ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রাণ সরবরাহের নামে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাত

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ৮ জানুয়ারি ২০১৫

ত্রাণ সরবরাহের নামে ৭০ লাখ টাকা আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ জেলার রৌমারী উপজেলায় ভুয়া এনজিওর ত্রাণসামগ্রী দেয়ার নামে দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করেছে উম্যান্স ইম পাওয়ারম্যান্ট সোসাইটি নামের একটি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক সাবিনা রহমান রুপা। সংস্থাটি দীর্ঘ ২ বছর ধরে রৌমারী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ইউপি সদস্য এবং এলাকার কিছ যুবককে নিয়ে এদের মাধ্যমে বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী দেয়ার নামে প্রায় ১৬ হাজার মানুষের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেন। জানা যায়, নেদারন্যাল্ড মিশন অব বাংলাদেশ-এর অর্থায়নে ঈসাহী খ্রীস্টান অব বাংলাদেশ- আইসিবি মিশনের সার্বিক সহযোগিতায় বিভিন্ন ত্রাণসমগ্রী দেয়ার কথা বলে টাকা উত্তোলন করেন। বাইটকামারী গ্রামের মালেকা খাতুন বলেন, ৫শ’ টাকা দিয়া মশারী পেয়েছি আর কিছুত পাই নাই, একই গ্রামের হালিম বলেন, ৩ হাজার টাকা দিয়ে নলকূপের শুধু হেড দিয়েছিল আর কিছু দেয়নি। একই অভিযোগ রৌমারী উপজেলার প্রায় ১৬ হাজার দরিদ্র মানুষের, যেমন প্রতিটি মশারী বাবদ ৫শ’ টাকা, দীর্ঘ মেয়াদীভাবে আটার জন্য ৫শ’ টাকা, চালের জন্য ৩ হাজার টাকা, প্রতিটি নলকূপের নামে ৩ হাজার টাকা ও দর্জি প্রশিক্ষণের নামে ৩ হাজার টাকা করে প্রায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। সংস্থাটি ২০১০ সালে সমাজসেবা অধিদফতর কুড়িগ্রাম থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে নিবন্ধন হয় যাহার নিবন্ধন নং কুড়ি/৬৬০/২০১০ নিয়ে ২০১০ সাল থেকে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলার বিচ্ছিন্ন ইউনিয়নগুলোতে অতিদরিদ্র ও দরিদ্র মানুষকে ত্রাণসামগ্রী দেয়া কথা বলে বিভিন্নভাবে টাকা উত্তোলন করে প্রতারিত করে আসছে। এ ব্যাপারে চতলাকান্দা ইউপি সদস্য শাজাহান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ৮শ’ নামের টাকা নিয়েছি কিছু করার থাকলে করেন গিয়ে। এ বিষয় উম্যান্স ইম পাওয়ারম্যান্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সাবিনা রহমান রুপা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ত্রাণসামগ্রী পরিবহন খরচ বাবদ যৎসামান্য কিছু টাকা নেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হান্নান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×