ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অবরোধ চাইলেন খালেদা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৬ জানুয়ারি ২০১৫

অবরোধ চাইলেন খালেদা

জনকণ্ঠ রিপোট ॥ ৫ জানুয়ারি পূর্বঘোষিত কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ, যানবাহন ভাংচুর, হামলা এবং পুলিশ ও সরকারী দলের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় সারাদেশে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে শনিবার রাত থেকে তার গুলশান কার্যালয় থেকে বের হতে দেয়নি পুলিশ। সমাবেশ কর্মসূচী পালন করতে না দেয়া ও গুলশান কার্যালয় থেকে বের হতে না দেয়ার প্রতিবাদে টানা অবরোধ কর্মসূচী পালনের ডাক দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচী পালন করতে দেয়া না হবে ততদিন পর্যন্ত অবরোধ চলবে। সোমবার বিকেলে গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার জন্য গাড়িতে উঠলেও পুলিশ বাইরে থেকে তালা দিয়ে রাখায় ফটকের ভেতরে দাঁড়িয়েই সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি অবরোধ কর্মসূচী পালনের ঘোষণা দেন। এদিকে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের অরাজক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে কোথাও কোথাও বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণ করতে বাধ্য হয়। বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বিক্ষুব্ধ মহিলা দলের নেতাকর্মীদের ওপর পিপার স্প্রে করে পুলিশ। এ সময় তারা আতঙ্কে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। রাজশাহীতে বিএনপির মিছিলে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় মজিউদ্দিন নামে বিএনপির এক কর্মী নিহত হয়েছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রেসক্লাবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীকে কেন্দ্র করেও হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আটকা পড়েন। বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে খালেদা জিয়া তার গুলশান কার্যালয় থেকে বের হওয়ার জন্য কালো পতাকা হাতে তাঁর গাড়িতে উঠে বসেন। এ সময় গেট খুলে দেয়ার জন্য তার ড্রাইভার হর্ন বাজাতে থাকেন। এরপর বিএনপিপ্রধানের উপদেষ্টা এমএ কাইয়ুম গেটের ফাঁক দিয়ে পুলিশকে তালা খুলে দিতে বলেন। পুলিশ তাতে সাড়া না দিলে খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসও একই অনুরোধ করেন। তাতেও পুলিশ তালা না খোলায় সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। পুলিশ তালাবদ্ধ গেট খুলে না দেয়ায় একপর্যায়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকা মহিলা দলের কয়েক নেতাকর্মী কালো পতাকা হাতে সরকারবিরোধী সেøাগান দিয়ে মিছিল করতে করতে গেট ধাক্কাতে থাকেন। তাদের সেøাগান ছিল এমনÑ ‘জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই কর’, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘খালেদা জিয়া ভয় নাই রাজপথ ছাড়ি নাই’। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভানেত্রী নূরে আরা সাফা, সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাবেক সাংসদ রেহানা আখতার রানু, নীলুফার চৌধুরী মনি, রাশেদা বেগম হীরা, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, সুলতানা আহমেদ ও ফরিদা ইয়াসমীনসহ আরও ক’জন ভেতর থেকে কালো পতাকা হাতে গেটে লাথি দিতে থাকেন এবং তালা খুলে দেয়ার জন্য জোরালো কণ্ঠে পুলিশকে অনুরোধ করতে থাকেন। মহিলা দলের নেত্রীরা যখন উত্তেজিত হয়ে পড়েন তখন একটি জলকামান গেটের কাছে এনে রাখা হয়। ১০ মিনিট পর পর পুলিশ মিছিলকারী মহিলা দলের নেতাকর্মীদের ওপর পিপার স্প্রে করলে তাঁরা সাময়িকভাবে অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর গুলশান কার্যালয়ে থাকা বিএনপির অন্য নেতাকর্মীরা সেখানে আগুন জ্বেলে পিপার স্প্রে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করেন। এর ফলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মহিলা দলের নেতাকর্মীরা পুরোদমে চেতনা ফিরে পেয়ে আবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে সেøাগান দিতে থাকেন। এরপর আরেক দফা পিপার স্প্রে করে পুলিশ। এ দৃশ্য গাড়ির ভেতরে বসে কাছে থেকেই দেখছিলেন খালেদা জিয়া। বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিটে খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে তার কার্যালয়ের সামনে থাকা সাংবাদিকদের সামনে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে ২৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, আজ আমাদের সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচী করতে দেয়া হয় নাই। সরকার আমাদের সমাবেশ করতে না দেয়ার কারণটি কী? তিনি বলেন, সরকার বলেছে নিরাপত্তা দিয়েছে। আমি জানতে চাই, এটা কোন ধরনের নিরাপত্তা? কোনদিন তো তারা নিরাপত্তা দেয়নি। হঠাৎ করে মাঝেমধ্যে আটকে রেখে কীসের নিরাপত্তা? দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে মন্তব্য করে খালেদা বলেন, শুধু আমিই আজ অবরুদ্ধ নই গোটা দেশই আজ অবরুদ্ধ। সরকার পুলিশি রাষ্ট্র বানিয়ে জনগণের ওপর হামলা করছে। কী কারণে সরকার আমাকে এখানে অবরুদ্ধ করে রেখেছে জানি না। নিরাপত্তার কথা যদি বলা হয় তাহলে পুলিশের উচিত নিরাপদে আমি যেখানে যেতে চাই সেখানে নিয়ে যাওয়া। সারাদেশ কারাগারে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির ডাকে সারাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। গণতন্ত্রের সংগ্রাম শুরু হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে হবে। এই বলে তিনি টানা অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। বক্তব্য শেষ করে খালেদা জিয়া আবার গুলশান কার্যালয়ের ভেতরে দ্বিতীয় তলায় তাঁর নিজের বসার কক্ষে চলে যান। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁর গুলশান কার্যালয় ও নয়া পল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ ছিল। শনিবার মধ্যরাতের পর থেকেই গুলশান বিএনপি কার্যালয়ের চারপাশে ট্রাক দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে বের হওয়ার পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। গুলশানের ৮৬ নম্বর রোডের ৬ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনের সড়কে আড়াআড়িভাবে ১৪টি ট্রাক ও ভ্যান রাখা হয়। এর ফলে ওই এলাকায় সর্বসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পরিচয়পত্র প্রদর্শনসাপেক্ষে সাংবাদিকদের যেতে-আসতে দেয়া হয়। তবে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে কাউকে প্রবেশ বা বের হতে দেয়া হয়নি। সারাক্ষণই সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। রবিবার রাত ১২টা থেকে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সোমবার বেলা ১১টার দিকে গুলশান কার্যালয় থেকে খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, দুপুর ২টার পর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বের হবেন। তাঁকে যেখানে বাধা দেয়া হবে সেখানেই সমাবেশ করবেন তিনি। এর আগে গত রবিবার রাতে গুলশান কার্যালয় থেকে বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে বলেন, সরকারী বাধা সত্ত্বেও সোমবার কর্মসূচী প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ করার চেষ্টা করা হবে। তবে তাকে সরকার অবরুদ্ধ করে রেখেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। সোমবার বিকেলে গুলশান কার্যালয় থেকে বের হতে না পেরে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, সরকার যদি আমাকে অবরুদ্ধ না করে তাহলে এত পুলিশ কেন? আমাকে কার্যালয় থেকে বের হতে কেন দেয়া হচ্ছে না। কী কারণে এখানে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সরকার যদি আমাকে অবরুদ্ধ করে না রাখে তাহলে আমাকে কার্যালয় থেকে কেন বের হতে দিচ্ছে না। আমার সঙ্গে এখানে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক যাঁরা দেখা করতে এসেছিলেন, তাঁদের আসার অনুমতি কেন দেয়া হয়নি। তাঁদের কেন আসতে বাধা দেয়া হলো। সরকার গোটা দেশটাকে অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। জালেম সরকার দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে। দেশে এক অস্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারি উপলক্ষে জনগণ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগের গু-াপা-ারা পুলিশের সহায়তায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর ওপর আক্রমণ করছে। দেশে কি যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে? বালুভর্তি ট্রাক ও জলকামান আমার অফিসের চারদিকে মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী। এ অবস্থা চলতে পারে না। মিডিয়ার স্বাধীনতা নেই। সাংবাদিকরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। একুশে চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর আগেও অনেক চ্যালেন বন্ধ করা হয়েছে সরকারের সমালোচনার অভিযোগে। খালেদা জিয়া বলেন, সরকার নিজেরা কথা বলবে। অথচ অন্যদের কথা বলতে দেয়া হবে না। তা হতে পারে না। সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। নিজেদের পায়ের নিচে মাটি নেই। আগামীতে তাদের করুণ পরিণতির কথা সরকার জেনে গেছে। পৃথিবীর কোন স্বৈরাচার সরকার টিকে থাকতে পারেনি। তাদের পরিণতি অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। একথা যেন সরকার ভুলে না যায়। তিনি বলেন, গত ডিসেম্বরেও বিএনপির তিনশ’রও বেশি নেতাকর্মীকে গুম, খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, গুলশান কার্যালয়ে এমন কী ঘটনা ঘটেছে যে পিপার স্প্রে করা হলো। নিরাপত্তার নামে আমার অফিস পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। কিসের নিরাপত্তা সরকার আমাকে দিচ্ছে। নিরাপত্তা দেয়া হলে তো আমি যেখানে যাব পুলিশ সেখানে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাবে। কিন্তু আমাকে বের হতেই দেয়া হচ্ছে না। এটা কোন ধরনের নিরাপত্তা। খালেদা জিয়া বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ডাক দিয়েছি। সরকার এ সমাবেশের বাধা দিচ্ছে। কারণ ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে প্রসহন হচ্ছে। মানুষ নির্বাচনে ভোট দেয়নি। এ সরকার অবৈধ, অগণতান্ত্রিক। দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। আমরা কোন দেশে বাস করছি। যেখানে কোন আইনের শাসন নেই। বসবাসের অনুপোযুক্ত হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, দেশে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আনার জন্য নির্বাচন দিতে হবে। সে নির্বাচন হতে সবার অংশগ্রহণে। এ সরকার নির্বাচিত নয়। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন আলোচনার মাধ্যমে হতে পারে। এটা কোন সমস্যা নয়। অতীতে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন হয়েছে। তিনি পুলিশের উদ্দেশ বলেন, পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কোন বিরোধ নেই। একটি জেলার পুলিশ ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। পুলিশের মধ্যে সরকারের এজেন্ট ঢুকে অরাজকতা করার চেষ্টা করছে। তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোন এজেন্সির লোক যেন বাড়াবাড়ি না করে। বাড়াবাড়ি করলে আপনাদের পরিণতি ভাল হবে না। তিনি বলেন, কেমন করে পুলিশ মা, ভাই বোনদের ওপর হামলা করে। গুলিবর্ষণ করে। এ লক্ষণ ভাল নয়। এর প্রতিক্রিয়া পরবর্তীতে আরও খারাপ হবে। আপনাদের সঙ্গে আমাদের কোন বিরোধ নেই। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে দেখিয়ে দিতে চাই দেশের জনগণ কার সঙ্গে রয়েছে। পুলিশকে উদ্দেশ করে খালেদা জিয়া আরও বলেন, আমি পল্টন অফিসে যেতে চাই। এ কাজে আমাকে সাহায্য করেন। যা করছেন এটা নিরাপত্তা দেয়া নয়। আমার কোন নিরাপত্তার হুমকি নেই। জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে। পুলিশ কিসের নিরাপত্তা দিচ্ছে। আমার তো কোন নিরাপত্তার হুমকি নেই। নিরাপত্তার হুমকি তো সরকার নিজেই। ক্ষতি করলে সরকারই আমাকে ক্ষতি করবে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি একটি কালো দিন। গত বছর এ দিনে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ সরকার গঠন করা হয়েছে। অথচ কোন ভোট কেন্দ্র মানুষ ভোট দিতে যায়নি। সেখানে কুকুর বসেছিল। নির্বাচনী কর্মকর্তা ভোট কেন্দ্রে ঘুমিয়ে কাটিয়েছেন। অথচ ভোট ছাড়া নির্বাচন করে সরকার কিভাবে জনগণের টাকা খরচ করে একের পর এক আইন পাস করছে। সংসদের বিরোধী দল বলে কিছু নেই। যারা বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা পালন করছে তারা গৃহপালিত বিরোধী দলের চেয়ে খারাপ। অবৈধ সংসদে যেসব আইন পাস করা হয়েছে তার কোন কার্যকারিতা আগামীতে থাকবে না। পুলিশের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী চলবে। গুলি টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ বন্ধ করুন। সরকারের দলের লোকজন মিছিল সমাবেশ করলে আমরা কেন পারব না। এটা তো কোন পুলিশী রাষ্ট্র নয়। অথচ পুলিশ দিয়েই সবকিছু করা হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে পারে না। সরকার বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে সারাদেশ ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। সরকারের জনসমর্থন থাকলে এসব করার দরকার হতো না। সরকার সমাবেশ করতে দিতে ভয় পাচ্ছে। ১৪৪ ধারা জারি করে সমাবেশ বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। তারপরও বিএনপির নেতাকর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে কর্মসূচী পালন করেছে। এজন্য নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বলেন, শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপি কলো পতাকা সমাবেশ ডেকেছিল। কিন্তু সরকার তা করতে দেয়নি। সে কারণে অবরোধ অব্যাহত থাকবে। সুযোগ আসলে সমাবেশ করা হবে।
×