ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হিলিতে ব্যাগেজ তল্লাশির নামে চলছে যাত্রী হয়রানি

প্রকাশিত: ০৪:০০, ৬ জানুয়ারি ২০১৫

হিলিতে ব্যাগেজ তল্লাশির নামে চলছে যাত্রী হয়রানি

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে বৈধভাবে যাতায়াতকারী যাত্রীদের বিজিবি এখতিয়ার বহির্ভূতভাবে ব্যাগেজ তল্লাশির নামে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই চেকপোস্ট দিয়ে দৈনিক গড়ে দু’ শ’ যাত্রী বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াত করে থাকেন। ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী স্থল ও আকাশ পথে পাসপোর্টে বিদেশে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশির একমাত্র আইনত ক্ষমতাপ্রাপ্ত সরকারী সংস্থা হচ্ছে কাস্টমস। কিন্তু হিলি শুল্ক চেকপোস্টে বিজিবি দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করে আসছে। যাত্রীদের ব্যাগে কোন অবৈধ বা নিষিদ্ধ পণ্য আছে কিনা তা নিরুপণের জন্য এই চেকপোস্টে রয়েছে শুল্ক কর্মকর্তারা। তারাই ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী সকল যাত্রীর ব্যাগেজ তল্লাশি করে থাকেন। কিন্তু এরপরও বিজিবি সদস্যরা যাত্রীদের রেহাই দিচ্ছে না। ৭/৮ জন ইউনিফর্মধারী বিজিবি সদস্যকে কাস্টমস চেকপোস্টে সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকতে দেখা যায়। চেকপোস্টে যাত্রী হাজির হলেই বিজিবি সদস্যরা তাদের ব্যাগ ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করে দেয়। অনেক যাত্রীকে ব্যাগেজসহ সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে এলোমেলোভাবে মালামাল তল্লাশি করে। অনেকের মালামাল কেড়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে। আর কেড়ে নেয়া এসব মালামাল পরে বিজিবি সীমান্তের অন্য কোন স্থান থেকে উদ্ধার দেখিয়ে থাকে। উদ্ধারকৃত কিছু কিছু মালামাল মালিকবিহীনভাবে শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়। প্রসঙ্গত, স্থল পথে বিদেশ থেকে আগত একজন যাত্রী সর্বোচ্চ দু’শ’ মার্কিন ডলার মূল্যের মালামাল কোন শুল্ক-কর পরিশোধ ব্যতিরেকে আমদানি করতে পারবে বলে কাস্টমসের ব্যাগেজ রুলে উল্লেখ আছে। কিন্তু বিজিবি এ বিধানকেও তোয়াক্কা করছে না। শনিবার এই প্রতিনিধি হিলি চেকপোস্টে প্রায় এক ঘণ্টা উপস্থিত থেকে যাত্রী হয়রানির দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। এদিকে হিলি সীমান্তে নো-ম্যান্সল্যান্ডের এপারেও বিজিবি সদস্যরা বহির্গামী ও অন্তর্মুখী পাসপোর্টধারী যাত্রীদের রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে থাকে। বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা থাকা সত্ত্বেও তাদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত করা হয়। শুধু কাস্টমস চেকপোস্ট নয়, এখানকার ইমিগ্রেশন চেকপোস্টেও যাত্রী হয়রানির ফাঁদ রয়েছে। সেখানে বহির্গামী ও অন্তর্মুখী যাত্রীদের পোসপোর্টে যথাক্রমে এক্সিট ও এন্ট্রি সিল দিতে মাথাপিছু মোটা অংকের অর্থ প্রদান ইদানীং বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইমিগ্রেশনের এক শ্রেণীর কর্মচারী যাত্রীদের পাসপোর্ট কিংবা ভিসা জাল এমন অজুহাত তুলে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে বলে অভিযোগ রয়েছে। বছরের পর বছর এসব চললেও তা দেখার কেউ নেই।
×