ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান এরশাদের

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৭ জানুয়ারি ২০১৫

সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান এরশাদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ফের সর্বদলীয় বৈঠকের আহ্বান জানালেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংঘাতের রাজনীতির কারণে গণতন্ত্র এখন বিপন্ন হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ দূত। মঙ্গলবার দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে এরশাদ বলেন, ‘আমরা মনে করি- জনগণের স্বার্থের কথা চিন্তা করে উভয় পক্ষকেই নমনীয় এবং শান্ত থাকতে হবে। সকল দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট নিরসনে শান্তিপূর্ণ পন্থা অবলম্বন করতে হবে। প্রতিবাদের ভাষা পরিবর্তন করতে হবে। আমি পয়লা জানুয়ারি ঐতিহাসিক সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশেই আশঙ্কা করেছিলাম যে, ৫ জানুয়ারিকে কেন্দ্র করে দেশে আবার সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। আমার সেই আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। সেই মহাসমাবেশেই আমি সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম- আসুন আমরা একটি সর্বদলীয় কনভেনশনে মিলিত হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে সর্বসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ করি। আমি আবারও সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাই- আসুন এক টেবিলে আলোচনায় বসি এবং সঙ্কট নিরসনের উপায় উদ্ভাবন করি। তিনি বলেন, ‘আমি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, দেশ আবার চরম রাজনৈতিক সংঘাত, অস্থিরতা, হানাহানির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। নতুন বছরের শুরু থেকেই এই সংঘাতের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ঔপনিবেশিক আমলের সেই হরতাল-অবরোধের মতো নেতিবাচক অপরাজনীতি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অপরদিকে সরকারও অসহিষ্ণু হয়ে বিরোধী পক্ষের ওপর মারমুখী আচরণ চালাতে শুরু করেছে। এর ফলে জনমনে চরম আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা নেমে আসছে। এই অবস্থায় একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ চলতে পারে না এবং সংঘাত ও গণতন্ত্রও এক সঙ্গে চলতে পারে না। সংঘাতের রাজনীতির কারণে গণতন্ত্র এখন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। এই কারণে ইতোমধ্যে অনেক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে গেছে। এ ধরনের ঘটনায় আমি দুঃখিত ও মর্মাহত।’ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনকারীরা সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে জনগণকে জিম্মি করার মতো কর্মসূচী গ্রহণ করছে এমন মন্তব্য করে সাবেক সেনাপ্রধান এরশাদ আরও বলেন, অপরদিকে সরকারও প্রতিপক্ষকে দমনের নামে আগ্রাসীদের মতো ভূমিকা পালন করছে। আমরা এর কোনটাকেই মেনে নিতে পারি না। দেশবাসী শান্তি চায়- নিরাপত্তা চায় এবং তারা দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায়।
×