুটবলের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি উপভোগ করতেন ফুটবলের জমাটি দ্বৈরথ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আগাখান গোল্ডকাপের খেলা মাঠে গড়ালেও একপর্যায়ে এই টুর্নামেন্ট আর চলতে বা অনুষ্ঠিত করতে চায়নি ফুটবল ফেডারেশন। আগাখান গোল্ডকাপ এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ভোল্টে সংরক্ষিত অবস্থায়! ফুটবল ফেডারেশন চাচ্ছে জাতির জনকের নামে আবার আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করতে। এই উদ্যোগটি অর্থবহ হবে- কেননা দেশে নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজিত হলে তা দেশের ফুটবলের জন্যই মঙ্গল। ব্যক্তিগতভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন ক্রীড়াপ্রেমিকও। ব্যস্ত রাজনৈতিক জীবনেও এক সময়ে তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্সের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
×