ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এখন থেকে মৈত্রী ট্রেন শুক্র, সোম ও বুধ তিনদিন ঢাকা থেকে কলকাতা যাবে

ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেসের ট্রিপ বাড়ল

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৬ জানুয়ারি ২০১৫

ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেসের ট্রিপ বাড়ল

মশিউর রহমান খান ॥ বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যে চলমান সম্পর্ককে আরও নিবিড় করার স্বার্থে ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ট্রিপ বাড়িয়ে সপ্তাহে ৩ দিন করেছে। যা আগে ২ দিন ছিল। এছাড়া মৈত্রী ট্রেনের যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে শুল্ক পরীক্ষা ও অভিবাসনের কাজ কিভাবে আরও দ্রুত ও সহজ করা যায় সেজন্য দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট দফতরকে সবকিছু খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে দুই দেশের মন্ত্রণালয়। মৈত্রী এক্সপ্রেসে যাত্রীসংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। মৈত্রী ট্রেন আগে শুক্র ও বুধবার ঢাকা থেকে কলকাতা যেত। আর শনি ও মঙ্গলবার কলকাতা থেকে ঢাকায় আসত। নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন থেকে ট্রেনটি শুক্র, সোম ও বুধবার কলকাতা যাবে এবং শনি, রবি ও মঙ্গলবার কলকাতা থেকে ঢাকায় আসবে। মৈত্রী ট্রেন নিয়ে দুই দেশের একমত হওয়ার ফলে ভারত এরই মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেসে কোচের সংখ্যা বাড়িয়েছে। বর্তমানে ভারত মৈত্রী ট্রেনে আসনসংখ্যা করা হয়েছে ৪শ ৫৯, আগে যা ছিল ৩শ’ ৮৬টি। অর্থাৎ ৭৩টি আসন বাড়ানো হয়েছে। এজন্য অতিরিক্ত একটি কোচ সংযোজন করেছে ভারত। তবে সংকটের কারণে বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেসে বাড়তি কোচ সংযোজন করতে পারছে না। এজন্য ট্রেনের ট্রিপ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের পরপরই অনাপত্তি প্রদান করে। রেলসুত্র জানায়, গত ২৬-২৭ অক্টোবর ২ দেশের যৌথ পরামর্শক কমিশন জেসিসির বৈঠকে মৈত্রী ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো ও বর্তমানের চেয়ে অতিরিক্ত কোচ যুক্ত করার বিষয়ে একমত হয় দেশ দুটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত ট্রিপ চালু করা হয়েছে। সোমবার রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে এ তৃতীয় ট্রিপের যাত্রা শুরু করেন। ইতোমধ্যে মৈত্রী ট্রেনে কোচের সংখ্যা বাড়িয়েছে ভারত। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের নির্দেশে বাড়তি কোচ নিয়ে বাংলাদেশে চলাচল করছে এ ট্রেনটি। সোমবার বাংলাদেশ থেতে অতিরিক্ত একটি ট্রিপ চালু করা হয়েছে। জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস হিসেবে বাংলাদেশের একটি ট্রেন প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার ছেড়ে যায় ও শনিবার ফেরত আসে। আর ভারতের ট্রেনটি আসে মঙ্গলবার ও বুধবার ফিরে যায়। তবে এ রুুটে ট্রেনের যাত্রী চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। প্রতি ট্রিপেই যাত্রী পরিপূর্ণ থাকে। এমনকি এক মাস আগে অগ্রিম টিকিট ছাড়ার এক সপ্তাহের মধ্যে বিক্রি হয়ে যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মৈত্রী ট্রেনে যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হলে দুই দেশের লোকজনই যাতায়াতে সুবিধা হবে। তাছাড়া বর্তমান ট্রেন সঙ্কট কমলে দুদেশের সম্পর্কোন্নয়নে কাজে লাগবে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর ২০০৮ সালে ভারতের কলকাতা ও বাংলাদেশের ঢাকার মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু করা হয়। সপ্তাহে দুবার চলাচলের জন্য মৈত্রী এক্সপ্রেস ঐ বছরের ১৪ এপ্রিল ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি উদ্বোধন করেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেন, মৈত্রী ট্রেনটির অতিরিক্ত একটি ট্রিপ চালু হওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সৌহার্দ্যপূণ সম্পর্ক বর্তমানের চেয়ে আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে। দুই দেশের যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে এতে লাভবান হবে বিধায় ২০০৮ সালে উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো এ মৈত্রী ট্রেনের ট্রিপ বাড়ানো হয়েছে। যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী পালিত স্টাফ রিপোর্টার ॥ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী। রবিবার এ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। রাত জেগে মুসল্লিরা ইবাদত বন্দেগী করে কাটায়। পরকালের মুক্তির আশায় এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে মহানবীর (সা) জীবনী কর্ম নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে ব্যক্তি পরিবার ও সমাজ জীবনে মহানবীর আদর্শ অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মহানবীর জন্ম ও ওফাত দিবস ১২ বরিউল আওয়াল উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, কোরান তেলায়াত, জিকির আজগর ও দান খয়রাত করা হয়। এছাড়া দিনটি উদযাপন করার জন্য বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচী পালন করে। রেডিও, টেলিভিশন বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করে বিশেষ ক্রোড়পত্র। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ইসলামী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আয়োজন করা হয় পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের। ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান শনিবার পক্ষকালব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, মানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে।
×