অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী এপ্রিল মাস থেকে শুধু ব্রোকারদের বা হাউসের মাধ্যমে আইপিও আবেদন গ্রহণ করা হবে। এই সময় থেকে আর ব্যাংকের মাধ্যমে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন জমা দেয়া যাবে না। শুধু ডিপি তথা ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে এ আবেদন জমা দিতে হবে। বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশনের ৫৩৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বর্তমানে নির্ধারিত ব্যাংক ও ডিপির যে কোন একটিতে আইপিওর আবেদন ও টাকা জমা দেয়া যায়। ডিপির মাধ্যমে আবেদনের বিষয়টি অবশ্য পাইলট প্রকল্পের আওতায় চলছে। এটিই আগামী মাস থেকে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিএসইসির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান বলেন, বুধবারের কমিশন সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছ। তবে ভুলবশত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। তিনি বলেন, পাইলট প্রকল্পের মূল্যায়নের ভিত্তিতে এপ্রিলে আবেদনের নতুন পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর হামিদ ফেব্রিকসের আইপিওর মাধ্যমে নতুন প্রক্রিয়ার পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়। সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ায় আগামী এপ্রিল মাস থেকে সিকিউরিটিজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে নতুন প্রক্রিয়ায় আইপিও আবেদন জমা নেয়া হবে। ফলে এখন থেকে বিনিয়োগকারীদের আর লাইন দিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে আইপিও আবেদন করতে হবে না। এর আগে বিএসইসি নতুন প্রক্রিয়ায় আইপিও আবেদন গ্রহণে ইচ্ছুক এবং যেসব হাউজের সফটওয়্যার হালনাগাদ আছে তাদের মাধ্যমে আবেদন জমা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলক কর্মসূচী চালুর জন্য গত ১৯ আগস্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনকে (বিএমবিএ) চিঠি দেয় বিএসইসি। পরে এসব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নতুন পদ্ধতিতে আইপিও আবেদন জমা নেয়ার জন্য কিছু নির্দেশনা দেয় বিএসইসি। নির্দেশনা অনুযায়ী সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় চূড়ান্তভাবে নতুন প্রক্রিয়ায় আইপিও আবেদন জমা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: