ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শীতকালীন প্রশিক্ষণ পরিদর্শনে রাষ্ট্রপতি

যে কোন অশুভ শক্তি প্রতিহত করতে সক্ষম সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৬ জানুয়ারি ২০১৫

যে কোন অশুভ শক্তি প্রতিহত করতে সক্ষম সেনাবাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ জনগণই দেশের শক্তি আর সেনাবাহিনী জনগণেরই অংশ এমনটি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ বলেছেন, ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের মাধ্যমে বর্তমানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের কাছে একটি আধুনিক ও সময়োপযোগী সুশৃঙ্খল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। দেশের অখ-তা রক্ষায় যে কোন অশুভ শক্তিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করতে সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে সক্ষম। সেনাবাহিনী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে পালন করে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সর্বদা সহযোগিতা করছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘ মিশনে সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ করে সেনাবাহিনীর অবদান আজ বিশ্ব দরবারে সুপ্রতিষ্ঠিত। রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক মোঃ আব্দুল হামিদ সোমবার দুপুরে বগুড়ার নন্দীগ্রামের নিমাইদিঘী এলাকায় ১১ পদাতিক ডিভিশন বগুড়া সেনানিবাসের তত্ত্বাবধানে শীতকালীন প্রশিক্ষণে মেকানাইজড ফোর্সের শত্রু প্রতিরক্ষার সুসংগঠিত অগ্রবর্তী অবস্থানের ওপর আক্রমণ মহড়া প্রত্যক্ষ করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই প্রথম মেকানাইজড আক্রমণের রণকৌশল মহড়া পরিচালনা করল। রাষ্ট্রপতি এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বলেন, এই অনুশীলন ১১ পদাতিক ডিভিশন তথা সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের স্বাক্ষর বহন করে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যে গড়ে ওঠা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর যোগ্য উত্তরসূরী মনে করেন বর্তমানের সেনাবহিনীকে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া এরিয়ার জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল এ কে এম আব্দুল্লাহিল বাকী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা। রাষ্ট্রপতি ইতিহাসের পাতা মেলে ধরে বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতিসহ হাজারও সীমাবদ্ধতার মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনাবাহিনী পুনর্গঠনে হাত দিয়ে একটি দক্ষ ও যোগ্য সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে উপযুক্ত নেতৃত্ব তৈরির জন্য ১৯৭৪ সাালের ১১ মার্চ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। সামরিক বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার পূর্ববর্তী মেয়াদকালে বিভিন্ন রকম উন্নয়ন সম্প্রসারণ ও কল্যাণমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার প্রতি লক্ষ্য রেখে আরও দুইটি পদাতিক ডিভিশন, একটি কম্পোজিট ব্রিগেড, একটি পদাতিক ব্রিগেড, স্পেশাল ওয়ার্কস অরগানাইজেশন, একটি আর্টিলারী রেজিমেন্ট রিভারাইন ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নসহ অনেক উল্লেখযোগ্য বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। এ ছাড়াও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউিট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট সেন্টার আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজ, মিলিটিারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স টেকনোলজি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
×