ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে প্রেসক্লাব থেকেই গ্রেফতার ফখরুল

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ৭ জানুয়ারি ২০১৫

অবশেষে প্রেসক্লাব থেকেই গ্রেফতার ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিজ দলের দেশব্যাপী কর্মসূচী যখন চলছিল, তখন তিনি মাঠে নেই! ভয়ে টানা ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় কাটালেন জাতীয় প্রেসক্লাবে! খেলেন ক্লাবের খাবার। সাংবাদিকসহ দলীয় নেতাদের সঙ্গে রাত কাটালেন। সোফায় ঘুমালেন সকাল ১০টার বেশি সময় পর্যন্ত। মোবাইলে প্রয়োজনীয় কথা বললেন। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন বিকেল চারটার পর। এর মধ্য দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের প্রেসক্লাব ঘিরে পাতানো নাটকের অবসান হয়। অথচ ২৪ ঘণ্টায়ই তাঁকে ঘিরে ক্লাবের ভেতরে বাইরে ছিল টানটান উত্তেজনা। সাংবাদিকসহ দলীয় নেতাকর্মীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থান। একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতার প্রেসক্লাবে রাত কাটানোর ঘটনা এবারই প্রথম। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলছেন, রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করে জাতীয় প্রেসক্লাবের ঐতিহ্য ও গঠনতন্ত্রকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। প্রেসক্লাব ঘিরে দিনভর উত্তেজনা ॥ সোমবার বিকেলে কিছু নেতাকর্মী নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে আশ্রয় নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল। রাতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের কক্ষেই ছিলেন তিনি। তাঁকে প্রেসক্লাবের খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। তাঁর সঙ্গে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান ছাড়াও বিএনপিপন্থী সাংবাদিক নেতারা রাতভর ছিলেন। রাতে প্রেসক্লাবের চারপাশজুড়ে পুলিশি প্রহরা ছিল। সকালে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। ক্লাবের মূল গেটের সামনে সকাল ১০টার আগেই রাখা হয় একটি ছোট্ট প্রিজন ভ্যান। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আনা হয় রায়ট কার ও জলকামান। ১০টার আগেই খবর রটে প্রেস ব্রিফিং করবেন ফখরুল। এতে তৎপর হয়ে ওঠেন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা। তারা ক্লাবের দ্বিতীয় তলায় সাধারণ সম্পাদকের রুমের পাশে কনফারেন্স রুমে অবস্থান নেন। তৈরি হন প্রেস ব্রিফিংয়ের জন্য। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা শেষে হতাশ হন সাংবাদিকরা। কখন তিনি ব্রিফিং করবেন কোন নিশ্চয়তা নেই। তখন ক্লাবের বাইরে প্রজন্ম লীগের সমাবেশ চলছিল। এই অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ। প্রেসক্লাবের ভেতরে ফখরুল আশ্রয় নেয়ায় সরকার সমর্থকরা বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ নিয়ে দেখা দেয় উত্তেজনা। তাঁরা কয়েক দফা ক্লাবের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালান। বাইরে থেকে জুতো প্রদর্শন করেন। ফখরুলকে প্রেসক্লাব থেকে বের করে দেয়ার আহ্বান জানান তাঁরা। এদিকে সকাল থেকে গণমাধ্যম কর্মীরা মির্জা ফখরুলের বক্তব্য নেয়ার জন্য চেষ্টা করেন। সকালে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ইউনুস বলেন, স্যার আলাদা করে কোন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলবেন না। সবার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলবেন। বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের বলা হয়, মির্জা ফখরুল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস ব্রিফিং করবেন। তবে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে অবস্থান করা এক সাংবাদিক নেতা বলেন, কয়েকটি মামলায় আগাম জামিন ও তাঁকে যেন কোন প্রকার হয়রানি করা না হয় এ জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। বিকেলে আবেদনটির নিষ্পত্তি হওয়ার কথা রয়েছে। হাইকোর্টের আদেশ পেলেই মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে যাবেন। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার সকালে জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর প্রেসক্লাব থেকে বের হব আমরা। প্রেসক্লাবের ভেতরে ফখরুল ও শফিউল আলম প্রধানকে ঘিরে ছিলেন বিএনপির একাধিক নেতা ও সাংবাদিক। তাঁদের একটু পর পর বিভিন্ন জনের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে দেখা যায়। এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের করে দিতে সকাল থেকে ক্লাবের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে অবস্থান নেন আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক নেতারা। তাঁরা এ বিষয়ে দীর্ঘসময় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। ফখরুলকে ক্লাব থেকে বের করতে প্রেসক্লাবের ম্যানেজিং কমিটিকে আল্টিমেটাম দেন সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। এক সংবাদ সম্মেলনে বেলা ২টার মধ্যে মির্জা ফখরুলকে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে বের করে দিতে আহ্বান জানান। নইলে পরবর্তী কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। ফখরুলকে ঘিরে দু’পক্ষের সাংবাদিক নেতারা অনেকটাই মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন। পুরো প্রেসক্লাব ঘিরে ক্ষণে ক্ষণে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজের কক্ষের সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সেক্রেটারি শাবান মাহমুদের নেতৃত্বে আওয়ামীপন্থী কিছু সাংবাদিক। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে অবস্থান নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। তখন শাবান মাহমুদ বলেন, প্রেসক্লাব একটি পবিত্র স্থান। এখানে শুধু প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাংবাদিকরা আসবেন। মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষার আহ্বান ফখরুলের ॥ গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে দেশবাসীকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানালেন প্রেসক্লাবে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিকেল ৪টার দিকে প্রেসক্লাবের বাইরে রাজনীতিক-সাংবাদিকদের অবস্থান সেøাগানের পর সেখানে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বলেন, অবরোধ চলছে, চলবে। নিরাপত্তাজনিত কারণে আমি গতকাল (সোমবার) বাইরে যাইনি। গত রাতে সাংবাদিকরা পেশাগত কারণে সারা রাত এখানে জেগেছিলেন। তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি বলেন, আজ দেশে মানুষের অধিকারগুলো, বাক স্বাধীনতা, বিচার পাওয়ার স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হচ্ছে। অর্থনীতিকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। শত বছর ধরে বাঙালি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে। সেই গণতন্ত্র আজ হরণের পথে। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাতে চাই, বিপন্ন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, সত্যিকার অর্থে জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল একটি সরকার গঠনের জন্য কাজ করছে ২০ দলীয় জোট। এ আন্দোলনে সবাই যোগ দিন। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনুন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অনেকেই নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন। অনেকে গুম হয়েছেন। সেই দিনটি স্মরণে খালেদা জিয়া ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অনৈতিক সরকার অবৈধভাবে ১৪৪ ধারা জারি করে আমাদের সমাবেশ করতে দেয়নি। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে তাঁর কার্যালয়ে দুদিন আগে থেকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও তাঁকে একইভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। ফখরুল বলেন, ৫ জানুয়ারির সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগে থেকেই তালা দেয়া হয় এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। দেশের সবচেয়ে বড় সঙ্কট উপস্থিত হয়েছেÑ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। ডিবি পুলিশ তুলে নিল ফখরুলকে ॥ ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পর জাতীয় প্রেসক্লাব ঘিরে ফখরুল নাটকের অবসান হয়। বিকেল চারটার পর গোয়েন্দা পুলিশ তাঁকে আটক করে। প্রেসক্লাব থেকে বের হওয়ার সময় তাঁকে বহনকারী গাড়িতে ওঠে ডিবি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে, তাঁকে আটক নয়, একাধিক মামলার আসামি মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করে তাকে বহনকারী গাড়িটি নিয়ে যাওয়া হয় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। এর আগে প্রেসক্লাবে রাত কাটিয়ে বিকেলে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে ভবন থেকে বের হয়ে একটি গাড়িতে ওঠেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাঁকে ঘিরে ছিলেন বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিক নেতারাও। কিন্তু এরই ফাঁকে প্রেসক্লাব চত্বরেই গাড়িতে চড়ে বসেন ডিবি কর্মকর্তারা। এরপর ভিড় ঠেলে এগিয়ে যায় গাড়িটি। সেটি দ্রুতই প্রেসক্লাব থেকে হাইকোর্ট ভবনের সামনে হয়ে মৎস্যভবন মোড় অতিক্রম করে কাকরাইল ডিবি কার্যালয়ে যায়। পেছনে ছুটতে থাকে পুলিশের একটি বড় ভ্যান। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (ডিসি) মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কোন মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানাতে পারেননি ডিসি মাসুদুর রহমান। পুলিশ সূত্র জানায়, গাড়ি পোড়ানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে ডিএমপির একাধিক থানায় ৬৭টি মামলা রয়েছে। প্রেসক্লাব বহিরাগত মুক্ত করতে হবে ॥ জাতীয় প্রেসক্লাব ‘বহিরাগত’ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক নেতারা। তাঁদের দাবি, কর্তৃপক্ষকে প্রেসক্লাব ‘বহিরাগত’ মুক্ত করতে হবে। তা না করলে সাধারণ সদস্যরা ব্যবস্থা নেবেন। তখন উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় তাঁদেরই নিতে হবে বলে নেতারা হুঁশিয়ার করেন। মঙ্গলবার দেড়টার দিকে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ কথা বলেন। তখন মির্জা ফখরুল ছিলেন দ্বিতীয় তলার পাশের কক্ষেই। সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেসক্লাবে আশ্রয় নেয়া ফখরুলসহ সব রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে বের করে দিতে প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানানো হয়। প্রেসক্লাবকে একটি রাজনৈতিক দলের আখড়া বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এ কারণেই কর্তৃপক্ষ ফখরুলসহ নেতাকর্মীদের রাতভর আশ্রয় দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের জায়গা। এটাকে রাজনৈতিক কার্যালয় হতে দেব না।’ সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতারের পর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ের একাংশের নেতারা আবারও সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবে সকল রাজনৈতিক নেতার আসার অধিকার রয়েছে। কিন্তু প্রেসক্লাবে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে থাকার ব্যবস্থা করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করে এর ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হয়েছে। আমরা সোমবার রাতে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সাক্ষাত করি। রাতে প্রেসক্লাবে থাকার বিষয়ে আমরা আপত্তি জানাই। কিন্তু আমরা কি দেখলাম। চার শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপিপন্থী সাংবাদিকদের আশ্রয়ে তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবে রাত কাটিয়েছেন। প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর সোমবার হামলা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ফলক ভাঙচুর করেছে। যা সত্যিই ন্যক্কারজনক। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবে ফখরুল আশ্রয় নিয়ে ক্লাবের ঐতিহ্য ও গঠনতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছেন। এ ঘটনায় ক্লাবের পক্ষে যাঁরা জড়িত তাঁদের পদত্যাগ দাবি করেন নেতারা। বিকেলের ব্রিফিংয়ে সকল সাংবাদিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
×