ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোলায় তিন সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৭ জানুয়ারি ২০১৫

ভোলায় তিন সপ্তাহ ধরে নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ৬ জানুয়ারি ॥ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) টাস্কফোর্সের এক প্রকৌশলীকে মারধর করা, নির্বাহী প্রকৌশলীসহ দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার ঘটনায় গত ৩ সপ্তাহ ধরে ভোলা শহর সংরক্ষণ প্রকল্প তৃতীয় পর্যায়ের ১০টি প্যাকেজসহ সদর উপজেলার প্রায় শত কোটি টাকার কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। পাউবোর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমেদও বলতে পারছেন না কবে নাগাদ কাজ শুরু হবে। এতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে নদী ভাঙ্গন রক্ষার কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে ঠিকাদার প্রতিনিধি এনামুল হক আরজু বলেন, তার সঙ্গে কোন ঘটনাই ঘটেনি। তিনি কাউকে মারধর করেননি। পাউবো সূত্র জানায়, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের লঞ্চঘাট থেকে কাচিয়া ইউনিয়নের গাড়িয়ারখাল পর্যন্ত মেঘনার সাড়ে তিন কিলোমিটার তীর সংরক্ষণের জন্য সব মিলিয়ে ১০ গ্রুপে ১০৩ কোটি টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান করা ২০১১-১২ অর্থবছরে। যা শুরু করতে করতে ঠিকাদারের ২০১৩-১৪ অর্থবছর চলে আসে। প্রতিগ্রুপে ঠিকাদার প্রায় ৪৩৮ মিটার তীরে ১৭৫ কেজি ওজনের এক লাখ ৭১ হাজার জিওটেক্সটাইল বস্তা এবং ৩০ হাজার সিসি ব্লক ফেলার কথা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোও তড়িঘড়ি করে কাজ চালিয়ে যায়। পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী ফজলে এলাহী জানান, পাউবো ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী কোড়ালিয়া এলাকায় তেঁতুলিয়া নদীর তীর সংরক্ষণে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টফান্ডের আওতায় সাড়ে ৯ কোটি টাকার সিসিব্লকের কাজ শুরু করে। নবেম্বরের শেষে কাজ শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইলে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগে কোন্দল নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৬ জানুয়ারি ॥ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করেছে। আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ অবস্থান নিয়েছে মুখোমুখি। দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে কর্মীসমর্থকরাও। জানা গেছে, ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে বর্তমান এমপি খন্দকার আব্দুল বাতেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে বিজয়ী হন। হেরে যান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহসানুল ইসলাম টিটু। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার ফজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মল্লিক দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। খন্দকার আব্দুল বাতেন নির্বাচিত হওয়ার পর কোণঠাসা হয়ে পড়েন তাঁরা। এমপি আওয়ামী লীগে যোগদান করলেও সম্পর্কের আর উন্নতি হয়নি। দূরত্ব বাড়তে থাকে তাদের মধ্যে। এমপি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে যারা তাঁর পক্ষে নির্বাচন করেছিল তাদের নিয়ে কাজ করছেন। গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে খন্দকার আব্দুল বাতেন আবারও এমপি নির্বাচিত হন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁর আস্থাভাজন মঈন সিদ্দিকীকে মনোনীত করেন। সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মল্লিক ও ডুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান মনোনয়ন প্রার্থী ছিলেন। তাদের বাদ দিয়ে মঈন সিদ্দিকীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। নির্বাচনে মঈন সিদ্দিকী বিপুল ভোটে হেরে যান। এসব ঘটনায় আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
×